লাভ গেমস্ - পর্ব ১০

লাভ গেমস্ - পর্ব ১০

লাভ গেমস্

লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu

পর্বঃ ১০

ঘুটঘুটে অন্ধকার একটা ঘর,চারিদিকে শুনশান নিরবতা,রুমটা এতটাই অন্ধকার যে খুব ভাল করে খেয়াল না করলে বোঝায় যাবে না যে ঘরটাতে কেউ আছে,কিন্তু একজন আছে এই রুমে।ঘরটার ঠিক মাঝখানে একটা বিছানা,তাতে একটা মেয়ে সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে,মেয়েটার নাম সোমা...
খুব ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালো সোমা,মাথাটা প্রচণ্ড রকম ভারি ভারি লাগছে,চিনচিনে একটা ব্যথা অনুভব করছে,যন্ত্রণাটা এতটাই তীব্র যে মাথাটা টেনে ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।মাথায় হাত দিয়েই ধীরে ধীরে বিছানায় উঠে বসল সোমা,চারদিকে খুব ভাল করে তাকিয়ে দেখল কিন্তু নাহ্ কোন কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
এটা কোন জায়গা আর এখানে ও এলই বা কি করে বুঝতে পারছে না সোমা।ঝটপট সবকিছু মনে করার চেষ্টা করছে সোমা,মনে মনে হিসেবটা কষে নিচ্ছে কিন্তু কিছুতেই মিলছে না।
"আজকে তো আমার বিয়ে,সকাল থেকে তো সবাই সেসব নিয়েই বিজি ছিল।তারপর....তারপর দুপুরের দিকে বরযাত্রী আসার শব্দ পেতেই সবাই বেরিয়ে গেল আর তারপর...
আর কিছুইতো মনে পড়ছে না,আচ্ছা আমি এখানে এলাম কি করে?কে নিয়ে আসল এখানে?"
এসব ভাবতে ভাবতেই নিজের দিকে একবার তাকালো সোমা,অন্ধকারে কিছুই পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না কিন্তু তবুও জানালা দিয়ে আসা হালকা আলোয় বোঝা যাচ্ছে যে ও এখনও বিয়ের সাজে সেজে আছে।বরের বাড়ি থেকে আগে ভাগেই বিয়ের কিছু জিনিস পাঠিয়ে দিয়েছিল তাই ওরা আসার আগেই ওকে মোটামোটি বৌয়ের সাজেই সাজিয়ে ফেলেছিল তারমানে যেই ওকে এখানে নিয়ে এসেছে বরের আসার পরেই করেছে।কিন্তু কিছু মনে পড়ছে না কেন?ব্রেনে একটু জোর দিতেই ভাসা ভাসা ভাবে মনে পড়ল,সবাই বেরিয়ে যেতেই রুমে কেউ একজন এসেছিল,এসেই ওর মুখে একটা রুমাল চেপে ধরেছিল তারপর আর কিছুই মনে নেই....
হঠাৎই রুমের দরজাটা খুলে কেউ ভেতরে ঢুকল,রুমের লাইটটা জ্বলে উঠতেই চমকে উঠল সোমা।
সোমা: তুত...তুমি!😮 
শোয়েব: হ্যাঁ আমি
সোমা: তুত..তুমি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছো?
শোয়েব: হুম
সোমা: কিন্তু কেন?
শোয়েব: কি ভেবেছিল তুমি,আমার সাথে ডাবল গেম খেলবে আর আমি কিছুই বুঝতে পারব না?😡
সোমা: কি..ক কি করেছি আমি?
শোয়েব: বুঝতে পারছ না তাইনা?খুব ভাল সাজার চেষ্টা চলছে তাইতো?শোন সোমা,আর ওসব নাটক করে আর লাভ নেই,তোমার ভাল মানুষের মুখোশ খুলে গেছে
সোমা: আ..আমি নাটক করছি?
শোয়েব: দেখেতো মনে হয় ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে পারোনা অথচ পেটে পেটে এত শয়তানি!
সোমা: (ফুঁপিয়ে)আমি কি করেছি?আমার সাথে এভাবে কথা বলছ কেন?আর আমাকে এখানে তুলে এনেছ কেন?
শোয়েব: তো কি করব?আমার সাথে কেউ ডাবল গেম খেলবে,আমাকে ঠকাবে আর আমি তাকে এমনি এমনি ছেড়ে দিব?
সোমা: তোমার কথার মাথা-মুণ্ডু আমি কিছুই বুঝতে পারছি না
শোয়েব: পারবে পারবে সব বুঝতে পারবে তার আগে আমার সাথে দুই নম্বরি করার শাস্তি যে তোমাকে পেতে হবে...
