লাভ গেমস্ - পর্ব ২৮

লাভ গেমস্ - পর্ব ২৮

লাভ গেমস্

লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu

পর্বঃ ২৮

ঠিক কতক্ষণ হল জানা নেই হঠাৎই কারো হা হা হাসির শব্দে ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালো সোমা,দেখল শোয়েব ওর কোলে মাথা রেখে সটান হয়ে শুয়ে পড়েছে আর ওর মুখের দিকে তাকিয়ে এমন পাগলের মত হাসছে।সোমা চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকালো আর তাতে শোয়েবের হাসির বেগ আরও বেড়ে গেল,সোমা কিছু্ক্ষণ সেদিকে তাকিয়ে থেকে নিজেও যোগ দিল।দুজনেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল...
(কিছু্ক্ষণ পর)
শোয়েব বালিশে হেলান দিয়ে বসে আছে,ওর ঠিক পাশেই সোমা ওর কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে।শোয়েব একহাত বাড়িয়ে ওকে আরও কাছে টেনে নিল তারপর আবারও হাসতে লাগল...
সোমা: এমন পাগলের মত হাসছো কেন?
শোয়েব: একটা কথা মনে পড়ল তাই...
সোমা: কোন কথা?
শোয়েব: তখন এমন রিয়্যাক্ট করলে যেন আমি তোমার কেউ না,সত্যি সত্যি তোমার সাথে জোর করে...
সোমা: তা নয় তো কি,তুমি আসলেইতো গুণ্ডাদের মত আমার সাথে...
শোয়েব: কি বললে,আমি গুণ্ডা!সত্যি সত্যি গুণ্ডারা কেমন করে দেখবে?
সোমা: এই না না...লাগবে না...
শোয়েব: আচ্ছা এখনতো সব ঝামেলা মিটেই গেছে তাই না?তাহলে এখনও দূরে সরে আছো কেন বলতো?আরেকটু কাছে এসে বসো...
(সোমা শোয়েবের আরো কাছে সরে গেল)
শোয়েব: একটা কথা বলতো...
সোমা: কি?
শোয়েব: ওরা যে আমাদের বাসায় হিডেন ক্যামেরা ফিট করে রেখেছে তুমি জানলে কি করে?
সোমা: আসলে সেদিন ঐ ছেলেটার কথা শুনে যখন তোমার ফোনটা আমার হাত থেকে পড়ে গেল,আমি উঠাতে গিয়েই টেবিলের সাথে লাগানো ক্যামেরাটায় চোখ পড়ে আর ছুটে বেরিয়ে আসি তারপর একটু ভাল করে খুঁজে দেখতেই বুঝলাম শুধু একটা না পুরো বাড়িতে আরো বেশ কয়েকটা ক্যামেরা লাগানো আছে...
শোয়েব: এক মিনিট এক মিনিট,তুমি আমার ফোনে কান পেতেছিলে কেন?তারমানে তুমি আমার সাথে গোয়েন্দাগিরি চালাচ্ছিলে!
সোমা: কি করব বল,ওরা এমনভাবে আমার ব্রেন ওয়াশ করেছিল যে আমি ওদের কথা বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছিলাম...
শোয়েব: (মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে)যাও তোমার সাথে কথা নেই...
সোমা: (কানে ধরে)I am sorry...
শোয়েব: (কোন রকমে হাসি আটকিয়ে)একটা শর্তে মাফ করতে পারি...
সোমা: কি শর্ত?
(শোয়েব সোমাকে ওর গালের দিকে ইশারা করল।সোমা মুচকি হেসে নিজের ঠোঁট আলতো করে শোয়েবের গালে ছুঁইয়ে দিল তারপর আচমকাই একটা কামড় বসিয়ে দিল)
শোয়েব: আউচ!এটা কি হল?
সোমা: (হাসতে হাসতে)কই কি হল?
শোয়েব: বুঝতে পারছো না তাইনা?
সোমা: কি বুঝব?
শোয়েব: তাই না...দাঁড়াও এক্ষুণি বুঝিয়ে দিচ্ছি...
শোয়েব হ্যাঁচকা টানে সোমাকে নিজের কোলের উপর ফেলে দিল তারপর আস্তে আস্তে ওর দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো।এলোপাথারি ওর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিতে লাগল আর সোমা চোখ বন্ধ করে সাড়া দিতে লাগলো...
ঠিক তখনি দরজায় কারো টোকা পড়ল,সোমা ঝটপট উঠে জামা-কাপড় ঠিক করে দরজার দিকে এগিয়ে গেল দেখল আরহাম দাঁড়িয়ে আছে...
আরহাম: হ্যালো স্যার,ভেতরে আসব? 
