- মা! ছেলে বলছে দেনমোহর মাত্র ১০টাকা।
* জানি; এটা আমার'ই ডিসিশান।
- কি বলছো তুমি? ১০টাকায় বিয়ে দেবো? আমাদের মেয়ে কি এত শস্তা?
* তোমরা কি আমাকে বিয়ে দিচ্ছো না-কি বিক্রি করছো?
- বিক্রি হবে কেন?
* তা'হলে শস্তা-দামীর কথা উঠলো কেনো? আচ্ছা; বলো- আমার দাম কত? ঠিক কত টাকা হলে তোমাদের মনে হয় আমাকে দিয়ে দেয়া যায়?
- তোমার দাম আবার কি? মানুষের কোন দাম ঠিক করা যায় না-কি? মানুষ অমূল্য।
* মানুষ অমূল্য বলেই আমরা কোন দাম ঠিক করিনি; একটা প্রতীকী দেনমোহর ধার্য করেছি মাত্র।
- দেনমোহর একটা সিকিউরিটি মানি; তোমার সিকিউরিটির চিন্তা আমরা করবো না?
* আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছি; এখন ভালো চাকুরী করছি। আমার সিকিউরিটি হাসবেন্ডের কাছ থেকে নিতে হবে কেন? আমি নিজের খরচ নিজেই চালাতে পারবো ইনশাআল্লাহ্।
- কিন্তু ইসলামী শরীয়াহ্?
* শোন! তোমরা এখন একটা বড় অ্যামাউন্ট ঠিক করলে কি হবে? ও কি সেটা এখন দিতে পারবে? ওর পুরো সেভিংস বিয়েতে খরচ হয়ে গেছে আর ও কখনো'ই ওর বাবার কাছ থেকে টাকা নেবে না। তা'হলে? ইসলামী শরীয়াহ্ বলে সংসার শুরুর আগেই দেনমোহর শোধ করতে হবে। বাংলাদেশের কতজন মেয়ে দেনমোহরের টাকা পায়? গহনা বাবদ কিছু উসুল দেখায়; যেই গহনা আসলে গিফট দেবার কথা আর বাকিটা কাগজে কলমেই থেকে যায়। এই হিপোক্রেসির কি দরকার?
- পরে যদি কিছু হয়?
* ডিভোর্সের কথা বলছো? আমি বিয়ের আগেই ডিভোর্সের কথা ভাবি না। হাসবেন্ড আমাকে পছন্দ করছে না কিন্তু বড় দেনমোহরের ভয়ে ডিভোর্স ও দিচ্ছে না- এই দয়ার লাইফ আমি চাই না। যদি কখনো আমাদের মাঝে দূরত্ব আসে; তা'হলে আমি স্বেচ্ছায় ওকে ছেড়ে দিবো। যে মানুষটাকেই আমি পেলাম না; তার টাকা নিয়ে বাকি জীবন চালাবো- এতটা খারাপ অবস্থা আমার আসে নাই। আমার একটা আত্মসম্মান আছে।
Collected
0 মন্তব্যসমূহ