আমার পাপের জীবনি
সত্য ঘটনা অবলম্বনে
লেখকঃ Nusrat Haq
পর্বঃ ০২
দুলাভাইকে ভালোবাসার আকুলতা দিন দিন বাড়তে থাকে।
তাকে অনেক বেশি কেয়ার করা শুরু করলাম। আপুর চেয়ে অনেক বেশি।।
এমনকি সে বাথরুমে ঢুকলে তার গায়ে পিঠে সাবান মেখে দিতাম।অনেক সময় আপু দুলাভাই রোমান্স করলে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম।
মাঝে মাঝে ঘুমিয়ে গেলে দুলাভাই উনাকে চুমু দিতাম৷
একদিন আপু বাচ্চা হওয়ার জন্য স্বপ্নের ওষুধ খেতে আমাদের গ্রামে যায়।
সকালে যায় বিকালে চলে আসবে।।
দুলাভাই সাধারণত একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠে ১১ টা কিংবা ১২ টার দিকে উঠে৷
তো দুলাভাই যখন ঘুমাচ্ছিলো আমি গিয়ে দুলাভাইকে চুমু দি।
তো দুলাভাই আমাকে জড়িয়ে ধরে।
চোখ বন্ধ অবস্থাতেই দুলাভাই আমাকে আপু মনে করে উনার ঠোঁট জোড়া দিয়ে আমার ঠোঁট গুলো আবদ্ধ করে নেই।
আমি উূ করতেই দুলাভাই চোখ খুললেই আমাকে দেখেই জোরে ধাক্কা দিয়ে বলে তুমি এখানে।
আমি কিছু না বলে ও রুম থেকে অন্যরুমে এসে বসে পড়ি।
কতক্ষণ দুলাভাই আমাকে নাস্তা দিতে বলে।
তো আমি তাকে নাস্তা দি।
তখন সে আমাকে বলে কাজ টা কি ঠিক হয়েছে।
আমি-- ভাইয়া আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি।
দুলাভাই-- পাগল তুমি।
আমি-- ভাইয়া ভালোবেসে ফেলেছি আপনাকে এত কিছু বুঝি না আমি।।
দুলাভাই-- তোমার বোনে যদি ব্যাপার টা জানে কি হবে বলতে পারো তুমি।।
আমি-- যা হওয়ার হোক আমি কি করবো বলুন।। ভালোবেসে ফেলেছি তো।
দুলাভাই-- সত্যি কি তাই।
আমি-- হু।
দুলাভাই -- আমার জন্য কি করতে পারবে।।
আমি-- আপনার জন্য সব পারবো।
দুলাভাই-- তোমাকে কাছে পেতে চাই।।
আমি--হু আমি ও আপনার বাচ্চার মা হতে চাই। আপা তো এখনও একটা বাচ্চা ও দিতো পারলো না আপনাকে।
দুলাভাই-- তাহলে তুমি দাও৷ যেদিন তুমি আমাকে একটা বাচ্চা দিতে পারবে আমি যদি শুনি তুমি গর্ভবতী তাহলে সাথে সাথে বিয়ে করবো তোমাকে৷
আমি-- আপনাকে পাওয়ার জন্য সব করতে পারি আমি।।
দুলাভাই -- কাছে এসো তাহলে।
এ বলে সে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমার ঠোঁট জোড়া তার মধ্যে আবদ্ধ করলো। আমাকে নিয়ে গেলো অতল গভীর সমুদ্র। যেখানে শুধু আমরা ২ জন দুজনার শ্বাস-প্রশ্বাসের গরম বাতাস একজনের টা আরেক জন পাচ্ছি লাম।।
আমার জীবনে তিনি ১ম পুরুষ হওয়াই আমি খুব ব্যাথা পাচ্ছি লাম। কিন্তুু এগুলো উপেক্ষা করে ও আমি তাকে কাছে পাওয়ার আনন্দে বিভোর।
আর মনে মনে স্বপ্ন বুনে ছিলাম এ সংসার আর কিছু দিন পর আমার হবে।
আমার পরিবার যদি আমাকে বিয়ে দেয় ও না কিন্তুু দুলাভাই এর মতো এত বড়লোক ছেলের কাছে দিতে পারবে না।
রাতে আপা আসলো।
আপাকে জিজ্ঞেস করছি আপা ওষুধ খেয়েছো।
আপা-- হু রে খেয়েছি। দোয়া করিস আল্লাহ যেনো আমাকে এবার একটা বাচ্চা দান করে।
