লাভ গেমস্ - পর্ব ২৫

লাভ গেমস্ - পর্ব ২৫

লাভ গেমস্

লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu

পর্বঃ ২৫

সোমা ফোনটা কাটতে যাবে তখনই
রিশান: লিসেন মিসেস সোমা,আমার কথাটা মিলে গেলে কি করবেন সেটা আপনার ব্যাপার।কিন্তু একটা থ্যাঙ্কস দিতে ভুলবেন না প্লিজ বিকজ আই ডিজার্ভ দিস...
.
শোয়েব: ওই শালা,কোন এক্সকিউজ দিবি না বলে দিলাম
রিকি: দেখ দোস্ত রাগ করিস না প্লিজ,আমিতো চেষ্টা করেছি তাইনা?না পারলে আমি কি করব?
শোয়েব: শালা..তোদেরকে ছোট্ট একটা কাজ দিয়েছিলাম,সেটাও করতে পারলি না!
শোয়েবের রুমের সামনে দিয়ে পাস করছিল সোমা,হঠাৎ এই কথাগুলো কানে আসতেই থমকে দাঁড়ালো।শোয়েব ফোনে কারো সাথে কথা বলছে...
রিকি: সরি দোস্ত
শোয়েব: সরি মাই ফুট,পারবি না তো আগেই বলতি,আমি নিজেই সব ব্যবস্থা করে নিতাম...
সোমা: (মনে মনে)কোন কাচের কথা বলছে ও?ও পাশের কথাতো কিছুই শুনতে পাচ্ছি না...
শোয়েব: শালা তোর জন্য আমার আজকের সব প্ল্যান ভেস্তে গেছে এখন সব আবার নতুন করে সাজাতে হবে ধ্যাত...
শোয়েব ফোনটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে বেরিয়ে গেল,সোমা কিছু একটা মনে করে রুমটাতে ঢুকে পড়ল।ফোনটা তুলে দেখল এখনও ওপাশ থেকে কল কাট হয় না,চুপচাপ ফোনটা কানে ধরতেই শুনতে পেল...
রিকি: সরি দোস্ত,আমি সত্যিই বলছি সবকিছু প্ল্যানমতই করেছিলাম কিন্তু শেষ মুহুর্তে গুলিয়ে গেল...
সোমা:.... 
রিকি: আমি কি করে জানব বল যে ঐ প্রোমা আর তুহিন পার্টিতে আসবে না?সেই জন্যেইতো প্ল্যানটা চেঞ্জ করতে হল।দেখ আমি একটা ভুল করেছি যে আগে থেকে প্ল্যানটার ব্যাপারে কিছুই জানাইনি,সেজন্যে আমি সরি।
সোমা:....
রিকি: কি করব বল আমি ভাবলাম প্ল্যানটা যখন এক্সিকিউট হলই না তখন একেবারে সব ফ্লপ করার থেকে কিছুটাতো কাজে লাগানো যেতেই পারে।তাইতো যে আগুন প্রোমার গায়ে লাগানোর কথা সেটা সোমার গায়েই...
দেখ আমি জানি যে ঐ মেয়ে তোর সব সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে তোকে হাতের ইশারায় নাচিয়ে যাচ্ছে তাই তুই প্রতিশোধ নিতেই এসব করছিস,বাট তুই চিন্তা করিস না যে ভয় টা পেয়েছে তাতেই সবকিছু ছেড়ে পালিয়ে যাবে....
(সোমার হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেল,মাথাটা ভন ভন করে ঘুরছে,পুরো শরীরটা থর থর করে কাঁপছে,দাঁড়িয়ে থাকার শক্তিটুকুও যেন হারিয়ে গেছে।শোয়েবের আসার শব্দ শুনে কোন রকমে ছুটে নিজের রুমে চলে এল...
.
(ফোনটা নামিয়ে রেখেই রিশানের দিকে তাকিয়ে শয়তানী একটা হাসি দিল রিকি,রিশান আর সোমা একটু হেসে ওকে জবাব দিল)
রিশান: Well done bro...
রিকি: সেদিন ঐ গাঁইয়াটার জন্যে আামর কলার চেপে ধরেছিলি না?একটা মেয়ের জন্যে এত বছরের পুরোনো বন্ধত্ব ভুলে গেল!এর জন্যে একটা উচিত শিক্ষাতো ওকে দিতেই হবে...