শোয়েব: হ্যাঁ আসুন মি.আরহাম
আরহাম: তখনতো ব্যস্ততার জন্য আপনার সাথে ঠিকমত কথাই বলতে পারলাম না,আশা করি এখানে আপনার কোন অসুবিধা হচ্ছে না...
সোমা: (অবাক হয়ে)এখানে এসব কি হচ্ছে!আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না...কেউ কি আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবে?
শোয়েব: ওহ সরি,সোমা পরিচয় করিয়ে দেই উনি হচ্ছেন মি. আরহাম আমাদের ইতালি অফিসের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার 
সোমা: মাম..মানে?এসব তুমি করেছো?
শোয়েব: আরে না না,আমিও ব্যাপারটা গত কালই জানতে পেরেছি।এসবই বাবার প্ল্যানিং ছিল,আমাদের দুজনকে কাছাকাছি আনার জন্য এন্ড বলতেই হবে যে উনি উনার প্ল্যানিং এ ১০০% সফল...
আরহাম: সরি স্যার,বড় স্যার আপনাকে জানাতে নিষেধ করেছিল তাই...
শোয়েব: ইট'স ওকে এন্ড থ্যাঙ্কস এগেইন
আরহাম: ওকে স্যার,ম্যাম আপনারা এখন রেস্ট করেন।কোন দরকার হলে আমাকে জানাবেন কেমন?
সোমা: দ্যাটস নট ফেয়ার মি.আরহাম
আরহাম: জ্বি?
সোমা: মানে ইউ হ্যাভ বিকাম এ ফ্রেণ্ড টু মি সো প্লিজ ডোন্ট কল মি ম্যাম
আরহাম: কিন্তু...
শোয়েব: কোন কিন্তু নয় আরহাম সাহেব,সোমা ঠিকই বলেছে।উই আর রিয়েলি গ্রেটফুল টু ইউ আর আপনি ওর সাথে আগে যেমন ফ্রেণ্ডলি ছিলেন তেমনই থাকবেন প্লিজ...
আরহাম: ওকে স্যার
(আরহাম চলে গেল)
সোমা: তুমি সত্যিই কিছু জানতে না?
শোয়েব: আরে বাবা বললামতো সত্যিই জানতাম না কাল বাবার কাছ থেকেই সব জেনেছি আর তারপরই এখানে ছুটে এসেছি নাহলে যে আমার কি হত!তোমাকে ছাড়া এই কয়দিনে অলরেডি হাফ পাগল হয়ে গেছি,আরও কয়েকদিন এভাবে থাকলে হয়ত পুরোপুরিই পাগল হয়ে যেতাম...
সোমা: রিয়েলি!!!
শোয়েব: ইউ নো হোয়াট সোমা,তোমাকে যে আমি এতটা ভালোবাসি,তোমাকে ছাড়া একটা মুহুর্ত কাটানো যে আমার জন্য কতটা কঠিন এই কয়দিনে আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।মনের ভেতর তমতোলপাড় হয়ে যাচ্ছিল অথচ ঐ সিজা আর রিশানের সামনে স্বাভাবিক থাকার অভিনয় করতে হচ্ছিল।এটা যে আমার জন্য কতটা কষ্টকর ছিল তোমাকে বোঝানো যাবে না...
সোমা: হুম বুঝলাম
শোয়েব: এখন আমাকে বল আমার সাথে এমনটা কেন করলে?
সোমা: আবার কি করলাম?
শোয়েব: তুমি একটা চিরকুটে হিডেন ক্যামেরা,ফোন ট্যাপিং এর যাবতীয়  কথা লিখে আসলে বাট কোথায় যাচ্ছো কার সাথে যাচ্ছো কিছুই লিখলে না!তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে আমারতো মাথাটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল,কত জায়গায় কত ভাবে যে তোমাকে খুঁজেছি তুমি জানো?
(সোমা মুচকি একটা হাসি দিল)
শোয়েব: এই শোন,একদম হাসবে না বলে দিচ্ছি।তোমাকে না পেয়ে ওদিকে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম আর এদিকেতো এই মহারাণী মনের সুখে ইতালি ভ্রমণ করে যাচ্ছেন...
(সোমা আবারও শব্দ করে হেসে উঠল)
শোয়েব: (রেগে গিয়ে)এখন খুব মজা লাগছে তাইনা?দাঁড়াও এই কয়দিনে আমাকে যত কষ্ট দিয়েছি সব আজকে উসুল করব তোমার থেকে
সোমা: আরে বাবা রাগ করছ কেন?
শোয়েব: রাগ করব নাতো কি করব?সেই বিয়ের দিন থেকেই তুমি আমার সাথে এমন করছ!একেক দিন একেক রকম টর্চার করেছো আমার উপর তারপরও শান্তি হয়নি না?কেন এমন করলে আমার সাথে?একটাবার কোন ভাবে জানিয়ে আসলে কি এমন ক্ষতি হয়ে যেত?
