লাভ গেমস্ - পর্ব ০১

লাভ গেমস্ - পর্ব ০১

লাভ গেমস্

লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu

পর্বঃ ০১

সোমা: I'm pregnant
শোয়েব: (চমকে উঠে)মানে কি?
সোমা: আমিতো না বোঝার মত কিছু বলিনি,আমি বলেছি I'm pregnant মানে আমি মা হতে চলেছি
শোয়েব: Stop joking Soma,আমি এখন মোটেও ফাযলামির মুডে নেই
সোমা: আমি মোটেও ফাযলামি করছি আর এই ব্যাপারটা নিয়ে কোন মেয়েই ফাযলামি করে না।
শোয়েব: (বেশ ঘাবড়ে গিয়ে)কিন্তু এটা কি করে সম্ভব!আমিতো তেমন কিছুই....
সোমা: কেন,সেদিন রাতে জিসানের বার্থডে পার্টির কথা ভুলে গেছ?
শোয়েব: না মনে আছে,কিন্তু ঐ রাতে আমি আসলেই কিছু করেছি কিনা আমারতো কিছুই মনে পড়ছে না।শুধু মনে আছে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে তোমাকে ঐ অবস্থায়....
সোমা: (রেগে গিয়ে)তবে কি আমি মিথ্যে বলছি?এই বিশ্বাস তোমার আমার উপর!
শোয়েব: এই না না,বিশ্বাস কেন করব না!আমিতো শুধু বলতে চাইছিলাম যে আমিতো তোমাকে ইমার্জেন্সি পিল কিনে দিয়েছিলাম,তাহলে এসব...
সোমা: (একটু শান্ত হয়ে)আসলে আমার পিলটা নিতে মনে ছিল না,মে বি ডিউ টাইমের পরে...
শোয়েব: (রেগে গিয়ে)What are you talking damn it?Are you mad or what?তোমার কোন আইডিয়া আছে তুমি কি বলছ?
সোমা: (কাঁদ কাঁদ হয়ে)তুমি এভাবে রিয়েক্ট করছ কেন?আমি কি ইচ্ছে করে করেছি নাকি?আর তুমিতো অনেকদিন ধরেই বলেছিলে বিয়ে করে নেবে বিয়ে করে নেবে তাহলে এখন প্রবলেমটা কোথায়?
শোয়েব: (চমকে উঠে) কি..ক..কি বলতে চাইছ তুমি?
সোমা: বলছি যে বিয়ে যখন করবেই তাহলে এখনই করে নাও,তাহলে আর কোন প্রবলেমই হবে না।আমাদের বেবিটা নিয়ে আমরা...
শোয়েব: Stop kidding Soma,জীবনটা এতটা সহজ না বুঝেছ?
সোমা: মানে?
শোয়েব: মানে তুমি বললেইতো আর এক্ষুণি বিয়ে করে ফেলা যায় না,আমার বাবা-মা আর সমাজেরওতো একটা ব্যাপার আছে তাইনা?
সোমা: তাহলে এতদিন আমাকে বিয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলে কেন?তখন বাবা-মার কথা মাথায় আসেনি?
শোয়েব: Try to understand Soma
সোমা: কি বুঝব আমি?কোন সমাজের কথা বলছ তুমি,যে সমাজে একটা মেয়ে একটা ছেলের সাথে গোপনে ফিজিক্যালি ইনভল্ভ হতে পারবে কিন্তু সেটা যদি প্রকাশ পেয়ে যায়,তখন মেয়েটাকে চরিত্রহীনার সীলমোহর লাগিয়ে দেয়া হয় আর ছেলেটা বীরদর্পে সবার চোখের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়ায় কেউ তাকে কিছুই বলে না,একটাবার জাবাবদিহি করারও প্রয়োজন বোধ করে না।অথচ মেয়েটার থেকে এক্ষেত্রে ছেলেটার দোষই বেশি থাকে,তার প্রলোভনেই মেয়েটা বাধ্য হয় ইন্টিমেট হতে।
শোয়েব: কি বলতে চাইছ তুমি!আমি তোমার সাথে জোর করেছি?