রিশান: এন্ড সেটা তুই বেশ ভাল ভাবেই করেছিস...
সিজা: ইয়াহ দ্যাটস রাইট
রিকি: বাই দ্য ওয়ে তুই কনফার্ম কিভাবে হলি যে তখন সোমাই ফোনটা উঠাবে?
রিশান: ওয়েল ওয়েল ওয়েল সবই ঐ হিডেন ক্যামেরার কামাল...
রিকি: মানে?
সিজা: মানে..ঐ রুমটাতে আগে থেকেই একটা হিডেন ক্যামেরা ফিট করা ছিল এন্ড সেটা কে করিয়েছে জানিস?আমি...
রিকি: আর ঐ প্রোমার ব্যাপারটা হঠাৎ করে কেন আনলি?
রিশান: একটু খোঁজ নিতেই জানতে পেরেছি সোমার সবচেয়ে বড় উইকনেস হল ওর ছোটবোন প্রোমা।নিজের ক্ষতি মেনে নিলেও ওর প্রাণপ্রিয় ছোট বোনটার কোন ক্ষতি ও কখনই মেনে নেবে না।তাই একটা টোপ হিসেবেই এটা ব্যবহার করেছি বলতে পারিস।
রিকি: ইউ আর রিয়েলি এ জিনিয়াস ব্রো...
রিশান: আই নো,এখন দেখার বিষয় এই ঘটনার পর সোমা কি করে...
সিজা: যাই করুক না কেন মজাতো আমরাই নিব তাইনা?
(তিন জনে একসাথে হেসে উঠল)
.
নিজের রুমে বসে আছে সোমা,মাথায় হাজারো চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে।চোখের পানি ফেলতে ফেলতে নিজের মনেই বলতে লাগল...
"কাজটা তুমি ঠিক করনি শোয়েব,তুমি দুই দুইবার আমার মনটা ভেঙ্গে খান খান করে দিয়েছো।প্রথমবার কোনকিছু না জেনেই তোমার প্রেমে পড়েছিলাম আর এবার তোমার সম্পর্কে সবকিছু জানার পর না চাইতেও তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছি কিন্তু তুমি আবারও...
আরে সম্পত্তির যদি এতই লোভ ছিল তাহলে তুমি সরাসরি আমাকে বলতে পারতে...আমি সবকিছু তোমার নামে করে দিতাম কিন্তু তুমি তা না করে...
আমার সাথে এতদিন যাই করেছো আমি কিচ্ছু মনে করিনি কিন্তু আমার জন্যে প্রোমার কোন ক্ষতি আমি কিছুতেই মেনে নেব না,কিছুতেই না..."
রুমে ফিরে এসেই ফোনটা খুঁজতে লাগল শোয়েব,তখন রাগের মাথায় এখানেই কোথাও ফেলে রেখে গিয়েছিল।আর কয়েকদিন পরেই প্রোমার বার্থডে তাই ও চিন্তা করেছিল ওর বার্থডে গিফ্ট হিসেবে দুজনের জন্যে হানিমুন টিকিট এ্যারেঞ্জ করে দেবে কিন্তু ঐ রিকিটার জন্যেই সব ভেস্তে গেল।এই সামান্য কাজটুতুও যে ঐ গাধাটা করতে পারবে না কে জানত?সবকিছু ঠিকঠাক করে ফিরে আসতে বেশ রাত হয়ে গেছে,সোমা কি করছে একবার দেখে আসা দরকার।ওর রুমের দরজাটা ভেতর থেকে লক করা কয়েকবার দরজায় নক করেও কোন সাড়া-শব্দ পেল না তাই ও ঘুমিয়ে পড়েছে ভেবে নিজের রুমে ফিরে আসল শোয়েব।বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই রাজ্যের ঘুম এসে ভর করল ওর দুচোখে.... 