(কথাটা বলেই শোয়েব সোমার চুলের মুঠি ধরে ওকে নিজের দিকে টেনে আনলো তারপর ওর তলপেটে বেশ জোরে একটা আঘাত করল,সোমা যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠল)
শোয়েব: আরও জোরে চিৎকার কর,এই শোয়েবের সাথে চালাকি তাইনা?এত বড় সাহস তোমার!এখন বুঝবে আমার সাথে বিট্রে করার কি শাস্তি হতে পারে😡
সোমা: শোয়েব ছাড় প্লিজ লাগছে তো...
শোয়েব: (সোমার মুখটা চেপে ধরে)কোথায় লাগছে সোনা?ও বুঝেছি তুমি তো প্রেগনেন্ট তারমানে এখানে লাগছে(তলপেটে চাপ দিয়ে)
(সোমা চমকে উঠে শোয়েবের দিকে তাকালো)
সোমা: তুত..তুমি...😟
শোয়েব: সব জেনে গেছি,জেনে গেছি যে সেরাতে আমাদের মাঝে কিছুই হয়নি।তুমি হয়ত জানতে না যে ঐ রুমে একটা হিডেন ক্যামেরা ছিল...
সোমা: (অবাক হয়ে)ছি!শোয়েব,তুমি এত নিচ!আমার সাথে যা করতে চেয়েছিলে তার রেকর্ডিং করতে চেয়েছিলে😮
শোয়েব: (সোমার চুলের মুঠি ধরে)হ্যাঁ হ্যাঁ আমি নিচ এন্ড আই এ্যাম হ্যাপি ফর দ্যাট,এখন বল সে রাতে ঠিক কি কি হয়েছিল...
সোমা: (ঢোক গিলে)কি..ক কিছুই হয়নি
শোয়েব: কি করেছিলে আমার সাথে সেটা জানতে চাইছি
সোমা: (মনে মনে)জেনে যখন গেছেই আর লুকিয়ে লাভ নেই,আর এখন ওকে কিছুতেই বুঝতে দেয়া যাবে না যে আমি ভয় পাচ্ছি।বুকে সাহস নিয়ে এই শয়তানটার মোকাবিলা করতে হবে
শোয়েব: কি হল,কথা কানে যাচ্ছে না?আমার কথার জবাব আমি চাই,জাস্ট স্পিক আপ ইউ ব্লাডি.....
সোমা: অনেক হয়েছে,তোমার অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি আর না।আর একবার আমার গায়ে হাত দিলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে
শোয়েব: (সোমাকে ধাক্কা দিয়ে)কি করবে তুমি?কিই বা করার আছে তোমার?ভালই ভালই সব বলে দাও বলছি নাহলে বুঝবে আমি আরও কত নিচে নামতে পারি...
সোমা: ব্যাস বলছি,খুব ভাল করে শোনেন।তুমি যেদিন আমার সাথে ফিজিক্যালি ইনভল্ভ হতে চাইলে,সেদিনই আমার সন্দেহ হয়েছিল তোমার উপর তাই হঠাৎ করেই যখন তুমি আমাকে জিসানের বার্থডে তে ইনভাইট করলে আমার মনে হচ্ছিল কোন একটা ঘাপলা আছে
শোয়েব: তারপর...😡
সোমা: তাই তোমার অফার করা ড্রিংকটা আমি তোমার সাথেই বদলে দিয়েছিলাম আর নিজে সেন্সলেস হওয়ার ভান করেছিলাম
শোয়েব: (দাঁতে দাঁত চেপে)ইউ...
সোমা: চুপ একদম চুপ আমার কথা এখনও শেষ হয়নি।সেই রাতে আমি সেন্সলেস ভেবে আমাকে ঐ রিমটাতে নিয়ে গিয়েছিলে কিন্তু আফসোস আমার সাথে খারাপ কিছু করার আগেই তোমার উপর ঐ ঔষধটার রিয়্যাকশন শুরু হয়ে গেল আর তুমি ঘুমিয়ে পড়লে(বলেই হাসতে লাগল সোমা)
শোয়েব: আর তারপর আমার ঘুম ভাঙ্গার আগে তুমি নিজেই নিজের জামা-কাপড়েরর ঐ অবস্থা করেছিল তাইতো?
সোমা: ঠিক তাই,তোমার সাথে এই প্রেগনেন্সির নাটকটা কেন করেছিলাম জানো?আমি দেখতে চেয়েছিলাম তুমি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো নাকি শুধুই অভিনয় করছ।বিলিভ মি শোয়েব তুমি যদি এই পরীক্ষায় পাশ করতে তাহলে আমি তোমাকে সব খুলে বলতাম আর বিয়েটা আমি এত তাড়াতাড়ি কিছুতেই করতাম না কিন্তু আফসোস তুুমি পরীক্ষায়...