সোমা: শোয়েব প্লিজ একটু শান্ত হও...
শোয়েব: আগে বল কেন এমন করলে?
সোমা: আমি দেখতে চেয়েছিলাম তুমি আমাকে খুঁজে বের করতে পারো কিনা,দেখতে চেয়েছিলাম সত্যিই আমার প্রেমে পড়েছো কিনা,আমাকে ভালোবাসো কিনা...
শোয়েব: প্রেমেতো আমি তখনই পড়েছিলাম যখন তুমি অসুস্থ অবস্থায় আমার সেবা-যত্ন করেছিলে কিন্তু ব্যাপারটা বুঝে উঠতে সময় লাগছিল কি করব বল আমি যে এতটা গাধা আমি নিজেও জানতাম না...
(সোমা অবাক হয়ে শোয়েবের দিকে তাকিয়ে আছে,ও কি বলছে বা বলতে চাইছে বোঝার চেষ্টা করছে)
শোয়েব: যেদিন তোমাকে আরহামের কোলে দেখলাম সেদিনই প্রথমবারের মত খুব খারাপ লেগেছিল,মনে হচ্ছিল ওর জায়গায় আমি কেন থাকলাম না!তোমাকে যখনই আরহামের আশে পাশে দেখতাম এক ধরণের জেলাসি কাজ করতো আর সেকেণ্ড টাইম যেদিন রিকির পার্টিতে তোমার জামায় আগুন ধরে গেল তখন এক মুহুর্তের জন্য মনে হয়েছিল তোমাকে হয়ত আমি হারিয়ে ফেলব।সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি,ভেবেছিলাম সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনের কথাটা তোমাকে জানিয়ে দিব কিন্তু সকালে উঠে তোমাকে কোথাও পেলাম না।এক মুহুর্তের জন্য মনে হল যেন আমার পুরো পৃথিবীটাই অন্ধকার হয়ে গেল আর তারপরই ঐ ফোনকল পেয়ে তোমার পাসপোর্ট,ভিসা খুঁজতে গিয়ে তোমার লেখা চিরকুটটা পেলাম...
শোয়েবের কথা শুনে সোমার দুচোখ বেয়ে অশ্রুধারা ঝরতে লাগলো।শোয়েব আলতো হাতে ওর চোখ মুছে দিয়ে ওকে বুকে জড়িয়ে নিল...
শোয়েব: আর কক্ষণও কাঁদবে না তুমি,এতদিন না বুঝে অনেক কাঁদিয়েছি তোমাকে কিন্তু আর না,আমি বেঁচে থাকতে আর কখনও ঐ চোখে এক ফোঁটা জলও আসতে দিব না আই প্রমিজ।অনেক ভালোবাসি তোমাকে বউ,অনেক অনেক ভালোবাসি...
সোমা আরো শক্ত করে শোয়েবকে জড়িয়ে ধরল,চোখের পানি আরো জোরে ঝরতে লাগল আর শোয়েবের শার্ট ভিজিয়ে দিতে লাগল।শোয়েবও আর কোন বাঁধা দিল না মনে মনে হয়ত ভাবলো...
কাঁদুক শেষ বারের মত যত ইচ্ছে কেঁদে নিক,এই দিনটার জন্যই হয়তো এতদিন অপেক্ষা করে ছিল মেয়েটা।ঠিক আছে যত পানি ঝরাতে চাক ঝরাক কিন্তু এই শেষ বার আর কক্ষণও ওর ঐ চোখে এক ফোঁটা জলও জমতে দিব না,কক্ষণও না...
(রাতে ডিনার শেষে)
শোয়েব আর সোমা সুইমিং পুলের পানিতে পা ডুবিয়ে বসে আছে,সোমার একটা হাত শোয়েব শক্ত করে ধরে আছে কারণ শোয়েব জানে যে সোমার এ্যাক্রোফোবিয়া আছে।এমন খোলা ওয়াটার বডি দেখলে প্রচণ্ড ভয় পায় মেয়েটা কিন্তু আজকে ওকে দেখে মনেই হচ্ছে না যে ও একটুও ভয় পাচ্ছে।ব্যাপারটা শোয়েবের কাছে বেশ অদ্ভূত লাগছে...
শোয়েব: সোমা...
সোমা: হুম
শোয়েব: তোমার ভয় লাগছে না?
সোমা: উহু
শোয়েব: কিন্তু তোমারতো পানিতে...
সোমা: হ্যাঁ আমার এ্যাক্রোফোবিয়া আছে কিন্তু তবুও ভয় লাগছে না,ইনফ্যাক্ট আমি এখন এই পানিতে নেমে গোসলও দিতে পারব 
শোয়েব: (অবাক হয়ে)কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব?
সোমা: (মুচকি হেসে)সম্ভব কারণ এখন আমার পাশে তুমি আছো আর আমি জানি তুমি আমাকে কিছুতেই ডুবে যেতে দেবে না...
