লাভ গেমস্ - পর্ব ২৪

লাভ গেমস্ - পর্ব ২৪

লাভ গেমস্

লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu

পর্বঃ ২৪

শোয়েব: কই তোমার হল?
সোমা: হুম
শোয়েব: কার সাথে কথা বলছিলে?
সোমা: কেউ না ওই এমনি...
শোয়েব: ও...তাহলে চল...
সোমা: (মনে মনে)শোয়েব আমার সাথে যাই করুক না কেন,কখনও আমাকে মেরে ফেলার মত এত বড় প্ল্যানিং কখনই করে নি।আমি ওর উপর এত টর্চার করেছি কিন্তু তবুও ও কখনই আমার সাথে এত কিছু করার কথা চিন্তাও করেনি।না ও কিছুতেই এমন করতে পারেনা,নিশ্চয় কেউ কোন ফান করছে...
শোয়েব: কি হল চল...
সোমা: (চমকে উঠে)হ্যাঁ আসছি...
(সোমার ফোনের মেসেজ টোন বেজে উঠল)
-Be ware of Shoyeb,remember it...
(পার্টিতে)
সিজা: হাই সোমা
সোমা: হাই
সিজা: লিসেন I am really very sorry for that day.আমি সত্যিই অনেক সরি,আমি আসলে তোমার উপর অনেক রেগে ছিলাম তাই এমন উল্টোপাল্টা বিহেভ করে ফেলেছি।তুমি কিছু মনে কর না প্লিজ...
সোমা: ইট'স ওকে...
সিজা: তুমি সত্যি বলছ?
সোমা: হুম
সিজা: তুমি আসলেই অনেক ভাল একটা মেয়ে,আচ্ছা ঠিক আছে এনজয় দ্য পার্টি...
সোমা: বাই সিজা...
সিজা: (মনে মনে)বাই মাই ফুট,যাও যাও আজ যদি তোমাককে শোয়েবের রাস্তা থেকে না সরিয়েছি তাহলে আমার নামও সিজা না...
রিকি: হাই সোমা সরি সরি সোমা ভাবী
সোমা: (অবাক হয়ে)হাই...
রিকি: Thanks for coming.Enjoy the party and এখানে কোন প্রবলেম হলে জানাবে কিন্তু...
সোমা: (মনে মনে)হঠাৎ করে সবাই এমন অদ্ভূত বিহেভ করছে কেন?
বোরিং লাগছে তাই সোমা এক কোণায় একটা চেয়ারে গিয়ে বসে পড়ল।শোয়েব ওর বন্ধুদের সাথে অন্যপাশে আড্ডা দিচ্ছে,আশে পাশে কেউই নেই কিন্তু কেন যেন ওর মনে হচ্ছে কেউ যেন ওর উপর খুব কাছ থেকে নজর রাখছে...
শোয়েব: এই তুমি একা একা এখানে বসে কি করছ?
সোমা: কিছু না এমনিই...
শোয়েব: চল ডান্স করবে আমার সাথে
সোমা: না আমি এভাবেই ঠিক আছি
শোয়েব: লিসেন সোমা,আমি জানি আমি আরহামের ব্যাপারটা নিয়ে তোমার সাথে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি সেজন্য আই এ্যাম রিয়েলি ভেরি সরি।প্লিজ মাফ করে দাও...
সোমা: হুম
শোয়েব: চল না প্লিজ....
সোমা: আচ্ছা ঠিক আছে চল
ওরা দুজনে ডান্সফ্লোরের দিকে এগিয়ে গেল,খুব স্লো মোশনের একটা রোমান্টিক গান বাজছে।'Shyne Wards er No promises'সোমার খুব ফেভারিট একটা গান,শোয়েব নিজের বাম হাতটা দিয়ে সোমার কোমড় পেঁচিয়ে ওকে নিজের কাছে টেনে নিল আর ডানহাত দিয়ে ওর গালে আর ঠোঁটে একবার স্লাইড করল তারপর গানের সাথে তাল মিলিয়ে নাচতে লাগল।
শোয়েবকে এমন অদ্ভূত বিহেভ করতে দেখে সোমাতো খুব অবাক,কিন্তু একবার ওর চোখের দিকে তাকাতেই মনে হল অন্য কোন জগতে হারিয়ে গেল যেখানে ও আর শোয়েব ছাড়া আর কেউ নেই।আনমনেই শোয়েবের সাথে তালো তাল মিলিয়ে নাচতে লাগল,উপস্থিত সবাই যে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে সেদিকে দুজনের কারোরই কোন খেয়াল নেই...