সোমা: আমি মোটেও সেটা বলতে চাইছি না,আমি জাস্ট সমাজের চিত্রটা তোমার সামনে তুলে ধরলাম আরকি যাতে তুমি সমাজের চিন্তাটা বাদ দাও
শোয়েব: তুমি এখন কি করতে চাইছ বলতো
সোমা: বিয়ে যখন আমাকেই করবে তখন এখনই করে নাও,বাবা-মাকে একটু বুঝিয়ে বললেই উনারা বুঝতে পারবেন।তুমি চাইলে আমিই উনাদের সাথে কথা বলতে পারি...
শোয়েব: তোমার মাথার ঠিক আছে তো?
সোমা: মা...ম..মানে?
শোয়েব: মানে তুমি কেন বুঝতে পারছ না আমার পক্ষে এই মুহূর্তে বিয়ে করাটা সম্ভব না,সবেমাত্র আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়েছে।এখনই এমন একটা ডিসিশন নিয়ে আমার ক্যারিয়ারটা ধ্বংস করার কোন মানেই হয় না
সোমা: তবে যে এতদিন ধরে তুমি বিয়ে বিয়ে করছিলে?
শোয়েব: সেটাতো জাস্ট আবেগের বশে বলেছি।Nothing was serious...
সোমা: হোয়াট?
শোয়েব: এত অবাক হচ্ছ কেন?আমিতো তোমাকে অবাক হওয়ার মত কিছু বলিনি...
সোমা: এটা অবাক হওয়ার মত কোন কথা না!
শোয়েব: না
(শোয়েবের কথা শুনে সোমা কিছু্ক্ষণ চুপ করে থাকল তারপর আস্তে আস্তে বলল...)
রোদেলা: তাহলে এখন আমাকে কি করতে বলছ?
শোয়েব: কোন ব্যাপারে?
সোমা: আমাদের বাচ্চাটার ব্যাপারে
শোয়েব: কি আর করবে,এ্যাবোরশন করিয়ে নাও
(শোয়েবের উত্তরে হতঃবিহ্বল হয়ে গেল সোমা।কি বলবে,কি বলা উচিত কিছুই বুঝতে পারছে না।বেশ খানিকটা সময় লাগল শোয়েব কি বলতে চাইছে সেটা বোঝার জন্য,যখন বুঝতে পারল তখন বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল)
শোয়েব: হঠাৎ চুপ করে গেলে কেন?আমিতো খারাপ কিছু বলিনি...
(সোমা আবারও বড় বড় চোখ করে তাকালো)
সোমা: আমাদের প্রথম বাচ্চা ও,আমি কি করে....পারব না,আমি কিছুতেই পারব না...
শোয়েব: দেখ সোমা,এই মুহুর্তে অামার কাছে আমার ক্যারিয়ারটাই সবচেয়ে বড়,তোমার জন্যে আমি কিছুতেই আমার ক্যারিয়ারটা নষ্ট করতে পারব না।আমাকে বিয়ে করতে চাইলে তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে।কিন্তু এই মুহুর্তে বিয়ে ছাড়া এই বাচ্চাটা তুমি কোনভাবেই রাখতে পারবে না তাই...
(সোমা কিছু্ক্ষণ মাথা নিচু করে শোয়েবের কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করল তারপর মিনমিন করে বলল)
সোমা: দেখ শোয়েব,বাবা আমার জন্য একটা পাত্র দেখেছে,আমাকে বাসায় যেতে বলেছে,এবার বাসায় গেলে কিন্তু আমার কোন কথাই শুনবে না,জোর করে হলেও বিয়ে দিয়ে দেবে
শোয়েব: তাহলেতো ভালই হল,বিয়ে করে ফেল...
সোমা: (চমকে উঠে)কি যা-তা বলছ!তোমার মাথার ঠিক আছেতো?
শোয়েব: আমার মাথা ঠিকই আছে,তুমিইতো এখন বাচ্চাটাকে নষ্ট করতে চাইছ না আর এই বিয়েটা করলে তোমার বাচ্চাটা বেঁচে যাবে,কেউ জানতেও পারবে না বাচ্চাটা তোমার হাজবেন্ডের নয়,অন্যকারো।তাই বলছি যে বিয়েটা করে ফেল তাতে তোমার বাবা-মা ও খুশি হবেন আর তুমিও...
