লাভ গেমস্ - পর্ব ৩৩ (শেষ পর্ব)

লাভ গেমস্ - পর্ব ৩৩ (শেষ পর্ব)

লাভ গেমস্

লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu

পর্বঃ ৩৩ (শষ পর্ব)

ঠিক কত ঘণ্টা পর ঠিক জানা নেই,ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালো সোমা আর চোখ মেলতেই এমন দুজন মানুষকে  দেখল যাদেরকে আর কখনও দেখতে পাবে ভাবতেও পারেনি।চোখ থেকর দুফোঁটা আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ল আর তারপরই বেড থেকে নেমে তাদের দিকে ছুটে।
সোমা: (জড়িয়ে ধরে)মা..তোমার এখানে!কেমন আছো মা?এতদিনে তোমাদের এই অবাধ্য মেয়েটার কথা মনে পড়ল?
মা: কি করছিস কি করছিস!তোর শরীর খুব দুর্বল,এভাবে ছোটাছুটি করছিস কেন?
সোমা: তোমরা এসেছো আর আমি চুপচাপ বসে থাকব!বাবা তুমি কেমন আছো?সেদিন আমি আ..আসলে...
(সোমা আর কিছু না বলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকল)
বাবা: কি রে মা?একটাবার আমাদেরকে আসল সত্যিটা জানাতে পারতি না?সত্যিটা জানলে কি আমরা তোকে এভাবে দূরে সরিয়ে রাখতাম?
সোমা: (চমকে উঠে)সত্যি!কোন সত্যির কথা বলছো তোমরা?
মা: আর লুকানোর চেষ্টা করিস না মা,জামাই আমাদের সব বলেছে
সোমা: জামাই মানে?শোয়েব!ও আবার তোমাদের কি বলল?
বাবা: মা রে আমাদের তুই ক্ষমা করে দিস
সোমা: কি আশ্চর্য তোমরা এমন করছো কেন?
বাবা: মা রে সপ্তাহ খানেক আগে জামাই আমাদের বাড়ি গিয়েছিল।আমরা তো ওকে দুর দুর করে তাড়িয়ে দিচ্ছিলাম তবুও ও কোনকিছুর তোয়াক্কা না করে আমাদের সবকিছু খুলে বলেছে।বলেছে ও ই জোর করে তোকে তুলে নিয়ে এসেছিল
সোমা: কিন্তু বাবা...
বাবা: আমাদের মাফ করে দিস মা,আমরা পুরো সত্যিটা নে জেনেই তোর সাথে খুব অবিচার করে ফেলেছি...
(সোমার হঠাৎ করেই শোয়েবের কথা মনে পড়ল)
সোমা: বাবা,ও কোথায়?ও ঠিক আছে তো?ওর কিছু হয়নিতো?আ..আমি ওর কাছে যাব আমাকে ওর কাছে নিয়ে চল প্লিজ...
মা: মা রে তোর শরীর এখনও অনেক দুর্বল,ডক্টর তোকে রেস্ট করতে বলেছে।তুই এখন একটু শুয়ে থাক,আমরা তোকে পরে নিয়ে যাব...
সোমা: না আমি আগে ওকে দেখব...
বাবা: জেদ করিস না মা,আমি বলছি তো জামাই এখন একদম ঠিক আছে...
সোমা: কি আশ্চর্য!তোমরা আমাকে ওর কাছে যেতে দিচ্ছো না কেন?আমি বলছি না আমি আগে ওর কাছে যাব তারপর অন্য কিছু...
কেউ আর সোমাকে আটকাতে পারলো না,সবার সব রকম বাঁধা ঠেলে শোয়েবের কেবিনে ঢুকে পড়ল।ওকে ঢুকতে দেখেই শোয়েব মুচকি একটা হাসি দিল,নাহ্ শোয়েবের জ্ঞান ফিরতে খুব বেশি সময় লাগেনি।২৪ ঘণ্টা হওয়ার অনেক আগেই ওর জ্ঞান ফিরে এসেছে,ডক্টর বলেছে আর কোন বিপদ নেই তবে কিছুদিন ওকে হসপিটালে থাকতে হবে।
শোয়েব: একি তুমি আবার এখানে আসতে গেলে কেন?আমি না সবাইকে বার বার করে বলে দিলাম তোমাকে যেন এখানে আসতে না দেয়!তাহলে ওরা কেন এ্যালাউ করল এসব?আমার শ্বশুর আব্বাটাও যেন কেমন,উনার নিজের মেয়েকে সামলাতে বললাম তাও পারল না!
সোমা: এই আমার বাবার ব্যাপারে একটাও বাজে কথা বলবে না বলে দিচ্ছি,নাহলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে...
বাবা: বাবা,তোমরা কথা বল।আমরা সবাই বাইরেই আছি আর মা সোমা কিছু লাগলে ডাকিস...