সিজা দূরে দাঁড়িয়ে ওদের দুজনের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে।রাগে চোখ-মুখ লাল হয়ে গেছে,মনে হচ্ছে যেন চোখ দিয়ে এখনই আগুন বের হবে আর সে আগুনে শোয়েব আর সোমা ওরা দুজনেই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।একটু পরে রিশানও ওর পাশে এসে দাঁড়ালো,সিজা ওকে কিছু একটা ইশারা করতেই চুপচাপ সরে গেল...
ঠিক কতক্ষণ ধরে ওরা নেচে যাচ্ছে দুজনের কারোরই জানা নেই,হঠাৎ করেই চারপাশের মানুষ গুলো কেমন যেন এ্যাবনরমাল বিহেভ করতে লাগল।ওরা দুজন দুজনাতে এতটাই হারিয়ে গিয়েছিল যে এতক্ষণ কিছু বুঝতেই পারেনি,হঠাৎই মনে হল সবাই কিছু একটা বলে চিৎকার করছে আর যে যেদিকে পারছে ছুটে চলে যাচ্ছে।কি হয়েছে বোঝার জন্য সোমাকে ছেড়ে দিতেই পুরো রহস্যটা ক্লিয়ার হয়ে গেল শোয়েবের কাছে।ওরা যেখানে দাঁড়িয়ে ডান্স করছিল তার চারপাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে,সোমার গাউনটার একপাশে অলরেডি আগুন ধরে গেছে অথচ মেয়েটা কিছু বুঝতেই পারেনি!
শোয়েব আর দেরি না করে পানি পানি করে তার স্বরে চিৎকার করতে লাগল,কিন্তু কেউই ওর কোন কথায় শুনল না,সবাই যে যার মত ছুটতে ব্যস্ত।এতক্ষণে সোমার হুঁশ ফিরল আর নিজের গায়ের কাপড়ে আগুন ধরতে দেখে ভয়ে গলা শুকিয়ে আসল।ভয়ে ভয়ে শোয়েবের দিকে তাকাতেই ও ওর দিকে ছুটে আসলো তারপর ওর মুখটা দুহাতে তুলে ধরে বলল...
শোয়েব: তুমি কোন চিন্তা কর না,আমিতো আছি তাইনা?চুপচাপ এখানে দাঁড়িয়ে থাকো,একটুও নড়াচড়া করবে না কেমন?আমি এক্ষুণি আসছি...
শোয়েব ছুটে বেরিয়ে গেল,একটু পরে এক বালতি পানি নিয়ে ফিরেও আসলো কিন্তু বিপত্তিটা বাধল অন্য জায়গায়।পানিটা সোমা গায়ে ছুড়ে দেয়ার পর আগুনতো নিভলোই না উল্টো যেন আরো জোরে জ্বলে উঠল।সোমা ভয় পেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠল,শোয়েব এক মুহূর্ত সময় নিল বুঝতে তারপরই ছুটে গেল সোমার কাছে।ওকে দুহাতে জড়িয়ে ধরল তারপর ওকে ছেড়ে দিয়ে আগুন নেভানোই ব্যস্ত হয়ে পড়ল।প্রথমে দুহাতে   আগুন নেভানোর চেষ্টা করল,তারপর কোন উপায় না পেয়ে সোমার হাঁটুর কাছ থেকে একটানে গাউনটা ছিড়ে ফেলল।
কাপড়ের ছেড়া অংশটা দূরে ছুড়ে ফেলে দিয়েই মেঝেতে বসে পড়ল শোয়েব,জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলতে লাগল।সোমা ছুটে গিয়ে ওর জন্য একগ্লাস পানি নিয়ে আসলো,শোয়েব এক নিঃশ্বাসে পুরো পানিটা শেষ করে ওকে ফিরিয়ে দিল।হাতের তালুতে বেশ কয়েক জায়গায় পুড়ে গেছে,তখন কিছু বুঝতে না পারলেও এখন প্রচণ্ড জ্বালা করছে।মন চাইছে বরফ ঠাণ্ডা পানিতে দুহাত চুবিয়ে রাখত,হঠাৎই দুহাতে একটু ঠাণ্ডা অনুভূত হল।কি হয়েছে দেখার জন্য তাকাতেই দেখল সোমা ওর দুহাতে ফুঁ দিচ্ছে,ওকে তাকাতে দেখেই কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল...