শোয়েব: কাউকে এতটা বিশ্বাস করা কিন্তু ঠিক না...
সোমা: বাট নিজের সবচেয়ে আপন মানুষটাকে তো করাই যায়...
(শোয়েব অবাক হয়ে সোমার দিকে তাকিয়ে থাকল)
সোমা: আচ্ছা এখন ওসব বাদ দাও,এবার আমাকে বলতো ফোন ট্যাপিং এর ব্যাপারটা কি ঠিক ছিল?
শোয়েব: হুম
সোমা: হোয়াট!আমিতো জাস্ট আন্দাজে একটা ঢিল ছুড়েছিলাম...
শোয়েব: বাট ঢিলটা একদম ঠিক জায়গায় লেগেছিল
সোমা: কিন্তু তুমি এতটা শিওর হলে কিভাবে?
শোয়েব: আসলে তোমাকে যে সকাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না এই কথাটা কেউই জানতো না,তোমার চিরকুটটা পড়ার পর ক্যামেরার ব্যাপারটা আমার কাছেও ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছিল।ফোন ট্যাপিং এর ব্যাপারটা নিশ্চিত হওয়ার জন্যে ইচ্ছে করেই ল্যাণ্ডলাইন আর ফোন থেকে জিসান আর পিয়ালকে ফোন দিয়েছিলাম।কিন্তু একটু পরেই যখন সিজা এসে আমাকে বলল যে তুমি পালয়ে গেছো জেনে ওর খুব খারাপ লাগছে তখনই ব্যাপারটা আমার কাছে পুরোপুরি ক্লিয়ার হয়ে যায়...
সোমা: ও মাই গড,এতকিছু তুমি একাই করেছো!
শোয়েব: ইয়েস মাই ডিয়ার ওয়াইফ... 
সোমা: তাহলে সকালে এসে তুমি আমার থেকে ডিভোর্স চাইছিলে কেন?আর ওমন বিহেভ করলে কেন?
শোয়েব: ওহ ওটাতো সিজাকে দেখানোর জন্য...
সোমা: (চমকে উঠে)সিজা!এখানে সিজা এলো কোথা থেকে?
শোয়েব: সিজা আসেনি বাট ওর স্পাই ক্যামেরা আর মাউথ পিস এসেছিল
সোমা: মানে?
শোয়েব: (পকেট থেকে কিছু একটা বের করতে করতে)মানে...এয়ারপোর্টে আমাকে সি অফ করার বাহানায় ও আমার ব্লেজারে এগুলো লাগিয়ে দিয়েছিল...
সোমা: (চমকে উঠে)তাহলে আবার এগুলো এখানে নিয়ে আসলে কেন?সরাও সরাও সরাও... 
শোয়েব: কাম ডাউন সোমা,ভয় পাওয়ার কিছু নেই,ওগুলো আর কোন কাজ করবে না...
সোমা: সত্যি???
শোয়েব: হুম...
সোমা: আচ্ছা তুমি এতকিছু কেন করলে বলতো...
শোয়েব: করব না!ওরা তোমার ক্ষতি করতে চেয়েছে,ওদেরকে কি আমি এমনি এমনি ছেড়ে দিব!!!
(সোমা অপলকে কিছু্ক্ষণ শোয়েবের দিকে তাকিয়ে থাকলো)
শোয়েব: আচ্ছা এবার একটু চোখ বন্ধ করতো...
সোমা: কিন্তু কেন?
শোয়েব: এই মেয়ে কোন প্রশ্ন ছাড়া একটা কাজও কি করতে পার না?
সোমা: কিন্তু...
শোয়েব: আচ্ছা ঠিক আছে তোমার জন্য একটা গিফ্ট আছে...
সোমা: কি গিফ্ট?
শোয়েব: সেটাতো বলা যাবে না,আগে চোখ বন্ধ কর তারপর বলব...
(সোমা আর কথা না বাড়িয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল,শোয়েব বুক পকেট থেকে একটা খাম বের করে সোমার হাতে রাখলো তারপর ওকে চোখ খুলতে বলল।সোমা ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালো তারপর খামটা খুলতেই চোখ কপালে উঠে গেল...)
সোমা: এ...এটাতো...
(শোয়েব সোমার অবস্থা দেখে মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো)
সোমা: তোত...তোমার মাথা ঠিক আছে তো?
শোয়েব: আমার মাথা ঠিকই আছে ম্যাডাম কিন্তু আপনারটা মনে হয় আর ঠিক থাকবে না
সোমা: মা..মানে?
শোয়েব: মানে আপনার জন্য অনেকগুলো সারপ্রাইজ ওয়েট করছে,সেগুলো দেখার পরে আপনার মাথা ঠিক থাকবে কিনা তাই ভাবছি...

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