বাবা আর সবাই চলে গেল,সোমা এবার শোয়েবের দিকে তাকালো।বুকের বামপাশে একটু উপরের দিকেই লেগেছে গুলিটা।জায়গাটা ড্রেসিং করে ব্যাণ্ডেজ করে দেয়া হয়েছে,ব্যাণ্ডেজ ভেদ করে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ ভেসে উঠেছে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে,শোয়েবের অবস্থা দেখে চোখে পানি চলে আসলো সোমার।সোমাকে কাঁদতে দেখে শোয়েবতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল...
শোয়েব: এই পাগলি কাঁদছো কেন?আমিতো বেঁচে আছি তাইনা,মরেতো আর যাইনি।নাকি মরে গেলেই তুমি বেশি খুশি হতে হুম?
সোমা: (চোখ গরম করে)চুপ একদম চুপ,আর কক্ষণও যদি এই কথা মুখে এনেছো আমি কিন্তু বাড়ি ছেড়ে চলে যাব...
শোয়েব: আরে বাবা আমিতো ফান করছিলাম,তুমি এত সিরিয়াসলি নিচ্ছো কেন?
সোমা: ফান হোক আর যাই হোক,আর কক্ষণও যেন এসব কথা না শুনি
শোয়েব: আচ্ছা বাবা আর এমন হবে না
সোমা: (শোয়েবকে জড়িয়ে ধরতে ধরতে)এইতো আমার লক্ষ্মী বর...
শোয়েব: আউচ!!!
সোমা: (লাফিয়ে উঠে)সরি সরি সরি,আমারতো মনেই ছিল না তোমার বুকে...
শোয়েব: ইট'স ওকে ইট'স ওকে,দেখো আমি একদম।ঠিক আছি,আমার কিছুই হয়নি...
সোমা: (কাঁদ কাঁদ হয়ে)খুব লেগেছে তাইনা?আমি আসলেই খুব ইরিস্পন্সেবল একটা মেয়ে আমাকে ধরে থাপড়ানো দরকার,এই তুমি আমাকে দুই চারটা থাপ্পড় দাওতো...
শোয়েব: আরে আরে সোমা...কুল ডাউন বেবি...
সোমা: কি করে কুল হব বলতো,দেখলেতো এক্ষণি কি একটা কাণ্ড করে বসলাম!
শোয়েব: শস্...চুপ একদম চুপ।একটু আমার দিকে এগিয়ে আসোতো...
সোমা: কেন?
শোয়েব: প্রশ্ন না করে যা করতে বলেছি কর...
সোমা শোয়েবের আরো একটু কাছে গেল,ওর দিকে ঝুঁকে বসলো।শোয়েব দুহাত তুলে ওর গলায় পেঁচিয়ে ধরলো তারপর আস্তে আস্তে বলল...
শোয়েব: আমার মিষ্টি বৌটা এই প্রথমবার নিজে থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরলে কি আমার একটুও লাগতে পারে?আর তাছাড়া এতক্ষণ যতটাই ব্যাথা করুক না কেন এখন আমার বৌ আমার পাশে আছে না,আমার সব ব্যাথা ভাল হয়ে গেছে...
সোমা: সত্যি!!!
শোয়েব: হুম।এই বৌ আরেকটা কাজ করবে?
সোমা: কি?
শোয়েব: আরেকবার আমাকে জড়িয়ে ধরবে?
সোমা: কিন্তু তোমার যদি আবার লাগে?
শোয়েব: (মুচকি হেসে)বললামতো লাগবে না...
সোমা: কিন্তু...
শোয়েব: তুমি ধরবে নাকি আমিই...
সোমা: এই না না তোমাকে উঠতে হবে না,আমি ধরছি...
সোমা খুব সাবধানে শোয়েবকে আলতো করে জড়িয়ে ধরল কিন্তু শোয়েব ওকে আরো শক্ত করে নিজের মাঝে মিশিয়ে নিল মুখে তার তৃপ্তির হাসি।মুচকি হাসতে হাসতেই বলল...
শোয়েব: পাগলি বউ আমার...
.
