১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর, শীতের সকালে ছেলে ছোট্ট সুমন জাহিদকে গোসল করাবার জন্য শরীরে তেল মাখিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি।



 ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর, শীতের সকালে ছেলে ছোট্ট সুমন জাহিদকে গোসল করাবার জন্য শরীরে তেল মাখিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। 

চুলায় রান্না চড়ানো ছিল, দরজায় হাজির হলো ওরা। শাড়িটাও বদলাতে দেয়নি পিশাচের দল। 

ঐ মুহুর্তে ঐ অবস্থাতেই যাবার আগে ছেলে সুমনের মাথায় হাত বুলিয়ে মা শুধু এতোটুকু বলেছিলেন সুমন তুমি মামার সাথে খেয়ে নিও,আমি যাব আর চলে আসব।

.

মেয়েটির স্তনের একটি অংশ কাটা ছিলো  লালছে দগদগে জমানো রক্ত সারা শরীর ভেজা

মাটির ঢিবির পাদদেশে মেয়েটির চোখ বাঁধা ক্ষত-বিক্ষত লাশ পড়ে ছিলো!!

 মেয়েটির নাক ও মুখের কোন আকৃতি নেই, নরপিশাচরা অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেলেছিলো...

মেয়েটি কে জানেন?

শহীদ  সাংবাদিক সেলিনা পারভীন।

ছেলে সুমন জাহিদের কাছে দেয়া কথা মা আর রাখতে পারেনি, আর ফিরে আসেনি ছোট্ট সুমন জাহিদের কাছে; সেই শহীদ সন্তান সুমন জাহিদ তার মায়ের অপেক্ষা করেছিলেন মৃত্যর আগ পর্যন্ত। 

বড় পরিতাপের বিষয় হলো ১৪ই জুন ২০১৮ সালে শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের সন্তান সুমন জাহিদের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায় রাজধানীর রেললাইনের পাশে!! 

সুমন জাহিদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের সাক্ষী ছিলেন।

.

আপনাদের ত্যাগেই আমাদের গর্বিত জন্মভূমি হে মহীয়সী, দেশমাতৃকার জন্য আপনার ত্যাগের প্রতি জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা...

#collected

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