সোমা: কত খানিক পুড়ে গেছে দেখেছো?
শোয়েব: ও ঠিক হয়ে যাবে,আগে বল তুমি ঠিক আছো তো?
সোমা: হুম আমি একদম ঠিক আছি,এখন নিজের দিকে তাকাওতো...
শোয়েব: ও সামান্য একটু পুড়েছে একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবে...
সোমা: এটাকে তুমি একটু পোড়া বলছো!এই তুমি চুপ করে বসো তো আমি এক্ষুণি ড্রেসিং করে দিচ্ছি
সিজা: সোমা,এই নাও মেডিকেল কিটস,এই বক্সে তোমার যা যা লাগবে সব আছে দেখ
সোমা: থ্যাঙ্কস সিজা
সিজা: ওহ্ ইট'স ওকে...
সোমা আস্তে আস্তে শোয়েবের ক্ষতগুলো পরিষ্কার করে তারপর অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে ড্রেসিং করে দিল।শোয়েব অবাক হয়ে সোমার দিকে তাকিয়ে আছে,মনে মনে ভাবছে এই মেয়েটা এত।ধৈর্য্য কোথা থেকে পায়!একটু আগে ওর সাথে এতকিছু ঘটে তারপরও এত ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু কিভাবে হ্যাণ্ডেল করছে!এমন বিহেভ করছে যেন কিছুই হয়নি,সবকিছু ঠিক আগের মতই আছে...
সোমা: ইট'স ডান
শোয়েব: কি?
সোমা: বললাম ড্রেসিং হয়ে গেছে
শোয়েব: হুম
সোমা: এখন কি করবে?চলো বাসায় চলে যাই...
শোয়েব: হুম তাই চল
সোমা উঠে দাঁড়ালো কিন্তু একটুও এগোতে পারলো না,এতক্ষণে নিজের দিকে খেয়াল করেছে ও আর তাতেই চোখ কপালে উঠে গেছে ওর।পরনের গাউনটা ঠিক হাঁটুর কাছ থেকেই ছিড়ে ফেলেছে শোয়েব,এত ছোট জামা কখনই পরে না ও তাই খুব আনইজি লাগছে।তার উপরে গায়ে পানি দেওয়ার কারণে পুরো জামাটাই ভিজে গায়ের সাথে একেবারে লেপ্টে আছে,যার ফলে ভেতরে থাকা অন্তর্বাসটাও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে সোমার তাই এক পাও নড়তে পারছে না,ওদিক শোয়েব বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে...
শোয়েব: কি হল আসছো না কেন?ওমন মূর্তির মত দাঁড়িয়ে রইলে যে...
(সোমা কোন উত্তর না দিয়ে চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে রইল,শোয়েব ওর দিকে এগিয়ে আসলো)
শোয়েব: কি হয়েছে বলবেতো...
(হঠাৎই শোয়েব পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারল তারপর নিজের পরনে থাকা ব্লেজারটা খুলে সোমার গায়ে জড়িয়ে দিয়ে বলল...)
শোয়েব: এবারতো চল...
(সোমা আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ ওর সাথে হাঁটতে লাগলো)
সিজা: ওয়েল ডান রিশান...
রিশান: Anything for you baby...
সিজা: I know I know...
রিশান: Are you happy now?
সিজা: হুম অনেক,ঐ গাঁইয়াটার জন্য ও আমাকে ছেড়ে দেয়া!আমিও দেখব ও ঐ মেয়েকে নিয়ে কতটা উড়তে পারে... 
রিশান: এখনও তো কিছুই হয়নি বেবি,ফাইনাল ডোজটাতো এখনও বাঁকিই আছে...
(দুজনে একসাথে হেসে উঠল)
.