(কিছুদিন পর)
আজকে মির্জা বাড়িটাকে আবারও খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে,হবে নাই বা কেন বাড়ির একমাত্র ছেলে শোয়েবের যে আজকে বিয়ে।আরে আরে আপনারা দেখছি ভয় পেয়ে গেছেন!না না ভয় পাওয়ার কিছু নেই,শোয়েবের বিয়েটা সোমার সাথেই হচ্ছে।আসলে শোয়েব আর সোমার বিয়েটাতো সবার আড়ালে হয়েছিল তাই শোয়েবের বাবা চাইছিলেন খুব জাঁকজমক করে ছেলে আর ছেলের বৌকে ঘরে তুলবেন আর তাই নতুন করে পুরো বিয়েটা দেয়া হচ্ছে।শুধু নতুন করে বিয়ে হচ্ছে বললেও ভুল বলা হবে আসলে একেবারে সব আনুষ্ঠানিকতা মেনে বিয়েটা দেয়া হচ্ছে।মেহেদী,গায়ে হলুদ সব আনুষ্ঠানিকতা মেনেই বিয়েটা হচ্ছে।
শোয়েব একটু সুস্থ হওয়ার পর পরই সোমার বাবা মা ওকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গেছেন।শোয়েব একটু আপত্তি জানালে ওরা বলেছিল বিয়ের আগে নাকি বর-কনের দেখা করতে নেই তাই বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত সোমা ওর বাবার বাড়িতেই থাকবে।কথাটা শোনার পর শোয়েবের মেজাজটা চরম রকমে খারাপ হয়ে গিয়েছিল।ভাবছিল একবার বলবে,"আমাদের বিয়েটাতো হয়েই গেছে তাই আমার বৌয়ের মুখ দর্শন করলে কিছুই হবে না।আরে মশাই আমার বৌকে কোথায় রাখব না রাখব ওসব আমি বুঝব,এর মধ্যে আটনাদের মাথা গলাতে কে বলেছে?"
কিন্তু মনে যাই থাকুক মুখে আনতে পারল না শোয়েব,হাজার হোক শ্বশুর আব্বা বলে কথা!কিন্তু বিয়েরতো এখনও চারদিন বাঁকি,এই কয়দিন সোমাকে ছাড়া কি করে...
আজ সোমার গায়ে হলুদ,ও বাড়ি থেকে চলে আসা দুদিন হয়ে গেছে।এ দুদিনে শোয়েবের কথা চিন্তা করতে করতে ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে,অসুস্থ মানুষ কি খাচ্ছে কি করছে কিছুই জানেনা ও।বাবার উপর মাঝে মাঝে খুব রাগ উঠছে,কেন যে এভাবে নিয়ে আসলো ওকে!কি এমন ক্ষতি হত ও বাড়িতে থাকলে?বিয়েতো হয়েই গেছে তাহলে এখন এত নিয়ম-কানুন মানার কি আছে?
অবশ্য শোয়েবের সাথে নিয়মিতই কথা হচ্ছে ওর,কিছু্ক্ষণ পর পরই ওকে ফোন দিচ্ছে শোয়েব।এটা কোথায় রেখেছো,ওটা কোথায় আছে এসব করে করে মাথা খারাপ করে দিচ্ছেকিন্তু তবুও যেন মন মানছে না।বারবার মন শুধু ওর কাছে ছুটে যেতে চাইছে,মনে হচ্ছে একটাবার যদি ওকে দেখতে পেতাম...
নিজের ঘরের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এসবই ভাবছিল সোমা,হঠাৎই বাইরে থেকে শোরগোল শোনা গেল তারমানে শোয়েবদের বাড়ি থেকে হলুদের সবকিছু চলে এসেছে।মুচকি একটা হাসি ফুটে উঠল সোমার চোখে মুখে,হঠাৎ...
-অমন করে হেসো না জান,একেবারে বুকে এসে বিঁধে...
(সোমা চমকে উঠে পেছনে তাকালো,দেখলো দরজার কাছে শোয়েব হাসি হাসি মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে)
সোমা: তুত...তুমি!এ..এখানে!!
শোয়েব: হ্যাঁ আমি,কেন আসতে পারিনা?
সোমা: না পারো না...
শোয়েব: কেন আমার বৌয়ের কাছে আমি আসতে পারব না কেন?
(ওদিক থেকে কারো আসার শব্দ শুনে সোমা ছুটে গিয়ে শোয়েবকে ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে নিল,দরজা আটকাতে যাবে তখনই..)
প্রোমা: আপু কেউ কি এসেছে?
সোমা: ক..ই না..নাতো...
প্রোমা: (মুচকি হেসে)টেনশন নিস না,তোরা কথা বল আমি বাইরে থেকে পাহারা দিচ্ছি,কেউ আসলে সিগনাল দিব..
(প্রোমা চলে গেল)
সোমা: তুত..তুমি প্রো..মাকেও...
শোয়েব: হ্যাঁ আমার একমাত্র শ্যালাকা বলে কথা।দুলাভাইয়ের হেল্প না করে পারে?
সোমা: ওসব কথা বাদ আগে বল এসব কি হচ্ছে?
শোয়েব: কি হচ্ছে?
সোমা: তুমি এখানে কেন আসতে গেলে?
শোয়েব: বলেছিলাম না আমার বৌয়ের গায়ে প্রথম হলুদের ছোঁয়াটা আমিই দিব...
সোমা: তুমি না একটা পাগল...
