Crush by Doctor

"Crush by Doctor"

- আহ আহ আস্তে ব্যাথা পাবো।(আমি)
চোখটা বন্ধ করে ফেললাম।
কিন্তু ব্যাথা পাচ্ছিনা কেনো?
- হয়ে গেছে যেতে পারেন?(মেয়ে)
- এইযে মিস?(আমি)
- ছোয়া?(মেয়েটা)
- সত্তি করে বলুন তো ইনজেকশন দিছেন কিনা?(আমি)
- হুম দিছি।(ছোয়া)
- কিন্তু আমি তো ব্যাথা পেলাম না।(আমি)
- কেনো ব্যাথা পাওয়ার কথা ছিলো নাকি?(ছোয়া)
- না মানে ছোট বেলায় আমাকে একবার ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিলো। জানেন না কতটা ব্যাথা পাইছিলাম।তারপর কি করছিলাম জানেন?(আমি)
- কি করছিলেন?(ছোয়া)
- আমি অনেক বার মানা করছিলাম আমাকে যাতে ইনজেকশন না দেয় তারপরও জোর করে দিছিলো আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে ওই ব্যাটা ডাক্তার কে ৭টা ইনজেকশন দিছিলাম। তারপর থেকে আমাকে দেখলে ওই ডাক্তার দৌড়ে পালাতো হাহাহা।(আমি)
- আপনি তো খুব মজার কথা বলেন?(ছোয়া)
- আরে মজা না সত্তি?(আমি)
- আমাকেও ইনজেকশন দিবেন নাকি?(ছোয়া)
- নাহ আপনি তো ব্যাথা দেন নাই কখন দিছেন জানিই না।(আমি)
- আচ্ছা আপনার হাতটা দেন তো?(ছোয়া)
- আচ্ছা ধরেন।(আমি)
- চোখটা বন্ধ করেন।(ছোয়া)
চোখটা বন্ধ করতেই আমার হাতে ইয়া মোটা একটা সুই ঢুকিয়ে দিলো।
চিৎকার করে উঠলাম আমি।
মেয়েটা ইনজেকশন দিয়ে দৌড়ে পালালো।
কি ফাজিল মেয়েরে বাবা বললো ইনজেকশন দিছে এখন তাহলে আবার দিলো কেনো?তার মানে মিথ্যা বলে আমাকে ইনজেকশন দিছে।
ওরে সামনে পাইলে আমি দশটা ইনজেকশন দিবো।
,
আমার বন্ধুরা পাশে বসে এই অবস্থা দেখে হাসতে লাগলো।
মেয়েটা দেখতে হেব্বি কিন্তু এতো ফাজিল কে জানতো।
আমি বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় এসে ভাবতে লাগলাম ডাক্তারটাকে একটু ফোন দিয়ে জ্বালানো যাক।
আমাকে ইনজেকশন দেওয়া দেখাচ্ছি মজা।
মেয়েটার কার্ড দিছিলো আমাকে,
আমি কার্ড থেকে নাম্বার নিয়ে কল দিলাম।
রিং হইতাছে।
ফোন তুলতেই,
- হ্যালো?(আমি)
- হুমম কে বলছেন?(ছোয়া)
- আমি নাইম তাসরিম ।(ভুল নাম বললাম যাতে চিনতে না পারে)
- তো কি হইছে?(ছোয়া)
- আপনি তো ডাক্তার তাইনা?(আমি)
- হুম কেনো কিছু হইছে কি?(ছোয়া)
- জ্বি আমার একটা বিশাল অসুখ হইছে?(আমি)
- কি অসুখ?(ছোয়া)
- জ্বি একটা মেয়ে মনটা চুরি করে নিয়ে চলে গেছে এখন মন শুধু তারই কথা ভাবি।এখন কি করবো বলেন তো?(আমি)
- আপনার এই রোগের ঔষুধ আমার কাছে নাই।আপনি পাগলের ডাক্তার এর কাছে যান ওখানে আপনার মতো লোকের চিকিৎসা করা হয়।(ছোয়া)
