অধিকার নেই পার্ট,04

অধিকার নেই
W:আফসানা মিমি
পার্ট,04
চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে ভাইয়া পাশে ফোনে কথা বলছে।ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে প্রায় নয়টা।এক নার্স প্রেসার চেক করছে।আশে পাশে তাকিয়ে অর্ককে খুঁজতে লাগলো ।অর্ক সত্যি ছিল না স্বপ্ন না স্বপ্ন হতে পারে না।
হাসান:নীড় এখন কেমন লাগছে?
নীড়;ভাইয়া আমি এখানে?তুমি
তুই তো টাকা বা কার্ড কোন কিছু নিয়ে বের হোসনি ?তোর ফোন ও এখনো অন করিস নি।খালি হাতে তোর কোনো সমস্যা হলে তাই আমি মেট্রো দিকে এগিয়ে এসেছিলাম আর দেখি তুই নীচে পরে গেলি পরে তোকে তুলে এখানে নিয়ে এলাম।
;;;তুমি একাই নিয়ে এসেছো সাথে কেও ছিল না
;কে থাকবে ?আর তুই যে হালকা তোকে কোলে নেওয়া কি খুব বেশি কঠিন নাকি যে মানুষ জোটাবো?ওওও তোর ভাবীর ফোন
:;;;অর্ক কি দেখলো না আমি পরে গেলাম।(নীড়ের ডান হাতে ব্যথা পেয়েছে আর বাপায়ে সামান্য মোচকে গেছে হিল ছিল বলে পায়ে ব্যথা পেয়েছে ।মাথায় কোনায় সামান্য ছিলে গেছে।নার্স বেন্ডেট করে দিচ্ছে।)
হাসান;নাহ বেন্ডেট করে দিয়েন না ও একটু পড়ে খুটে খুটে খুলে ফেলবে(ইতালির ভাষায় বলে)
নীড় মুচকি হাসে ভাইয়ার কথা শুনে।
;তোর ভাবি একা তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে
;;;ভাইয়া ভাবি একা তুমি যাও আমি একা এসে পরবো বা নীচে এসে ফোন দিলে তুমি নিয়ে যেও।
;নাহ একা রেখে যাবো নাকি?
;;;যাও তো ভাবীর খাবারের সময় যাচ্ছে আর পায়ে এখনো প্লাস্টার করা বাকি ,আমার হতে হতে তুমি গিয়ে দেখো ফিরতে পারো নাকি?
;কিন্তু
;;;বাসা থেকে পাঁচ মিনিটের পথ আমি পারবো প্লিজ যাও।
ভাইয়া যেতে চাচ্ছিল না ।ভাবি ফোন দিয়ে বললো তার ভাই রনি এসেছে।রনিকে পাঠাচ্ছে নীড়কে নিতে হাসান কে বাসায় চলে আসতে বলে।হাসান নীড়কে বলে নীচে চলে যায়।
;;;;নীড় নার্স থেকে একটা কলম একটা খাতা চায় ।আর বলে একটু পড়ে আসতে ওর ভালো লাগছে না।নীড় ছিল লোকাল বেডে কনারের দিকে।(নীড় ইতালির ভাষায় কথা বলে)বা হাতে লিখতে চেষ্টা করে নিজে বুঝলেই হলো।ছোট বেলায় মা বলতো পড়া লিখলে ভাল মনে থাকে।নীড় কোন কিছু না বুঝলে সেটা লিখা বুঝার চেষ্টা করে।এখন বালিসে খাতা রেখে বাহাতে লিখছে অর্কর বলা কথা গুলো{অর্ক ;তখন কোথায় ছিলে যখন আমাকে তোমাদের বাড়ি থেকে বাজে অপবাদ দিয়ে বের করে দিয়েছিল?তখন কোথায় ছিলে যখন আমার বিচার করা হচ্ছিল?তখন তো সব একাই সয়ে নিতে হয়েছে।ওইদিন যদি তুমি পাশে থাকতে আমার জন্য সব কিছু সহজ হতো।আজ দেখা হলো বলে সব জানতে এসেছো এতদিন কোথায় ছিলে?}নীড় কথা গুলো লিখে মেইন মেইন পয়েন্ট এ আন্ডারলাইন করে।