শোয়েব: শুধু তোমার পাগল
সোমা: হয়েছে এখন যাওতো,কেউ দেখে ফেললে একটা কেলেঙ্কারি কাণ্ড ঘটে যাবে
শোয়েব: (সোমার গলা জড়িয়ে ধরে)আমি আমার বৌয়ের কাছে এসেছি,এখানে কেলেঙ্কারির কি দেখলে?
সোমা: (একটু রাগ করে)এই তুমি যাবে নাকি আমি কান ধরে বের করে দিব?
শোয়েব: তুমি পারবে আমার মত একটা ইনোসেন্ট বরের কান ধরতে?
সোমা: আমি অনেককিছুই পারি,দেখবে আমি কি পারি?
(এই বলে সোমা শোয়েবের কান টেনে ধরল,শোয়েব অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালো)
সোমা: বের হও বলছি ঘর থেকে,আর যদি এমন পাগলামি করেছো তো...
(শোয়েব মন খারাপ করে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো,সোমার এবার একটু খারাপ লাগছে)
সোমা: শোয়েব...
শোয়েব: হুম
সোমা: কিছু না বলেই চলে যাচ্ছো যে...
শোয়েব: তুত..তুমি সবসময় আমার সাথে এমন কর।আমাকে একটুও ভালোবাসো না।আমি কত কষ্ট করে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এখানে আসলাম আর তুমি...আর থাকব না এখানে আমি চলে যাব যেদিকে দুচোখ যায়...
সোমা: শসসসস!এদিকে এসো...
শোয়েব: না
সোমা: এসো বলছি...
(শোয়েব আস্তে আস্তে সোমার দিকে এগিয়ে গেল)
সোমা: বাব্বাহ্ আমার বরটা দেখি রাগ করেছে...
শোয়েব:....
সোমা: কি হল কথা বলবে না আমার সাথে?
শোয়েব: সরো আমি এখন বাসায় যাবো...
শোয়েব চলে যেততে চাইলো কিন্তু সোমা ওকে যেতে দিল না,ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল...
সোমা: I am sorryry.তোমার যা ইচ্ছে কর আমি কিছুই বলব না
শোয়েব: (সোমার কানে কানে)আপাতত তো হলুদ ই লাগাব বাঁকিটা পরে দেখা যাবে
সোমা: যাহ্ দুষ্টু...
শোয়েব: দুষ্টুমি কাকে বলে সেটাতো বাসরঘরে দেখবেন...
সোমা লজ্জা পেয়ে ছুটে যাচ্ছিল শোয়েব ওর হাত ধরে ফেলল তারপর ওকে বিছানায় বসিয়ে দিল আর নিজে ওর পায়ের কাছে হাঁটি গেড়ে বসল...
সোমা: কি করছ!নিচে বসলে কেন...
শোয়েব: শসসস!এখন আমি আমার বৌয়ের গায়ে হলুদ দিব সো কথা না বলে চুপচাপ দেখ...
সোমা আর কি করবে চুপচাপ শোয়েবের কাণ্ড-কারখানা দেখতে লাগল।শোয়েব একটা হলুদের বাটি মেঝেতে রাখলো তারপর সোমার কোমড়ের কাছ থেকে শাড়িটা আস্তে আস্তে সরাতে লাগলো...
সোমা: এ..এসব কি হচ্ছে?শোয়েব এটা কিন্তু একদম ঠিক হচ্ছে না...
শোয়েব: এটাই ঠিক হচ্ছে,এমন জায়গায় হলুদ দিব যাতে কারো চোখে না পড়ে।কেউ যদি দেখে ফেলে তাহলেতো তোমাকে প্রশ্ন করতে করতে আধমরা করে ফেলবে...
(সোমা আর কথা বাড়ালো না,চুপটি করে বসে রইল।শোয়েব সোমার কোমড়ে আলতো করে একটা স্লাইড করল,সোমা যেন একটু কেঁপে উঠল শোয়েবের হাতের স্পর্শে।শোয়েব মুচকি হেসে হাতে একটু হলুদ নিয়ে প্রথমে নিজের গালে একটু মাখাল তারপর সেটা সোমার কোমড়ে আলতো হাতে মেখে দিল তারপর সোমার দিকে তাকিয়ে বলল...
শোয়েব: কই আমাকেও একটু হলুদ মেখে দাও...
সোমা: তোমারতো হলুদ হয়েই গেছে তাহলে আবার কেন...
শোয়েব: জ্বিনা ম্যাডাম আমি কারো হাতেই হলুদ মাখিনি,প্রথম হলুদটা বৌয়ের হাত থেকে মাখব তাই...
এবার সোমা মুচকি হেসে নিজের হাতে একটু হলুদ নিয়ে শোয়েবের গালে মাখিয়ে দিল।শোয়েব এবার একটা মেহেদীর প্যাবেট বের করল...
সোমা: ওটা আবার কি হবে?
শোয়েব: তোমাকে পরাব
সোমা: কিন্তু মেহেদী তো কাল...