- আচ্ছা সত্তি একটা কথা বলবেন?(আমি)
- কি কথা?(ছোয়া)
- আপনি আজকে আমাকে কয়টা ইনজেকশন দিছেন?(আমি)
- আপনি কে বলুন তো?(ছোয়া)
- লিমন ?(আমি)
- সরি একটাই দিছি আপনি অনেক ঝামেলা করছিলেন তাই মিথ্যা বলে দিছি?(ছোয়া)
- কালকে একবার আসুন তারপর আমি আপনাকে ইনজেকশন দিবো ।
বলেই ফোনটা কেটে দিলাম।
হাহাহা মেয়েটারে ভয় দেখাইয়া অনেক মজা পাইলাম।
কালকে আরো মজা হবে আমাকে ইনজেকশন
দেওয়ানোর মজা দেখাবো।
ওই ডাক্তার আর আমার বাড়ি পাশাপাশি পাঁচ মিনিটের রাস্তা।
মেয়েটাকে সেই প্রথম দিন থেকেই ভালোবাসি।
কিন্তু কোনোদিন কথা বলার সাহস পাই নাই।
মেয়েটা সরকারি একটা হাসপাতালে কাজ করে।
আজকে একটা বুদ্ধি করে মেয়েটার সাথে কথা বললাম।
ভালোই লাগতাছে।
মেয়েটা কথাও বলে সুন্দর করে। আমিতো ক্রাশ খাইছিলাম ¢
সেই দিন যেদিন প্রথম তাহারে দেখে ছিলাম।
তাহাকে দেখিতে গিয়া রিক্সা থেকে পড়ে গিয়েছিলাম।
মেয়েটা সেদিন খুব হেসে ছিলো।আর আমিও গাধার মতো
হেসে ছিলাম।তারপর থেকেই শুরু।
তারপর আর কথা বলা হয় নাাই ।
আবার আজকে বললাম।
যাই হোক,
পরের দিন সকালে মেয়েটার যাওয়ার রাস্তায় দাড়ালাম।
মেয়েটাকে আসতে দেখে লুকিয়ে পড়লাম।
মেইন রাস্তায় ডুকার আগে একটা সরু অন্ধকার গলি
পেরুতে হয়। হঠাৎ করেই মেয়েটা ধমকে দাড়ালো আশেপাশে একটু তাকালো তারপর এগুতে লাগলো।
হয়তো চেক করতেছিলো আমি ইনজেকশন নিয়া দাড়াই আছি কিনা।
,
মেয়েটা গলির মাঝখানে আসতেই আমি এগিয়ে গেলাম।
হঠাৎ করে তার সামনে চলে আসাতে মেয়েটা একটু ভয় পেয়ে গেলো।
আমি পিছন থেকে ইনজেকশনটা বের করলাম।
মেয়েটা ভয় পেয়ে কেদে দিলো।
- প্লিজ ছেড়ে দেন।আমি আর আপনাকে ইনজেকশন দিবোনা। (ছোয়া)
- না সুন্দরি আজকে আর ছাড়াছাড়ি নাই। পেয়েছি আজকে সু্যোগ।(আমি)
- আমার ভয় করে প্লিজ।(ছোয়া)
- আমাকে যখন দিলেন তখন আমারো ভয় করছিলো।(আমি)
হঠাৎ করে ছোয়া আমার শো রুম এ একটা লাথি মারলো।
আমি বসে পড়লাম।
ছোয়া দৌড়ে পালালো।
ওরে আল্লাহ এইটা কি হইলো আমার।
আমার তো ভবিষ্যৎ অন্ধকান হয়ে গেলো।
- সরি সরি এ ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিলো না।(ছোয়া)
আল্লাহ এইটা মেয়ে নাকি আজরাইল।
আমি বসেই আছি অনেক জোরে লেগেছে। মনে হয়না বাসা পর্যন্ত যেতে পারবো।
অনেক কষ্টে বাসায় ফিরলাম।তারপর বরফ লাগিয়ে একটু শান্তি পেলাম।
গেছিলাম ওরে বরবাদ করতে উল্টা আমিই বরবাদ হয়ে গেলাম।
রাতে ফোন আসলো ওর নাম্বার থেকে,...
....