সোমা: (রেগে গিয়ে)You have gone totally mad
শোয়েব: তুমি এভাবে কথা বলছ কেন?যা সত্যি আমিতো তাই বলেছি,এর মধ্যে রাগের কি হল আমিতো বুঝতে পারছি না
সোমা: তুমি বুঝতে পারবেও না,কারণ তুমি কখনই আমাকে ভালোবাসোনি,বেসেছ আমার এই শরীরটাকে।যতদিন এটাকে পেয়েছিলে না ততদিন ভালোবাসাটাও ছিল,এখন পেয়ে গেছ তাই চাহিদাটাও শেষ হয়ে গেছে আর সেজন্যেই এখন ছুড়ে ফেলে দিতে চাইছ
শোয়েব: বুঝতেই যখন পারছ তখন শুধু শুধু আমার টাইম ওয়েস্ট কেন করছ?
সোমা: মা...ম...মানে?
শোয়েব: মানেটা খুব পরিষ্কার,তোমার মত একটা মেয়ের সাথে আমি জাস্ট ইন্টিমেট হতে চেয়েছিলাম,আর কিছু না।
সোমা: (অবাক হয়ে)আমার মত মেয়ে মানে?
শোয়েব: আচ্ছা সোমা,তোমার মনে কখনও এই প্রশ্ন জাগেনি যে আমার মত সুন্দর,হ্যান্ডসাম,বড় ঘরের ছেলে যার নামে ক্যাম্পাসের যত সুন্দরী অার স্টাইলিশ মেয়ে এক কথায় পাগল,সে তোমার মত এত্ত সিম্পল,সাধারণ একটা গাঁইয়া মেয়ের পেছনে পেছনে কেন ঘুরছে?
সোমা: কি..ক..কি বলতে চাইছ তুমি?
শোয়েব: আসলে কি জানো,ঐসব হাই সোসাইটির স্টাইলিশ মেয়েগুলোর সাথে ফিজিক্যালি ইনভল্ভ হওয়াটা আমার কাছে একদম চা-নাস্তার মত ব্যাপার,ওটাতে কোন ক্রেডিট নেই।আসল ক্রেডিটটা আসে যখন তোমার মত সিম্পল,স্যুইট আর সাদাসিধে কাউকে পটাতে পারলে,তার সাথে ইন্টিমেট হতে পারলে...
(শোয়েবের কথা শুনে রোদেলা কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না,ওর মাথাটা কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।কি বলবে কি বলা উচিত তাও মাথায় আসছে না)
শোয়েব: আমরা ফ্রেন্ডরা মিলে বাজি ধরেছিলাম,যে তোমার সাথে যে ফিজিক্যাল এ্যাটাচড হতে পারবে তার পুরো মাসের নাইট ক্লাবের যাবতীয় বিল আমরা বিয়ার করব।আমার ফ্রেণ্ডদের অনেকেই চেষ্টা করেছে তোমাকে পটানোর কিন্তু ওরা পারেনি,আমি পেরেছি।বুঝই তো সবারতো আর সেই পটেনশিয়ালিটি থাকে না তাই...
(নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছে না সোমা) 
সোমা: কি যা-তা বলছ!এসবের মানে কি শোয়েব?আমার কিন্তু একদম ভাল লাগছে না...
শোয়েব: ভাল না লাগলেও শুনতে হবে।আমার ইচ্ছে ছিল আরো কিছুদিন তোমার সাথে রিলেশনটা কন্টিনিউ করব,একবার যখন তুমি ফিজিক্যালি ইনভল্ভ হয়েছ আবার হবে।কিন্তু তুমিতো সংসার করার চিন্তা শুরু করেছ তাই সব বলেই দিলাম।
সোমা: তারমানে মেয়েদের মূল্য তোমাদের কাছে শুধুমাত্র নাইটক্লাবের এক মাসের বিলের সমান!
শোয়েব: তোমার যা ইচ্ছে ভাবতে পার...
(নিজের রাগটাকে আর কনট্রোল করতে পারল না সোমা,চিৎকার করে বলল..)
সোমা: ইউ লায়ার,ইউ স্কাউন্ড্রেল,হাউ ক্যান ইউ ডু দিস টু মি!আর ইউ কিডিং শোয়েব?আমি জানি তুমি মজা করছ আমার সাথে,ভাল হচ্ছে না কিন্তু...
শোয়েব: আর ইউ ম্যাড অর হোয়াট?তুমি বুঝতে পারছো না আমি সিরিয়াস?শোন মেয়ে,আমাকে বিয়ে করার চিন্তাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল আর জীবনটাকে নতুন করে সাজাও বুঝলে?স্টপ ইরিটেটিং মি...