শোয়েব: কিন্তু কালতো আমি আসতে পারব না,আসলে কেউ আমাকে আসতে দেবে না তাই...
সোমা: তাই বলে আজকেই!!
শোয়েব: কেন তোমার কোন সমস্যা আছে?
সোমা: না মানে না নেই...
শোয়েব: হুম এখন চুপচাপ বসে থাকো...
সোমা আবারও চুপটি করে বসে পড়ল,শোয়েব সোমার শাড়ি সরিয়ে ওর ঠিক নাভি বরাবর নিজের নামের প্রথম অক্ষর "S" লিখল তারপর আলতো করে নিজের ঠোঁটটা ওর কোমড়ে ছুইয়ে দিয়েই বেরিয়ে গেল।সোমা এতক্ষণ চোখ বন্ধ করে ছিল যেন অন্য কোন রাজ্যে হারিয়ে গিয়েছিল,হুশ ফিরল প্রোমার ডাকে।প্রোমা ওকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল স্টেজের দিকে যেখানে সোমার আজকে গায়ে হলুদ যেয়া হবে...
.
কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই ওদের বিয়েটা হয়ে গেল,বিয়েতে সবাই এসেছে,ফারিয়া আর জেরিনও।ফারিয়া আর জাফিরের বিয়ের ডেট ফিক্স হয়ে গেছে,আগামী মাসেই ওদের বিয়ে।সবাইকেই বেশ খুশি খুশি লাগছে শুধু জেরিনের মনটাই একটা খারাপ।
সোমা: কি রে তোর আবার কি হল?অমন পেঁচার মত মুখ করে ঘুরে বেড়াচ্ছিস কেন?
জেরিন: তোরা যে যার মত সব প্ল্যানিং করে ফেললি কিন্তু আমার কথা কেউই ভাবলি না?
সোমা: মানে?
জেরিন: দেখ তোর বিয়ে হয়ে গেল,ফারিয়ারও কিছুদিন পরেই বিয়ে হবে খালি আমারই কিছু হল না।শালা বিয়েতো দূরে থার একটা বয়ফ্রেণ্ড পর্যন্ত জোটাতে পারলাম না!!
সোমা: (হাসতে হাসতে)ও এই কথা!আচ্ছা দাঁড়া এবার আমি আর কোর জিজু একসাথে তো জন্য পাত্র খুঁজব
জেরিন: থাক থাক তোদেরকে আর আমার কথা ভাবতে হবে না,আমি রিচেই নিজের ব্যবস্থা করে নিব হুহ...
সোমা: আরে জেরু দাঁড়া বলছি...পাগলি একটা...
.
চারপাশের ভিড় এড়িয়ে মোটামোটি একটা ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে আরহাম,এখানে এত মানুষ কিন্তু এদের মধ্যে শুধু সোমা,শোয়েব,জাফির আর জিসানই ওর পরিচিত।শোয়েব আর সোমাকেতো আজকে পাওয়া যাবেই না,জাফিরও এসে থেকেই ফারিয়ার পিছে পিছে ঘুরছে আর জিসান ওরতো কোন পাত্তাই নেই।অগত্যা একা একাই চারপাশে ঞোরার ডিসিশন নিয়েছে ও হছাৎই একটা মেয়ের দিকে চোখ আটকে গেল আরহামের।সাদা জামায় যেন স্বর্গের কোন অপ্সরী নেমে এসেছে বলে মনে হচ্ছে,ধীরে ধীরে ওর দিকে এগিয়ে গেল আরহাম।
আরহাম: Excuse me,can I speak to you for a while?
(আরহামের কথায় মেয়েটা ঘুরে দাঁড়ালো,ওর মুখে একটা চ্যুইংগাম ছিল,হঠাৎ কথা বলতে যাওয়ায় ফোলানো চ্যুইংগাম ফেটে চুপসে গেল।আরহাম অাবারো মুগ্ধ হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকলো)
-জ্বি বলেন..
আরহাম: বলছি যে আপনিও কি আমার মত একা?না মানে এখানে বর-কনে ছাড়া আমার তেমন কেউ পরিচিত নেই,আপনিও কি তেমন?
-এই আপনি কে বলেনতো,আপনি কি ভাইয়ার দিকের নাকি সোমার দিকের লোক?
আরহাম: (হাত বাড়িয়ে)Hi I am Arham,বলতে পারেন দুদিকেরই।আি সোমার ফ্রেণ্ড আর শোয়েব স্যারের ইমপ্লয়ি
-হুম বুঝলাম।আমি জেরিন,সোমার খুব ভাল ফ্রেণ্ড
আরহাম: ও..আপনিই জেরিন!সোমার মুখে আপনার আর ফারিয়ার কথা অনেকবার শুনেছি
জেরিন: রিয়েলি!আচ্ছা চলেন ঐ দিকটায় যাওয়া যাক,ওদিকে েককটু ফাঁকা
(ওরা দুজনে পাশাপাশি হেঁটে চলেছে,হয়তো নতুন কোন লাভস্টোরি শুরু হতে যাচ্ছে...)