আমি-- (মনে মনে বললাম আল্লাহ যেন কখনও তোমাকে বাচ্চা দান না করে)। জ্বি বোন দোয়াত সবসময় করি।
আপা-- তোর দুলাভাই কই খেয়েছে।
আমি-- বাহিরে গেছে আপা হু খেয়েছে।
আপা -- খুব ক্লান্তরে আমি আজকে। ভাত খেয়ে ঘুৃমাবো। কয়টা ভাত বেড়ে দে। তোর দুলাভাই আসলে দরজা খুলে ভাত বেড়ে দিস।
আমি- আচ্ছা।
আপাকে ভাত বেড়ে দিলাম। আপা ভাত খেয়ে ঘুমাতে গেলো।
রাত ১০ টার দিকে দুলাভাই আসলো।
ভাইয়াকে বললাম ভাত দি।
তিনি বললেন হু দাও।
আমি ভাত দিলাম। তিনি ভাত খাচ্ছেন আর আমি তার পাশে বসে আছি। তাকে বললাম আমাকে কয়েকলোকমা খাইয়ে দিন।
সে ১ম রাজি হলো না কিন্তুু তারপরেও দিলো।
আমি তাকে বললাম আমাকে কিছু টাকা দিন জামা কিনবো জামা নেই।
দুলাভাই-- তাহলে আজ রাতে দরজা খোলা রেখো।
আমি-- আচ্ছা।
তিনি আমাকে ২ হাজার টাকা দিলেন।
রাতে আমি দরজা খোলা রাখলাম গভীর রাতে তিনি আমার রুমে আসলেন।
কিন্তুু আমার পিরিয়ড হয়ে যাওয়াতে তার সাথে আর কিছু হলো না।
পিরিয়ড হলে সাধারণত প্যাড এর কথা আপাকে বলি।
আপা দুলাভাইকে দিয়ে আনাই।
কিন্তুু পরেরদিন দুলাভাইকে বের হওয়ার সময় বললাম আসার সময় আমার জন্য প্যাড নিয়ে আসিয়েন।
তিনি রাতে ঘরে ফেরার সময় ২ প্যাকেট প্যাড আনলেন।
ইদানিং আপাকে দুলাভাই এর সাথে বেশি সময় কাটাতে দি না।
দুলাভাই এর পাশে গেলে আপাকে বিভিন্ন অযুহাতে বিজি রাখার চেষ্টা করি।
দুলাভাইয়কে তো আপা না থাকলে নাম ধরে ডাকি। নিজে থেকে তাকে চুমু দি।
আসলে আমার হিতাহিত বোধ টুকু পযন্ত চলেগিয়েছে৷
দুলাভাইকে বের হওয়ার সময় এটা ওটা আনতে বলি আর তিনি ও নিয়ে আসেন।
এমনকি টাকা পয়সা ও নি।
পিরিয়ড শেষ হয়। তার সাথে প্রায়ই আমার শারীরিক সম্পর্ক হয় আপার অগোচরে।
তার সাথে আপার প্রায় সময়ই খুঁটি নাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া বাঁধিয়ে দি।
যা আপা বিন্দু মাএ বুঝতে পারে না কাজটা আমি করি।
দুলাভাই যখন রাতে চুপিচুপি আমার কাছে আসে তখন দুলাভাইকে বলি আপা তো সারা দিন কোন কাজই করে না সারাদিন শুয়ে থাকে।
আর আপনার পরিবার এর নামে আমার কাছে বদনামি করে।
যদি ও এগুলো মিথ্যা কথা। প্রায়ই সময়ই দুলাভাইর কান আপার নামে বিষিয়ে তুলি।
আর দুলাভাই ইদানীং আমাতে খুব বিভোর হয়ে গিয়েছে।
কিন্তুু আমাকে বিয়ে করছে না।
আমি কনসিভ করার চেষ্টা ও করছি।
একবার দুলাভাই এর সাথে আপার ঝগড়া হলে আপা রাগ করে আমার এক খালার বাসায় চলে যায়। আমাকে যেতে বলে আমি অসুস্থতার অযুহাত দিয়ে যাই না।
তখন আমার আর দুলাভাই এর সময়টা খুব ভালোকেটেছে৷
আপার রুমেই থাকতাম আমি৷ আপার যত রকমের শাড়ি আছে সব পড়তাম ।
রাতে ও এক সাথে ঘুমাতাম।
দুলাভাই তো আমাকে সারা রাত ঘুমাতে ও দিতো না।
শুধু জালাতন করতো।
মনে মনে চাইতাম আপা আর কোন দিক না আসুক।
কিন্তুু বিধিবাম ৫ দিন পর আবার চলে আসে আমার সুখ টা ও শেষ।
0 মন্তব্যসমূহ