সোমা: (কিছু্ক্ষণ চুপ করে থেকে) এটাই কি তোমার শেষ সিদ্ধান্ত?
শোয়েব: হুম
(একটা সূক্ষ্ম হাসির রেখা ফুটে উঠল সোমার ঠোঁটের কোণে)
সোমা:ঠিক আছে মি.শোয়েব,ভাল থাকবেন আর অল দ্য বেস্ট ফর ইয়োর ফিউচার...
কথাটা বলেই কান থেকে ফোনটা নামিয়ে রাখল সোমা,ডিসকানেক্ট করে দিল।শোয়েব ফোনটা হাতে নিয়ে অনেক্ষণ চুপচাপ বসে থাকল,সোমার এমন শান্ত-শিষ্ট রিয়্যাকশন কিছুতেই নিতে পারছে না।ওর মত মেয়ে এত কঠিন ব্যাপারটা এত ইজিলি কিভাবে হজম করে নিল কিছুতেই ওর মাথায় আসছে না,ও তো ভেবেছিল মেয়েটা কান্না-কাটি করে অস্থির করে ফেলবে কিন্তু ও তো....আসলে সোমাকে সত্যিটা এভাবে জানানোর কোন ইচ্ছেই ছিল না ওর,ও চেয়েছিল আরো কিছুদিন ওর সাথে আমোদ-ফূর্তি করবে,টাইমপাস করবে তারপর সবকিছু খুলে বলবে কিন্তু আজ যে সিচুয়েশন ক্রিয়েট হয়েছিল তাতে না বলে কোন উপায়ও ছিল না।কারণ ওর মত ওল্ড ফ্যাশনড আন্টিজি টাইপসের মেয়ের সাথে আর যাই হোক বিয়ে করা যায় না,বিয়ে করতে হলে সিজা,অর্পা,রেসির মত মর্ডান মেয়েদেরকেই করা যায় যারা ওদেরই সোসাইটিতে বিলং করে,সোমার মত বিলো মিডল ক্লাস মেয়েদের শোয়েবদের সাথে মানায় না,ওদের জায়গা ওদেরই সমপর্যায়ের কারো ঘরে।শোয়েবকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে পিয়াল ওর পিঠে একটা থাবা দিল..
পিয়াল: কি রে,তুই এভাবে বসে আছিস কেন?
শোয়েব: ও কিছু না,তুই কখন এলি?
পিয়াল: যখন আপনি চিন্তার জগতে ডুব দিয়েছিলেন
শোয়েব: আমি আবার কখন চিন্তার জগতে ডুব দিলাম?
পিয়াল: ঠিক আছে,এসব বাদ দে,তোর সাথে আমার খুব ইম্পর্টেন্ট কিছু কথা আছে...
শোয়েব: কি কথা?বল...
পিয়াল: আরে ইয়ার,টয়া ডেটে যেতে রাজি হয়েছে তাই...
শোয়েব: রিয়েলি!কনগ্রাচুলেশন ব্রো,মালটা কিন্তু সেই,ট্রিটটা কবে দিচ্ছিস বল
পিয়াল: আরে সেটাতো দিবই,তোর বুদ্ধিতেইতো সব...
শোয়েব: হুম বুঝলাম,তা কোথায় যাচ্ছিস?
পিয়াল: সেটাই তো বুঝছি না,আচ্ছা শোন না তোর বাংলো বাড়িটায় গেলে কেমন হয়?
শোয়েব: ভালই হবে তবে একটা ঝামেলা আছে
পিয়াল: কি ঝামেলা?
শোয়েব: টয়া কিন্তু সেই চালু চিজ,তাই ফার্স্ট চান্সে কিছু করা যাবে না বুঝে শুনে টাইম নিয়ে করতে হবে
পিয়াল: কিন্তু...
শোয়েব: কোন কিন্তু না,একটু সবুর কর ব্রো।এই রকম একটা আইটেমের সাথে নাইট স্পেন্ড করবা আর ধৈর্য্য ধরবা না তা তো হবে না...
পিয়াল: কিন্তু কতদিন দোস্ত?ওরে দেখলেইতো আমার...
শোয়েব: খুব বেশিদিন না,আমার উপর বিশ্বাস আছেতো?
পিয়াল: অবশ্যই
শোয়েব: তাহলে যা বলছি সেভাবে কাজ করতে থাক,চিড়িয়া আপনা-আপনি তোর ফাঁদে পা দিয়ে দেবে...