শোয়েব: নিজেকে খুব চালাক ভাব তাইনা?আজ বুঝবে আমার সাথে চালাকির পরিণাম কি হতে পারে।সেই রাতে তোমাকে পাইনি তাতে কি হয়েছে আজ আর তোমাকে ছাড়ছি না,সেদিনতো তোমার সাথে যা কিছু করতাম সেন্সলেস অবস্থায় করতাম কিন্তু আজ যাই করব স্বজ্ঞানে করব।আমাকে ঠকিয়ে ঐ ছেলেকে বিয়ে করে সুখে থাকতে চেয়েছিলে না?এখন দেখব কে তোমাকে বিয়ে করে...
সোমা: হা হা হা
শোয়েব: (অবাক হয়ে)মনে হচ্ছে অধিক আঘাতে মাথাটা আওলে গেছে
সোমা: আমার মাথা ঠিকই আছে,এখন আমি যেটা বলব তাতে হয়ত তোমার মাথাই ঠিক থাকবে না 
শোয়েব: মানে?
সোমা: মি.শোয়েব আপনি সব ছেলেকেই নিজের মাপকাঠিতে বিচার করেন তাইনা?যদি তাই হয় তাহলে শুনে রাখেন সব ছেলে আপনার মত খারাপ হয় না
শোয়েব: মানে কি?
সোমা: তুহিন আপনার ব্যাপারে সবই জানে আর আমি অসতী কি প্রেগনেন্ট বা দুই বাচ্চার মা তাতে তার কিছুই যাই আসে না,আমি যেমন সে আমাকে সেভাবেই আপন করে নেবে বুঝেছেন?
শোয়েব: (রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে)ঠিক আছে আমিও দেখে নেব ওই তুহিন না কি যেন নাম,ঐ ছেলে কি করে তোমাকে পায়...
শোয়েব চলে গেল,যাওয়ার আগে বেশ জোরেই ঘরের দরজাটা বন্ধ করে দিল।শোয়েব চলে যেতেই সোমা ধপ্ করে বসে পড়ল,এতক্ষণ যতটা সাহস আর শক্তি সঞ্চয় করে শোয়েবের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল এক নিমেষেই সব শেষ হয়ে গেল।হাত-পা থরথর করে কাঁপতে লাগল আর সেই সাথে দুচোখ বেয়ে যেন শ্রাবণধারা ঝরতে লাগল।বার বার শুধু একটা জিনিসই মনে আসছে,না জানি বাড়িতে এখন কি ঝড় বয়ে যাচ্ছে😟
.
কয়েক ঘণ্টা আগেও যে বাড়িটা আনন্দ আর কোলাহলে উচ্ছ্বসিত ছিল,এখন সেই বাড়িটাই শোকে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে।কনের বাবার কিছু্ক্ষণ আগেই মাইনর একটা হার্টএ্যাটাক হয়ে গেছে,উনি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না উনার বড় মেয়ে,সোমা এমন একটা কাজ করতে পারে।শুধু উনি না বাড়ি ভর্তি এত মানুষজন তাদের কেউই বুঝতে পারছে না সোমা কেন এমন একটা কাজ করতে গেল!যেই মেয়ে বিয়েতে এতটা খুশি ছিল সেই মেয়ে হঠাৎ করে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গেল!কিন্তু কেন?এই প্রশ্নটার উত্তর কারোরই মাথায় আসছে না...
যেই মেয়েকে এতটা বিশ্বাস করতেন,তার কাছে এমন বিশ্বাসঘাতকতা পেয়ে সোমার বাবা আর সহ্য করতে পারেননি,সবাই যখন সোমার ঘরে গিয়ে ওকে না পেয়ে ফিরে আসল তখন সবাই হন্যে হয়ে ওকে খুঁজতে লাগল।কিন্তু সোমার ঘরের জানালায় একটা শাড়ি ঝুলতে দেখে কারোরই আর বুঝতে বাঁকি থাকল না যে বিয়ের কনে পালিয়ে গেছে।মুহুর্তেই কথাটা সবার কানে পৌঁছে গেল,সোমার বাবার কানে খবরটা পৌঁছতেই উনার হার্টএ্যাটাক হয়ে গেল...
বরযাত্রীরা ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে,পুরো ঘটনায় তুহিন এতটাই হতভম্ব হয়েছে যে কি বলবে বা কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না,চুপচাপ এক কোণায় দাঁড়িয়ে সবকিছু দেখছে।সবাই চলে যাবে ঠিক তখনই তুহিনের বাবা সোমার বাবার অসুস্থতার কথাটা শুনলেন,সব অসন্তোষ ভুলে তিনি ছুটে গেলেন তার কাছে।তুহিনের বাবাকে দেখেই সোমার বাবা কেঁদে ফেললেন