তার মানে অর্ক নির্দোষ ওর কোন দোষ নেই ওকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে।আমার মন কখনোই মানেনি অর্ক দোষী ।অর্ক নির্দোষ।(নীড় পেইজটা বুকে জড়িয়ে কান্না করতে থাকে।নার্স আসে নীড় উঠে বসে ।হাটতে বললে নীড় নামতে গিয়ে পড়ে যেতে নিলে দুইটা হাত শক্ত করে ওর দুই হাত ধরে ফেলে নীড়ের বুঝতে বাকি নেই এটা অর্ক।তাকিয়ে দেখে সত্যি অর্ক।চোখে পানি মুখে হাঁসি নিয়ে অর্ককে দেখছে।অর্ক নীড়কে ঠিকমতো বসিয়ে দেয়।(নাস আবার হাটতে বলে।নীড় নামতে গেলে অর্ক হাত ধরে দাঁড় করায়।dr আসাতে নীড় নিজের স্কার্ফ খুঁজতে থাকে।অর্ক নিজের মাত্র কেনা হুড়ি নীড়ের গায়ে জড়িয়ে দেয়।এর আগেও একটা জ্যাকেট পরিয়ে দিয়েছিলেন ঐটা কোথায় পড়েছে নীড় ও জানে না অর্ক জানে না।dr নীড়কে দেখতে দেখতে।অর্ক খেয়াল কিরলো নীড়ের স্ক্রাফ নীচে পরে আছে।ঠিক ঐ টা তুলে নীড়কে দিতে যাবে তখন হাসান আর রনি আসে ।নীড় স্ক্রাফ নিয়ে জড়িয়ে নেয়।
হাসান;জি আপনি কে?(ইতালির ভাষায় জিজ্ঞাসা করে)
নীড় ভাষা বুঝে অবাক হয়।অর্ক না বুঝে।
অর্ক;sorry,ঠিক বুঝলাম না
রনি:আহহ বাংলাদেশি
অর্ক;জি
নাস ইতালির ভাষায় বলে অর্ক নীড়কে পরতে গিয়ে তুলেছে।
হাসান;ওহ থ্যাংকস
বাঙালি পরিচয় পেল নীড়ে বর হিসেবে পরিচয় পেল না অর্ক।পেলে হয়তো ভাইয়া বুকে জড়িয়ে নিত না অর্ককে।হাসান চলে গেল নীড়ের কাছে রনিকে রেখে।অর্ক সরে গেল।নীড় চেয়েও বাঁধা দিতে পারলো না।নীড়ের পায়ে প্লাস্টার করার সময়।রনি রূমে থেকে বের হয়ে আসে।
অর্ক বাইরে ছিল ওকে স্মোক করতে নিমন্ত্রণ দিলে ও তা গ্রহণ করে না।অর্ক অনেক আগেই নীড়কে লক্ষ করছিল ও কিছু লিখেছে সেটাও ও ছলে নিয়ে নিয়েছে।ঐটা অর্ক পড়ে ওর কান্ড দেখে মুচকি হাসে।
নীড়ের সব কাজ শেষ হয়ে যখন ফিরছিল।নীড়ের হাটতে কষ্ট হচ্ছিল।সারা দিনের না খাওয়া ,লম্বা ফ্লাইট নিয়ে এসেছে,আবার এতো কিছু হয়ে গেল মেয়েটা এখন ভীষণ দুর্বলতা অনুভব করছে ।খারাপ লাগছে ভীষণ।রনি নীড়ের কোমড়ে হাত দিয়ে ধরতে গেলে নীড় জোড়ে ধাক্কা দেয় রনি দুই তিন পা সরে কাত হয়ে যায় ।
রনি:রিলাক্স রিলাক্স আমি জাস্ট তোমাকে হেল্প করছিলাম হাঁটতে।
নীড় পাশের চেয়ারে বসে পরে।অর্ক নীড়ের কাছে চলে আসে:তুমি ঠিক আছো নীড় ?
অর্ক কথা বলছে নীড় শুধু ঘোলা ঘোলা দেখছে আর অর্ক ঠোঁট নড়তে দেখছে।নীড় মুচকি হেঁসে টোলে অর্কর বুকে পরে।
অর্ক:জীবনের প্রথম দেখলাম অজ্ঞান হবার আগে মানুষ হাঁসে।(ওকে কোলে তুলে।ওই ওয়ার্ড এ চলে গেল।নাস কি বলে বুঝে না অর্ক।রনি বুঝলো নীড়কে শুয়ে দিতে বলে।)
অর্ক(কেন থাকুক না আমার কোলে ।আমার বুকে মাথা দিয়ে চুপটি করে।নামাবো কেন এটা আমার বউ যা চিকিৎসা করার আমার কোলে করাও আমি নামাবো না না না।)
রনি;বেড়ে শুয়ে দেও
চলবে,,,,,