(সকাল ৯ টা)
আচমকায় ঘুমটা ভেঙ্গে গেল শোয়েবের,চোখ ডলতে ডলতে বিছানায় উঠে বসল।দেয়াল ঘড়িটার দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠল,৯টা বেজে গেছে!এত বেলা হয়ে গেল কিন্তু ঐ লেডি হিটলারটা একবারও এসে বিরক্ত করল না তো!স্ট্রেঞ্জ...অন্যদিনতো সকাল ৭ টা বাজতে না বাজতেই এসে জোর করে ঘুম থেকে উঠায়,না উঠতে চাইলে কখনও ঠাণ্ডা পানি ঢেলে দেয়,কখনও বা এসির টেম্পারেচার চেঞ্জ করে দেয় আবার কখনও কখনও কানের কাছে খুব জোরে কোন গান ছেড়ে দেয়।কিন্তু আজ এত বেলা হয়ে গেলেও এসবের কিছুই করল না!কিন্তু কেন?আচ্ছা মেয়েটার কোন অসুখ বিসুখ করেনি তো?কাল রাতে যা কিছু ঘটেছে তাতে....
এক লাফে বিছানা থেকে নেমেই সোমার রুমের দিকে ছুটতে লাগল শোয়েব।রুমটা এখনও বন্ধ,নক করার জন্য একবার ধাক্কা দিতেই খুলে গেল।টাইম ওয়েস্ট না করে রুমের মধ্যে ঢুকে পড়ল ও কিন্তু কই রুমেতো কেউ নেই!তবে কি বাথরুমে?একে একে বাথরুম বেলকনি সব তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখল শোয়েব কিন্তু সোমাকে কোথাও পাওয়া গেল না।হয়ত নিচে আছে ভেবে নিচে নেমে আসল শোয়েব
পারুল: ভাইজান নাস্তা সাজামু?
শোয়েব: (চমকে উঠে)কি বললি?
পারুল: কইলাম যে আপনে কি অহন নাস্তা করবেন?করলে কন আমি টেবিলে সাজাইয়া দিতাছি
শোয়েব: তুই টেবিল সাজাবি মানে?তোর ভাবি কই?
পারুল: ভাবিতো সক্কাল সক্কাল কই জানি গেল,যাওনের আগে কইল আপনেরে যেন খাওন আর ঔষধ টাইম মত দিয়ে দেই...
শোয়েব: কি গেছে কিছু বলে যায়নি?
পারুল: নাতো...
শোয়েব: (মনে মনে)কাউকে কিছু না বলে এত সকালে কোথায় গেল?
পারুল: ভাইজান...ভাইজান...
শোয়েব: হুম
পারুল: খাওন কি টেবিলে দিমু?
শোয়েব: না দরকার নেই
পারুল: ভাবি শুনলে কিন্তু সেই রাগ হইব...
শোয়েব: আচ্ছা ঠিক আছে দে...
সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়ে এসেছে,আর একটু পরেই সন্ধ্যে নামবে।শোয়েব বার বার রুমের এ মাথা থেকে ও মাথা পায়চারী করে যাচ্ছে,কারণটা হল সোমা এখনও ফেরেনি।অফিসে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়ে খোঁজ নিয়েছে,ও নাকি আজকে অফিসেই যায়নি তাহলে গেল টা কোথায়?সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেয়া হয়ে গেছে কিন্তু ও কোত্থাও যায়নি,টেনশনে মাথা খারাপ হওয়ার দশা হয়েছে শোয়েবের।অনেক চিন্তা করে এর মধ্যে প্রোমাদের বাসায়ও ফোন দিয়েছিল,ওখানেও যায়নি।এখন কি করবে কোথায় যাবে কিছুই বুঝতে পারছে না ও।আচ্ছা ওর আবার কোন এ্যাক্সিডেন্ট হয়নিতো!গাড়িটাও সঙ্গে করে নিয়ে যায়নি তাহলে কিভাবে কি করবে কিছুই মাথায় আসছে না ওর...
এসব আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে যখন ওর মাথা খারাপ হওয়ার দশা ঠিক তখনই ফোনের মেসেজ টোনটা বেজে উঠল।এক মুহুর্ত দেরি না করে ফোনটা হাতে তুলে নিল,একটা আননোন নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে।ওপেন অপশনে টাচ করতেই চোখের সামনে ভেসে উঠল...
"কি মি.শোয়েব,চিড়িয়া উড়ে গেছে তাইনা?ঠিক জানতাম এই মেয়ে এমন কিছুই করবে...আপনার পয়সার লোভে আপনার সাথে ছিল এতদিন,এখন আপনার থেকেও ওয়েল স্ট্যাবলিশড কাউকে পেয়ে আপনাকেই...