বাসায় এসেই চেঞ্জ করে নিল সোমা।চেঞ্জ করার সময়ই বুঝতে পেরেছে পায়ে কয়েক জায়গায় হালকা পুড়ে গেছে,অদ্ভূত ভাবে পিঠের দিকে কোমড়ের এক জায়গায় জ্বালা করছে।হয়ত কোন ভাবে আগুনের ছটা এসে পড়েছে ওখানে।ফ্রেশ হয়ে এসেই একটা এন্টিসেপ্টিক ক্রিম হাতে নিয়ে বিছানায় বসে পড়ল সোমা,ক্রিম হাতে নিলেও পোড়া জায়গায় লাগানোর সাহস পাচ্ছে না।ছোট থেকেই এসব কাঁটা-ছেড়া দেখলে প্রচণ্ড ভয় পায় ও,তখন শোয়েবের হাতের ড্রেসিং কিভাবে করতে পারল ভাবতে নিজের কাছেই অবাক লাগছে।অনেক চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিল আগে কোমড়েই ক্রিম লাগাবে,যেই ভাবা সেই কাজ এক হাতে কামিজটা পিঠ পর্যন্ত উঠিয়ে অন্যহাতে ক্ষতের উপর ক্রিম লাগানোর বৃথা চেষ্টা করতে লাগলো।ঠিক তখনই রুমের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকল শোয়েব,ঢুকেই চোখ কপালে উঠে গেল।সোমার জামাটা পিঠ পর্যন্ত উঠানো যার ফলে পিঠ আর কোমড়ের প্রায় পুরো অংশই উন্মুক্ত,সোমা পেছন ফিরে বসে আছে তাই কিছুই বুঝতে পারেনি।শোয়েব সোমার কাণ্ড দেখে চুপি চুপি ওর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো তারপর ওর হাত থেকে ক্রিমটা কেড়ে নিল।সোমা চমকে উঠে ওর দিকে ফিরে তাকালো...
সোমা: আ..আপনি!!!
শোয়েব: হ্যাঁ আমি,এই মেয়ে তুমি এত বোকা কেন বলতো...
সোমা: মাম...মানে?
শোয়েব: মানে দরজাটা লক করনি কেন?আমার জায়গায় যদি অন্য কেউ হত?
সোমা: আ..আসলে মম..মনে ছিল না আর তাছাড়া এ বাড়িতে তুমি ছাড়া আমার রুমে আসার মত আরতো কেউ নেই...
শোয়েব: আচ্ছা ঠিক আছে,বুঝলাম...এখন জামাটা একটু উঁচু করতো,আমি ক্রিমটা লাগিয়ে দিচ্ছি
সোমা: না না আমি একাই পারব...
শোয়েব: সোজা কথা তোমার কানে ঢোকে না তাইনা?যা করতে বলেছি চুপচাপ করবে নাকি আমি নিজেই করে নিব?
(সোমা আর কথা না বলে কামিজটা একটু উঁচু করল)
শোয়েব: আবে ইয়ার বুঝতে পারছো না কেন I am your husband not anyone else...আমার কাছে এত লজ্জা পাওয়ার কি আছে বুঝতে পারছি নাতো...
সোমা: (অবাক হয়ে)হা..হাজ..বেণ্ড!!!
শোয়েব: এতে এত অবাক হওয়ার কি আছে?দেখি হাত সরাওতো...
(সোমা একটু সংকোচ নিয়ে হাত সরিয়ে নিল,শোয়েব আস্তে আস্তে ওর কামিজটা পিঠ পর্যন্ত উঠিয়ে দিল)
শোয়েব: এবার ধর...
সোমা চুপচাপ এক হাতে ধরে রাখল,শোয়েব চুপচাপ ওর ক্ষতে ক্রিমটা লাগিয়ে দিল তারপর আচমকায় ওর উন্মুক্ত কোমড় আর ঘাড়ে নিজের ঠোঁটটা আলতো করে ছুঁইয়ে দিল।সোমা একটু শিউড়ে উঠে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলল,শোয়েব ওকে দুহাকে জড়িয়ে ধরে আরেকটু এগোতেই সোমার ফোনটা বেজে উঠল।কোনমতে শোয়েবের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ফোনটা হাতে নিয়েই দৌঁড়ে বেরিয়ে গেল রুম থেকে...
(সেই আননোন নাম্বারটা থেকেই কল এসেছে)
সোমা: হ্যালো..
-কি ম্যাডাম,বলেছিলাম না আপনার উপর এ্যাটাক হবে,কি আমার কথা মিলল তো?
সোমা: শুনুন আপনি কিন্তু শুধু শুধু আমাকে হয়রানি করছেন..
-আরে ম্যাডাম শুধু শুধু কেন করতে যাব?আমার কথাতো মিলেই গেছে,ম্যাডাম আপনি কিন্তু আপনার কথা রাখেননি,আমার সাথে এক কথায় ২ নম্বরি করেছেন...