পিয়াল: ওক্কে বস,এখন রেডি হব বেরোব
শোয়েব: কোথায়?
পিয়াল: তোর কারটা নিয়ে ঘুরব কিছু্ক্ষণ,রিকি,জিসান আর আয়ানকেও পিক করে নিব তারপর ডিনার শেষে নাইটক্লাব ওকে?
শোয়েব: নট ওকে,নাইটক্লাবে আর ভাল লাগে না,মেয়েগুলা একটাও জাতের না বুঝলি?
পিয়াল: মিডনাইট বারে কয়েকটা নতুন মেয়ে এসেছে,রিকি গিয়েছিল কাল বলল খাসা মাল,চল না একবার গিয়ে দেখে আসি...
শোয়েব: রিকি বলেছে?তাহলে তো যেতেই হচ্ছে...
পিয়াল: তাহলে?
শোয়েব: তাহলে আর কি,তুই বস আমি এক্ষুণি রেডি হয়ে আসছি...
.
ট্রেনটা প্লাটফর্মে এসে থামতেই উঠে দাঁড়ালো সোমা।ট্রেনে উঠে নিজের সিটে গিয়ে বসেই ফোনটা হাতে নিয়ে ডায়াল করল জাফিরের নাম্বারে,কয়েকবার রিং হতেই ওপাশ থেকে শুনতে পেল...
জাফির: কিরে পাগলী কি খবর?
সোমা: এইতো ভাল
জাফির: ফারিয়া ফোন দিয়েছে,দাঁড়া ফারিয়াকে কনফারেন্সে নেই
(কয়েক সেকেন্ড পরেই ওপাশ থেকে ফারিয়ার কণ্ঠ শোনা গেল)
ফারিয়া: কি ম্যাডাম কি খবর আপনার?
সোমা: এইতো...
ফারিয়া: কি রে,তোর কণ্ঠটা এমন শুকনো শুকনো লাগছে কেন?
জাফির: তাই নাকি?কি রে পাগলী কি হয়েছে?
সোমা:(কিছুক্ষণ থেমে)তোর ধারণাই ঠিক...
জাফির: মানে?কোন ধারণার কথা বলছিস বলতো...
সোমা: শোয়েবের ব্যাপারে
ফারিয়া: কি!!তার মানে...
সোমা: হুম
ফারিয়া: ওহ নো,আই কান্ট বিলিভ দিস।শোয়েব ভাইয়া কিভাবে....
জাফির: তুই শিওর তো?
সোমা: হুম,ও আমাকে নিজের মুখে বলেছে
জাফির: ওহ শিট!আমিতো জাস্ট এমনিই...
সোমা: এটাই সত্যি
ফারিয়া: তুই ঠিক আছিস তো?
সোমা: হুম
জাফির: আচ্ছা তুই এখন কোথায় আছিস বলতো,আমরা এক্ষুণি আসছি
সোমা: তোদের কাউকে আসতে হবে না,আমি বাসায় যাচ্ছি আর শোন দুদিন পরেই আমার বিয়ে
জাফির+ফারিয়া: কি!!!
সোমা: হ্যাঁ,আর শোন আমার নাম্বার বন্ধ থাকবে প্রয়োজন হলে আমিই তোদের ফোন করে নিব
জাফির+ফারিয়া: আরেহ সোমা শোন...
কিন্তু ওদের কোন কথাই সোমার কানে গেল না কারণ তার আগেই ও ফোনটা ডিসকানেক্ট করে দিয়েছে।ট্রেন তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে আর তারসাথে সোমাও এগিয়ে যাচ্ছে পুরনো স্মৃতিগুলোকে পেছনে ফেলে নতুনের সন্ধানে।সোমা বসেছে জানালার পাশে,জানালা দিয়ে হু হু করে ববাতাস আসছে আর সেই বাতাসে সোমার চুলগুলো পত্ পত্ করে উড়ছে।ফোন থেকে সিমটা খুলে নিয়ে জানালা দিয়ে বািরে ছুড়ে ফেলে দিল সোমা তারপর মুচকি হেসে মনে মনে বলল বিদায় মি.শোয়েব,আশা করি আর কখনও কোন যোগাযোগ হবে না,আর কখনও আপনার ঐ কুৎসিত মুখখানা দেখতে হবে না...

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