(রাত ১১টা)
ড্রয়িংরুমে বন্ধুদের সাথে বসে আছে শোয়েব,সোমাকে সেই কখন বাসরঘরে রেখে এসেছে।শোয়েবো যাওয়ার জন্য উসখুশ করছে কিন্তু ওর বন্ধুরা কিছুতেই যেতে দিচ্ছে না।বন্ধুদেরকে মনে মনে হাজার রকমের গালি দিয়ে যাচ্ছে শোয়েব...
ওদের থেকে ছাড়া পেতে আরো প্রায় ঘণ্টাখানেক লেগে গেল,শোয়েব রুমে ঢুকতেই দেখল সোমা লম্বা একটা ঘোমটা টেনে বিছানার উপর জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে,মনে হচ্ছে যেন একটা পুতুল বসে আছে।শোয়েব আস্তে আস্তে ওর দিকে এগায়ে গেল,ওর ঠিক সামনে বসে ওর ঘোমটাটা ফেলে দিল তারপর অবাক চোখে ওকে দেখতে লাগলো...
(কয়েক ঘণ্টা পর)
রুমের লাগোয়া বারান্দায় বসে আছে ওরা,চাঁদের হালকা আলো যেন আশীর্বাদ হয়ে ওদের গায়ে অাছড়ে পড়ছে।শোয়েব একবার আকাশের চাঁদে দিকে আরেকবার ওর কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়া সোমার ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকাচ্ছে যেন বুঝতে চাইছে কে বেশি সুন্দর।আকাশের চাঁদ নাকি ওর পাশে বসে থাকা এই চাঁদমুখটা।আরো কিছু্ক্ষণ পর শোয়েব উঠে বসল,তারপর সোমাকে কোলে তুলে নিয়ে রুমের ভেতরে ঢুকল।আলতো করে ওর ঘুমন্ত দেহটাকে বিছানায় রাখল তারপর ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে নিজেও ঘুমিয়ে পড়ল...
(পরদিন দুপুরে)
আজ ওদেরকে সোমার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাবে,ও বাড়ি থেকে সবাই অনেক্ষণ আগেই চলে এসেছে।খাওয়া-দাওয়া শেষে সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে আছে,একটু পর সোমা আর শোয়েবও রেডি হয়ে নিচে নেমে আসলো।ওরা গাড়িতে উঠতে যাবে তখনি কোথা থেকে যেন সিজা ছুটে আসলো।এসেই সোমার গলায় একটা ছুরি ধরে ওকে মেরে ফেলার চেষ্টা করতে লাগল,শোয়েব কোন রকমে সিজার হাতটা চেপে ধরে রেখেছে কিন্তু সোমাকে কিছুতেই ছাড়াতে পারছে না।ঠিক তখনই একটা পুলশের গাড়ি এসে থামলো বাড়ির সামনে,দুজন মহিলা কন্সটেবল সিজাকে জোর করে ধরে নিয়ে যেতে লাগলো,যেতে যেতে সিজা চিৎকার করছে...
সিজা: আমি তোদের কিছুতেই ছাড়ব না,আমি আবার ফিরে আসব...
ওরা সিজাকে একটা গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলে গেল,গাড়িটা ছিল একটা মানসিক হসপিটালের...
শোয়েব: (অবাক হয়ে)ইন্সপেক্টর আপনারা ওকে এ্যারেস্ট না করে হসপিটালে কেন পাঠালেন?তাও আবার মানসিক হসপিটাল!
ইন্সপেক্টর: ওহ্ আপনারা তো জানেন না,উনি এখন মেন্টালি রিটার্ডেড
শোয়েব: (চমকে উঠে)মানে?
ইন্সপেক্টর: আসলে যেদিন আমরা উনাকে এ্যারেস্ট করি কার পরদিনই উনার বাবা উনার যামিন করিয়ে নেন তারপর ঐ রিশান নামের ছেলেটার সাথে এক রকম জোর করেই উনার বিয়ে দিয়ে দেন।বিয়ের পর থেকেই উনার মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।গত পরশু রাতে উনি নিজ হাতে উনার হাজবেণ্ডকে খুন করেছেন তারপর নিজের বাবাকেও গুলি করে পালিয়ে আসেন।আমরা জানতাম উনি এখানে আসবেন তাই আগে থেকেই...
শোয়েব: ওহ্ থ্যাঙ্ক গড আপনারা টাইমলি চলে এসেছিলেন নাহলে যে কি হত..
ইন্সপেক্টর: Any way নতুন জীবনের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল...