-ভাই সাহেব,আপনি আমাকে মাফ করে দিয়েন,আমার মেয়েটা যে এমন একটা কাজ করবে আমি কোনদিন চিন্তাও করতে পারিনি,ওর হয়ে আমি আপনার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি...
-এখন ওসব থাক না ভাই সাহেব
-কেন থাকব,আমার মেয়ের জন্য আপনাদের যে অপমান সহ্য করতে হয়েছে তার জন্যে আমার হাজারবার ক্ষমা চাইলেও শোধ হবে না 
-ছি!ছি!ভাই সাহেব,আপনি আর এভাবে ক্ষমা চাইবেন নাতো,অপমানতো আপনাকেও কম সহ্য করতে হয়নি।আমি বুঝতে পারছি এই মুহূর্তে আপনার উপর দিয়ে কি ঝড় বয়ে যাচ্ছে,আপনি একটু নিজের দিকে খেয়াল করুন...
-কি করে করব বলেন,ওই মেয়ে যে আমাদের মুখে চুনকালি মেখে দিল।একটাবার ছোট বোনটার কথাও চিন্তা করল না!একটাবার ভাবল না যে ওর এমন একটা কাজের কারণে আমার এই মেয়েটাকেও কেউ ঘরের বৌ করতে চাইবে না...
-(চুপ)
-ওই মেয়ে তো আমার কাছে এখন মৃত,কিন্তু আমার এই মেয়েটার এখন কি হবে?ওর জীবনটাও যে নষ্ট হয়ে গেল...😪😪😪
-(সোমার বাবার হাত ধরে)প্লিজ আপনি আর এভাবে কাঁদবেন না,আপনি রাজি থাকলে আজ এই মুহূর্তে আমি প্রোমা মাকে আমার ঘরোর বৌ করে নিয়ে যেতে চাই।আমার ছেলে তুহিনের বৌ হিসেবে আমি প্রোমা মাকে আপনার কাছ থেকে চেয়ে নিচ্ছি,আপনি প্লিজ আর না করবেন না...
-আ..আপনি সত্যি বলছেন ভাই সাহেব?
-আরে কিসের ভাই সাহেব,বেয়াইসাব বলেন...
সোমার বাবা আনন্দে তুহিনের বাবাকে জড়িয়ে ধরলেন,তার দুচোখ বেয়ে আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ল...
দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকায় ওদের সব কথাই প্রোমার কানে গেল,সব শুনে ছুটে নিজের রুমে চলে গেল গিয়েই বিছানায় গা এলিয়ে দিল।খুব কষ্ট লাগছে ওর,জীবনটা এক মুহুর্তে যে এভাবে বদলে যাবে কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না।চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে কিন্তু তাহলে যে বাবা শুনতে পাবে।উনার কানে গেলে উনি অনেক কষ্ট পাবেন,মনে মনে বলল তুই এমন কেন করলি আপু?
হঠাৎ দরজায় কেউ কড়া নাড়ল,প্রোমা চুপচাপ চোখের পানি মুছে নিল।দেখল মা এসেছে,তার হাতে গাঢ় খয়েরি একটা বেনারসি শাড়ি
মা: মা রে,তোকে আমার কিছু কথা বলার ছিল...
প্রোমা: আমি জানি তুমি কি বলবে,দাঁড়িয়ে আছো কেন?আমাকে শাড়িটা পরিয়ে দেবে না?আর সবাইকে ডাকো...আমি কি এভাবেই বিয়ে করব নাকি,আমাকে বৌ সাজিয়ে দেবে না কেউ?একটা কথা আমি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি,আমাকে কিন্তু আপুর থেকেও সুন্দর করে সাজাতে হবে,এই ব্যাপারে আমি কোন রকম কম্প্রোমাইজ...
প্রোমা তার কথা শেষ করতে পারল না তার আগেই মা ওকে দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেই হু হু করে কেঁদে উঠল।মায়ের কান্না দেখে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না প্রোমা,মাকে জড়িয়ে ধরে নিজেও কাঁদতে লাগল।দুজনেই কাঁদছে কিন্তু কেউ ই কাউকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছে না।মা বুঝতে পারছেন না তার এই ছোট্ট মেয়েটা কবে এত বড় হয়ে গেল....

বিঃদ্রঃ গল্পটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।




Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