হঠাৎ করে ছোয়া আমার শো রুম এ একটা লাথি মারলো।
আমি বসে পড়লাম।
ছোয়া দৌড়ে পালালো।
ওরে আল্লাহ এইটা কি হইলো আমার।
আমার তো ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেলো।
- সরি সরি এ ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিলো না।(ছোয়া)
আল্লাহ এইটা মেয়ে নাকি আজরাইল।
আমি বসেই আছি অনেক জোরে লেগেছে। মনে হয়না বাসা পর্যন্ত যেতে পারবো।
অনেক কষ্টে বাসায় ফিরলাম।তারপর বরফ লাগিয়ে একটু শান্তি পেলাম।
গেছিলাম ওরে বরবাদ করতে উল্টা আমিই বরবাদ হয়ে গেলাম।
রাতে ফোন আসলো ওর নাম্বার থেকে,
- হ্যালো?(আমি)
- আমি আসলে মারতে চাই নাই তখন কি করবো বুঝতে না পেরে ভুলে মেরে ফেলছি আমাকে মাফ করে দিন?(ছোয়া)
রাগ কন্ট্রোল করে বললাম,
- মাফ করতে পারি একটা শর্তে?(আমি)
- কি শর্ত?(ছোয়া)
- কালকে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত আমার সাথে ঘুরতে হবে।(আমি)
- ইনজেকশন না আনলে যেতে পারি?(ছোয়া)
- আমার ও সেম।(আমি)
- তাহলে কেউ ই ইনজেকশন আনবো না তাইতো?(আমি)
- হুমম।(ছোয়া)
- তাহলে কালকে দেখা হচ্ছে? (আমি)
- হুম ওকে।(ছোয়া)
,
যাই হোক আমি কালকে ইনজেকশন ছাড়া যাবোনা। বিশ্বাস নাই যদি ও আনে।
ঘুমিয়ে গেলাম।
পরের দিন,
10 টার দিকে দুজনে একটা রিক্সা নিয়ে ঘূরতে বের হলাম।
পাশাপাশি বসে অনেকক্ষণ ঘুরলাম।
আমার প্রিয় যায়গাগুলো ওকে দেখালাম আর ওর প্রিয় যায়গাগুলো আমাকে দেখালো।
,
সারাদিন ঘুরাঘুরির পর বিকেল এ গেলাম নদির পারে।
সারাদিন ছোয়া একবারো ইনজেকশন বের করে নাই তাই আমিও বের করি নাই।
নদীর পারের বাতাস খুব ভালো লাগতাছে।
ছোয়া হঠাৎ বললো,
- এখন যদি আপনাকে ইনজেকশন দেই কি করবেন?(ছোয়া)
বলে পিছন থেকে ইনজেকশনটা বের করলো।
এই জন্যই আমিও আনছি। মেয়েদের তো বিশ্বাস নাই।
আমিও আমার পকেট থেকে ইনজেকশনটা বের করলাম।
ওর হাতটা ধরে ফেললাম তারপর ওর ইনজেকশন টা ফেলে দিলাম।
- এবার দেখুন আমি কি করি?(আমি)
- আপনি না বললেন আপনি কিছু আনবেন না?(ছোয়া)
- আপনিও এ কথা বলছিলেন আর সেফটির জন্য আনছি।
এবার তো আমি দিবোই।(আমি)
ছোয়া আমাকে জড়িয়ে ধরলো
- ফেলে দিন?(ছোয়া)
- ছাড়ুন আগে?(আমি)
- না ফেলুন তারপর?(ছোয়া)
- আমি ফেলে দিলাম। এবার ছাড়ুন?(আমি)
ও ছেড়ে দিয়ে বললো,
- আপনি না অনেক ফাজিল।(ছোয়া)
- আপনি তো অনেক ভালো তাইনা?(আমি)
- হুম চলুন বাসায় যাবো।(ছোয়া)
- ওকে চলেন?(আমি)
- তারপর ওকে বাসায় দিয়ে আমিও চলে আসলাম।
ছোয়া আমাকে জড়িয়ে ধরছে ভাবতেই কেমন জানি লাগছে
ইনজেকশনটাকে একটা ধন্যবাদ দিয়ে শুয়ে পড়লাম।
,
তারপর দুইদিন আর দেখা বা কথা কোনোটাই হয়নাই।
কেনো জানি ফোন দেই নাই,
তিনদিনের দিন ফোন দিলাম,
- মনে পড়ছে তাহলে আমাকে? আমি তো ভাবছিলাম ভুলেই গেছেন।(ছোয়া)
- আরে না ভুলি নাই পড়ালেখা নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম তাই ফোন দিতে পারি নাই।(আমি)
- ওহ তা এখন কি ব্যাস্ততা কমছে?(ছোয়া)
- হুম সেই জন্যই তো কল দিলাম।(আমি)
- আমরা কি বন্ধু হতে পারি?(ছোয়া)
- না তবে চাইলে ভালো শত্রু হতে পারি?(আমি)
- শত্রু মানে?(ছোয়া)
- বন্ধুতো সবাই হয় আমরা না হয় শত্রু হলাম?(আমি)
- আচ্ছা।(ছোয়া)
.