সোমা: মানে?
-মানেটা খু্ব পরিষ্কার,কথা ছিল আপনি আমাকে ফোন দিবেন কিন্তু আপনিতো...
সোমা: ফালতু না বকে কি বলবেন বলেনতো...
-যা বলব সবইতো জানেন,আমার কথা মিলে গেছে না?
সোমা: এত খুশি হওয়ার কিছু নেই,আপনার কথা কিন্তু ৫০% মিলেছে,পুরোপুরিতো মেলেনি..
-আপনাকে কে বলল?আমিতো দেখছি পুরোপুরিই মিলে গেছে...
সোমা: মানে?
-এখনও বুঝলেন না?আপনার উপর এবারের এ্যাটাকটাও আপনার ঐ সো কল্ড হাজবেণ্ডই করিয়েছে
সোমা: সেটা কোন ভাবেই সম্ভব নয়
-কেন?
সোমা: তখতো ও আমার সাথে ডান্সফ্লোরে ছিল তাহলে...আর আমারতো মনে হয় গতবারের মত এবারেও ঘটনাটা পুরোটাই এ্যাক্সিডেন্টালিই ঘটে গেছে...
-আপনি যে এতটা বোকা হবেন আমি ধারণাও করিনি...
সোমা: মানে?
-মানে এ্যাটাকটা যে উনাকেই করতে হবে এটা কোন ডিকশনারিতে লেখা আছে?অন্য কাউকে দিয়েওতো করানো যায় তাইনা?
সোমা: আই কান্ট বিলিভ দিস...
-কেন?
সোমা: ও যদি নিজেই এ্যাটাকটা করিয়ে থাকে তাহলে নিজের হাত পুড়িয়ে মাকে বাঁচাতে যাবে কেন?
-এটাইতো ওর স্ট্র্যাটিজি ম্যাডাম,সবার সামনে ঐ নাটকটা করল যাতে করে কেউ ওর দিকে কোন সন্দেহ না করতে পারে...
সোমা: না,এ কিছুতেই হতে পারে না...
-আপনি নিজেই একবার ভেবে দেখুন না,পানি দিলেতো আগুন নিভে যাওয়ার কথা।তাহলে আপনার গায়ে লাগা আগুন নিভলো না কেন?নেভার বদলে উল্টো আরো জোরে জ্বলে উঠল কারণটা একবার ভেবে দেখেছেন?
সোমা: না মানে...
-পানিটা কিন্তু আপনার হাজবেণ্ডই এনেছিল কথাটা একটু ভেবে দেখবেন কিন্তু...
সোমা: হ্যালো হ্যালো...এক্সকিউজ মি...
(ওপাশ থেকে কোন জবাব মিলল না,কারণ ততক্ষণে ওপাশে থাকা রিশান ফোনটা কেটে দিয়েছে।ফোনটা রেখে সিজার দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিল)
সিজা: আরে বাহ্ এতকিছু কেমনে করলা?
রিশান: বলেছিলাম না,Anything for you...
সিজা: কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না
রিশান: কি?
সিজা: পানি ঢালার পর আগুন না নিভে উল্টো জ্বলে উঠল কেন?
রিশান: (একটু হেসে)কারণ পানিতে একটা কেমিক্যাল মেশানো ছিল যেটা আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হেল্প করে...
সিজা: কিন্তু তুমি এতকিছু প্ল্যান কখন করলে?
রিশান: কারণ আমি ঐ লুজারটাকে ভালমতই চিনি,ও কি করবে না করব আগে থেকেই জানতাম তাই সব ব্যবস্থা আগেই করে রেখেছিলাম...
সিজা: আরে বাহ্ You are really a genius...
রিশান: ইউ নো সিজা,আমার কাজ আমি করে দিয়েছি এখন দেখা যাক বাঁকি কাজটা কিভাবে হয়
সিজা: মানে?
রিশান: মানে আগুন যা লাগানোর আমি লাগিয়ে দিয়েছি।এখন দেখা যাক সোমার মনের মধ্যে যেই আগুনটা আমি জ্বালিয়ে দিয়েছি সেটা শোয়েবকে কিভাবে পোড়ায়...
সিজা: কিন্তু যদি কাজ না হয়?
রিশান: নাহলে অন্য কোন প্ল্যান করব
সিজা: রিয়েলি!!!
রিশান: Yah,You need not to worry baby,you just wait and see...

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