ইন্সপেক্টর চলে গেল,সোমা এখনও ভয়ে শোয়েবের পাঞ্জাবী চেপে ধরে ওর পেছনে লুকিয়ে আছে।শোয়েব মুচকি হেসে ওকে বুকে জড়িয়ে নিল তারপর বলল...
শোয়েব: ভয় পাচ্ছো কেন?আমিতো আছি তাইনা...আমি বেঁচে থাকতে কেউ তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না...
.
(দুই বছর পর)
হসপিটালের করিডোরে পায়চারি করছে শোয়েব,অনেক্ষণ হল সোমাকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,ঠিকই ধরেছেন সোমার আজকে ডেলিভারির ডেট।মেয়েটা ভেতরে যন্ত্রণায় কাঁতরাচ্ছে,বাইরে থেকেও সেই চিৎকার শোনা যাচ্ছে।সোমার আর্ত চিৎকারে শোয়েব আর নিজেকে স্থির রাখতে পারলো না,হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলল।ওর বাবা আর শ্বশুর দুজনে মিলেও ওকে কিছুতেই শান্ত করতে পারছেন না।শোয়েবের শুধু মনে হচ্ছে যদি ওর কষ্টগুলো নিজের করে নেয়া যেত...
হঠাৎই সোমা বেশ জোরে একটা চিৎকার দিয়ে উঠল আর তারপরই একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শোনা গেল,শোয়েবের যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে।তখনই ওটির দরজা খুলে গেল,একজন ডক্টর এসে জানালেন সোমার একটে ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে,মা ও সিশু দুজনেই সুস্থ আছে।শোয়েবের বুকের উপর থেকে যেন একটা পাথর সরে গেল,জোরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল আর তারসাথে দুফোঁটা আনন্দাশ্রু....
সোমাকে কেবিনে ট্রান্সফার করা হয়েছে,শোয়েব আস্তে আস্তে কেবিনে
 ঢুকল,ওকে দেখে সোমা একটা শুকনো হাসি দিল।ওর পাশে শুইয়ে রাখা ফুটফুটে পুতুলটাকে দেখে শোয়েব আবারও কেঁদে ফেলল,সোমা আশ্চর্য হয়ে ওর দিকে তাকালো...
সোমা: কি হল,এমন পাগলের মত কাঁদছো কেন?
(শোয়েব কোন জবাব না দিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো)
সোমা: (মেয়ের দিকে তাকিয়ে)দেখেছিস তোর বাবা কেমন পঁচা!তুই এসেছিস তবুও কেমন বাচ্চাদের মত কাঁদছে!মনে হয় তুই আসাতে একটুো খুশি হয়নি...
শোয়েব: শাট আপ সোমা 
(বলেই আবার কাঁদতে লাগলো)
সোমা: ইয়া আল্লাহ এখন এই দুটো বাচ্চাকে নিয়ে আমি কি করি?ছোট টাকেতো তাও ম্যানেজ করা যাবে কিন্তু এই বুড়া বাচ্চাটাকে নিয়ে যে কি করি...
(শোয়েব এবার আর না হেসে পারল না,মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে বলল)
শোয়েব: আমি বলেছিলাম না আমাদের একটা পরির মত মেয়ে হবে..আমার ইচ্ছেটা আজ পূরণ হল তাহলে...
সোমা: কিন্তু আমারটা যে অপূর্ণ থেকে গেল,আমানতো একটা জুনিয়র শোয়েব চাই..ব্যাপার না নেক্সট হবে...
শোয়েব: কোন নেক্সট টাইম হবে না,আমার আর কাউকে লাগবে না..
সোমা: কিন্তু...
শোয়েব: কোন কিন্তু না,তোমাকে এমন কষ্ট পেতে আর আমি দেখতে পারবো না...
(সোমা মাথা নিচু করে ফেলল)
শোয়েব: তোমাকে অনেক ধন্যবাদ সোনা,আমার শ্রেষ্ঠা মাকে আমায় উপহার দেয়ার জন্য...
সোমা: শ্রেষ্ঠা!!!
শোয়েব: হ্যাঁ শ্রেষ্ঠা,তোমার আর আর আমার ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন...
শোয়েব পরম মমতায় প্রথমে শ্রেষ্ঠার কপালে তারপর সোমার কপালে ভালোবাসার উষ্ণ পরশ ছুঁইয়ে দিল তারপর দুজনকেই বুকে জড়িয়ে নিল....
(সমাপ্ত)
#আজ গল্পটা শেষ হয়ে গেল তাই কিছু কথা না বললেই নয়।গল্পটা আমি শুরু করেছিলাম ব্যক্তিগত কিছু উপলব্ধি দিয়ে।ভালোবাসা কোনো পুতুল খেলা নয়!বরং একটি আত্মার বন্ধন!ভালোবাসা হয় দুটি মানুষের মনের
মধ্যকার মিলনের ফলে!ভালোবাসা
কোনো স্টাইল,কোনো ক্লাস,রূপ-লাবণ্য দেখে হয় না!এখন আসি বর্তমান প্রেক্ষাপটে!বর্তমানে বেশিরভাগ ভালোবাসা হয় স্টাইলের ভিত্তিতে,টাইমপাস ভিত্তিতে!যে ভালোবাসা শুধু ক্ষণিকের জন্য!