তারপর থেকেই শুরু ডাক্তারের সাথে বন্ধুত্ব সরি শত্রুতা।
কেটে গেছে কয়টা মাস।
আমরা অনেক ভালো শত্রু এখন।
প্রতিদিন ফোন এ কথা বলা বিকেল এ একসাথে বাসায় ফিরা এইগুলা নিয়েই রুটিন আমাদের।
এর মধ্যে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি ওকে
কিন্তু হঠাৎ একদিন রুটিন টা বদলে দিলো ও।
একদিন ছোয়া আমাকে ফোন দিয়ে বললো,
- কালকে একটু দেখা করবেন?একজন এর সাথে দেখা করিয়ে দিবো।(ছোয়া)
- কে সেই একজন।(আমি)
- কালকে বিকেল এ পার্ক এ আসেন সেখানেই বলবো?(ছোয়া)
- হুম আচ্ছা।(আমি)
.
চিন্তায় পড়ে গেলাম।বয়ফ্রেন্ড নাতো আবার।
আমি তো জানিনা ওর বয়ফ্রেন্ড আছে।
আর জানবোই কিভাবে কখন তো জিজ্ঞেস ও করি নাই।
যাই হোক যা হবার কালকে হবে।
,
সারারাত চিন্তায় ঘুম হলো না।
পরের দিন বিকেল এ আমি পার্ক এ গেলাম।
ওইতো দেখা যাচ্ছে ওদের। বুকের ধুকপুকানি বেড়ে
গেলো তবে কি আমার ধারনাই সত্য?
আমি যত এগুচ্ছি ততই ধুকপুকানি বাড়ছে।
চিন্তায় পড়ে গেলাম।বয়ফ্রেন্ড নাতো আবার।
আমি তো জানিনা ওর বয়ফ্রেন্ড আছে।
আর জানবোই কিভাবে কখন তো জিজ্ঞেস ও করি নাই।
যাই হোক যা হবার কালকে হবে।
,
সারারাত চিন্তায় ঘুম হলো না।
পরের দিন বিকেল এ আমি পার্ক এ গেলাম।
ওইতো দেখা যাচ্ছে ওদের। বুকের ধুকপুকানি বেড়ে
গেলো তবে কি আমার ধারনাই সত্য?
আমি যত এগুচ্ছি ততই ধুকপুকানি বাড়ছে।
অবশেষে গেলাম ওদের সামনে।
আমার গলা কাপছে কথা বলতে পারতাছি না।
এই প্রথম আমি খেয়াল করলাম কারো জন্য আমার
গলা কাপছে। আসলে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসলে
এরকম হয়।
আমি অনেক কষ্টে বললাম,
- কে এইটা??(আমি)
- ওর সাথে এতোদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিলো আর এখন ও ........
আমি থামিয়ে দিলাম ছোয়াকে।
চলে আসলাম।
ও পিছন থেকে ডেকেছিলো কয়েকবার আমি ঘুরে তাকাই নি।
চলে আসলাম।
আমি শুনতে পারতাম না ওর মুখ থেকে কথাটা তাই চলে আসা।
,
এরপর আর দেখা করতে চেয়েছে ..যাই নাই। ফোনটা অন ছিলো কল দিয়েছে আমি ধরি নাই।টেক্সটগুলা আনসিন।
কি দরকার মায়া বাড়িয়ে।
,
কিছুদিন পর ওর আবার কল আসলো।
আমি ধরলাম না তারপর একটা ভয়েস মেসেজ।
আমি প্লে করলাম।
আগামি ৭ তারিখ আমার বিয়ে দাওয়াত রইলো আসবেন কিন্তু।
মেসেজটা শোনার পর কয়েকমিনিট এর জন্য আমার পৃথিবীব থমকে গেলো।
আমি কিছু বলতে পারতাছিনা শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
আর কিছু সৃতি মনে পড়ছে।
খুব কাদলাম সেদিন রাত এ।
অনেকক্ষন কাদলাম তবুও মনটা হালকা লাগছে না।
তারপর থেকে শুরু আমি নিকোটিন নিয়েই পড়ে থাকি।
এর আগে অবশ্য কোনোদিন সিগারেট খাইনি
ওকে ভুলে থাকতে চেষ্টা করছিলাম কিন্তু পারলাম না।
সবাইকে ভুলে থাকা যায়না।
দেখতে দেখতে সাত তারিখ চলে এলো।
একবার ভাবলাম যাবো না আবার ভাবলাম গিয়ে দেখে আসি একবার।
রাত আটটার দিকে ওদের বাসায় গেলাম।
কিন্তু ওকে দেখতে পাচ্ছিনা দেখবো কিভাবে সাজ তাছে মনে হয়।
আমি সাজ ঘরে গেলাম।
দরজার পাশ থেকে ওকে একবার দেখে চলে আসলাম।
তবে খটকা লাগলো ওর চাচাতো বোন ও বিয়ের সাজে সাজে কেনো।
হয়তো দুজনের এক সাজ।
ওদের যৌথ পরিবার একটা বাড়িতেই সবাই থাকে।
যাই হোক
খুব সুন্দর করে সেজেছে ও ঠিক আমার মনের মতো করে।
আমি চলে আসলাম ওখান থেকে ।
আমাকে কি দেখতে পেয়েছে ও নাকি দেখেনি।
ওদের বাড়ির পিছনে পুকুর পাড়ে গিয়ে বসলাম।
একটু পর শুনতে পেলাম বর এসেছে।
সিগারেট এর নেশাটা প্রবল হয়ে উঠলো ।
আমি সিগারেট ধরালাম।
একটার পর একটা খেয়েই চলেছি ।
খুব শান্তি লাগছে সিগারেট খেয়ে।
তবে কষ্টটার পরিমান আরেকটু বেশি তাই হয়তো চোখ দিয়ে অঝোরে বৃষ্টি পড়তেছে।
আটটা সিগারেট ছিলো সবকটা শেষ করলাম।
একটু পর সবকিছু নিরব মনে হলো।
মনে হয় এখন কবুল বলবে।
আমি হন্তদন্ত হয়ে সিগারেট খুজতে লাগলাম পেলাম না অনেক খুজে শার্টের পকেট এ একটা আধপোড়া সিগারেট পেলাম।
ওটাই ধরালাম।
আহ শান্তি লাগতাছে।
হঠাৎ পিছনে কারো কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
পিছন ফিরে তাকালাম।
বিয়ে বাড়ির লাইটিং সব যায়গায় লাইট দেওয়া আমি স্পষ্ট শিখাকে দেখতে পেলাম।
সিগারেট টা পিছনে লুকিয়ে ফেললাম,
- লুকিয়ে লাভ নেই আমি সব দেখেছি।(ছোয়া)কাদতে কাদতে।
- কি দেখেছো তুমি?(আমি)
- কয়টা সিগারেট খাইছো তুমি?(ছোয়া)
- বাদ দাও তোমার বিয়ে বাদ দিয়ে এখানে কিভাবে?(আমি)
- বিয়েতো হয়ে গেছে।(ছোয়া)
- তাহলে এখানে কিভাবে আসলে।(আমি)
- আজকে আমার বোনের বিয়ে?(ছোয়া)
- তাহলে তুমি কনে সেজেছো কেনো?(আমি)
- তোমার জন্য?(ছোয়া)
- তাহলে সেদিন যে বললা তোমার বিয়ে।
- সেদিন আমি তোমাকে বলতে গেছিলাম আমার বন্ধুর সাথে আমার চাচাতো বোনের বিয়ে।আর তুমি কি সব ভেবে চলে আসলা।তারপর কতোবার কল দিছি তুমি ধরো নাই শেষে এই ভয়েস মেসেজ টা দিছি।(ছোয়া)
- এই তুমি কাদতাছো কেনো?(আমি)
- তুমি এতো বোকা কেনো?(ছোয়া)
- কোথায় বোকামি করলাম আমি?(আমি)
- তুমি বুঝোনা আমি তোমাকে ভালোবাসি।(ছোয়া)
- বলছো কখনো?(আমি)
- আমি কেনো বলবো।(ছোয়া)
- তাহলে কে বলবে?(আমি)
- তুমি বলবা।(ছোয়া)
দুজনের মুখে হাসি।
- আচ্ছা বললাম- আমি তোমাকে ভালোবাসি।সাগর যতটা পানিকে ভালোবাসে ততটা। পানি ছাড়া যেমন সাগরের মুল্য নেই তেমনি তুমি ছাড়া আমার জিবন ও মুল্যহিন।
তুমি কি আমার আকাশের চাদ হবে???
- হুমম ভালোবাসি তোমাকে গাধা।(ছোয়া)
- আমি কি জড়িয়ে ধরতে পারি?(আমি)
- পারমিশন নিতে হবে??(ছোয়া)
- না যদি ইনজেকশন দাও?(আমি)
- এখন জড়িয়ে না ধরলে ইনজেকশন দিবো।(ছোয়া)
আমি ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
আর ও আমার বুকে মুখ লুকালো।
হাসছি আমি হাসছে ছোয়া আর হাসছে আকাশের চাদ।
আপনারা হাসেন নাইতো আবার।
*****সমাপ্ত*****