স্টাইল বলতে যা বুঝিয়েছি অনেক ছেলেমেয়ের কাছে ভালোবাসার মানে হচ্ছে শারীরিক সম্পর্ক!কেননা
কিছু ছেলেমেয়েরা আছে যারা শারীরিক সম্পর্ককে ভালোবাসা মনে করে এবং যারা শারীরিক সম্পর্কে সঙ্গ দেয় না তাদের কে Old School তথা ক্ষেত বলে চালিয়ে যায়!যার ফলে ভালোবাসাটা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়!এসব তারাই বেশী করে যারা High Quality পরিবারে জন্মগ্রহণ করে!কারণ তারা ভালোবাসার মূল অর্থই জানে না!এখন আসি অন্য প্রসঙ্গে!কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা যাদের বফদের সাথে নোংরামি করতে না পারলে তাদেরকে নানারকম অপমান করে ফলে ব্রেকআপও করে!কিন্তু যারা সৎ ছেলে তারা তাদের গফদের সাথে বিয়ের আগে নোংরামি করতে পারে না!কারণ তারা তাদের গফকে ভালোবাসে তাদের শরীরকে নয়!যার ফলে তার গফ যদি ব্রেকআপ করতে চায় তাহলে তার গফএর ইচ্ছামতো তাকে ছেড়ে দেয়!ঠিক তদ্রুপ কিছু কিছু ছেলেরাও তাদের গফদের সাথে নোংরামি না করতে পারলে তাদের সাথে ব্রেকআপ করে দেয়!আর আমরা জানি একটা মেয়ে যখন কাউকে সত্যিকার অর্থে ভালোবেসে ফেলে তখন তার ভালোবাসা বাঁচানোর জন্য বফদের মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে!ফলে মেয়েটি তার সবকিছু তার বফের কাছে বিলিয়ে দেয় এবং সেই ছেলেটি তার সবকিছু ভোগ করে একসময়ে তাকে ছেড়ে দিবে যখন মেয়েটি প্রেগন্যান্ট হয়!কিন্তু যারা রক্ষণশীল পরিবারের তারা কখনো তাদের বফ/গফ দের নোংরা প্রস্তাবে সাড়া দেয় না!এইজন্য যদি তাদের ব্রেকআপ হয় তখন তা-ও মেনে নেয়!কিন্তু যেসব ছেলেমেয়েরা ভালোবাসার জন্য শারীরিক সম্পর্ক কে একটা মাধ্যম মনে করে তারা বুঝে এটির মাধ্যমে তারা নিজেরা নিজের বিপদ ডেকে আনছে!বিশেষ করে মেয়েরা!কারণ ছেলেদেরকে কখনো দোষারোপ করা হয় না এগুলোর জন্য!এসবের জন্য দোষারোপ করা হয় মেয়েদেরকে!সমাজ তাদেরকে খারাপ চোখে দেখে!ভালোবাসার নামে শারীরিক সম্পর্ক মানে ভালোবাসা টিকিয়ে রাখা নয়!বরং ভালোবাসার অপমান করে!যেসব ভাইয়া আপুরা ভালোবাসার নামে এগুলো করতে চায় তাদেরকে বলতে চাই প্লিজ এমন কাজ করবেন না!কারণ বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করা মানে হলো নিজের জীবন নষ্ট করা!ভালোবাসুন তবে সেই মানুষের মনকে!শারীরিক সম্পর্ককে নয়!

লেখকের কিছু কথাঃ যাইহোক অনেক কথা বলে ফেললাম!আমরা লেখকদের-লেখিকাদের এগুলো বলার একটাই কারণ হলো আপনারা যাতে এর থেকে কিছু শিক্ষা নিতে পারেন!আপনারা যদি এসব লেখা থেকে কিছু শিখতে পারেন তাহলেই আমাদের লেখালিখি স্বার্থক!
গল্পটাতো শেষ কেমন লাগলো জানাবেন,আর হ্যাঁ সামনেই আমার এক্সাম তাই লম্বা একটা ছুটি নিব ভাবছি।হয়তো ৫-৬ মাসের একটা ব্রেক নিতে পারি,তবে যদি এর মধ্যে লেখালিখি করি তাহলে অবশ্যই আপনারা সময়মত সব পেয়ে যাবেন।
আর এতদিন যারা আমার টর্চার সহ্য করেছেন তাদের সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি,আশা করি ভবিষ্যতেও এভাবেই আপনাদেরকে কাছে পাবো....
Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