মানতেই হবে মেয়েটার বুদ্ধি আছে বটে...
কি আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না তাইতো?ঐ আরহাম ছেলেটার কথা মনে আছে না?আপনার ওয়াইফ ঐ ছেলেটার সাথেই...
আমার কথা বিশ্বাস না হলে উনার পাসপোর্ট আর ভিসাটা জায়গামত আছে কিনা একবার চেক করে আসুন আর তাও যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে আমার কাছে আরো এভিডেন্স আছে।আপনি চাইলে সবই দেখাতে পারি..."
ফোনটা নামিয়ে রেখেই এক ছুটে আলমারির দিকে ছুটে গেল শোয়েব,পাসপোর্ট আর ভিসার ফাইলটা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সোমারটা খুঁজে পেল না।বাবা অনেকটা জোর করেই দুজনের পাসপোর্ট আর ভিসা একসাথে করিয়েছিলেন,উদ্দেশ্যটা অবশ্য ছিল ওদেরকে দেশের বাইরে হানিমুনে পাঠানো।এতদডন এক ফাইলেও ওগুলো বন্দি ছিল কিন্তু ওখানে এখন শুধু একটাই আছে,ওর নিজেরটা।সোমার পাসপোর্ট ভিসা সব গায়েব!
কোন মতে দরজাটা লক করেই মেঝেতে বসে পড়ল শোয়েব,ঠিক তখনই ফোনে আরেকটা মেসেজ আসল।এবারেরটা একটা এম এম এস যাতে দেখা যাচ্ছে সোমা আর ঐ আরহাম ছেলেটা একটা কফিশপে বসে আছে।শোয়েব ফোনটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে বেশ জোরে একটা চিৎকার দিল তারপর বলল...
"You liar!তুমি আমার সাথে বিট্রে করলে!How dare you Soma!ওটা শুধু আমার ক্যারেক্টারের সাথে মানায় তোমার সাথে না,কেন করলে এসব?ঠিক আছে যা করেছো করেছো,But I swear you will have to pay for it...."
শোয়েব রেগে মেগে বেরিয়ে গেল,ওর ফোনটা রুমের এক কোণে পড়ে রইল।একটু মনযোগ দিয়ে দেখলে যে কেউই বুঝতে পারতো ছবিটা বেশ কিছুদিন আগের তোলা,সেই শেষবার যেদিন সোমা আরহামের সাথে দেখা করেছিল সেদিনের তোলা ছবি,ছবিটার এক কোণে ছোট্ট করে সেদিনের তারিখটাও লেখা আছে।অন্যকি সময় হলে শোয়েব ঠিকই ধরতে পারত কিন্তু মাথা গরম থাকায় ও কিছুই খেয়ালই করেনি... 
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে,লেকের চারপাশের মানুষজনও তাই কমে আসছে।সেই সকাল থেকে ধানমণ্ডি লেকের উত্তর পাশের এই বেঞ্চটাতে একটা মেয়ে চুপটি করে বসে আছে।মাথা নিচু করে নিরবে চোখের জল ফেলছে।মেয়েটার নাম সোমা,পোশাক আশাক দেখে যে কেউই বলে দেবে বেশ বড় ঘরের মেয়ে অথবা বৌ।সারদিন কেউ তাকে বিশেষ খেয়াল না করলেও এই শেষ বিকেলে এসে সবাই বেশ উৎসুকভাবে ওকে লক্ষ্য করছে আর করবেই বা না কেন?এই সময়ে একা একা এই নির্জন জায়গায় একটা মেয়ে একা একা বসে আছে ব্যাপারটা বলা যতটা সহজ হজম করাটা যে ততটাই কঠিন...
আশে পাশের মানুষগুলো যে ওর দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে ব্যাপারটা বুঝতে খানিকটা সময় লাগল সোমার তারপর হুট করেই উঠে দাঁড়ালো,লেক থেকে বেরিয়ে সামনের একটা কফিশপে গিয়ে বসল।এখন কিছুটা সময় নিশ্চিন্তে থাকা যাবে কিন্তু সারাটা রাততো আর এখানে কাটানো যাবে না...
সারা রাত চিন্তা করে করে সেই সকাল সকালই ও বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে কিন্তু এখন কি করবে কোথায় যাবে কিছুই মাথায় আসছে না।প্রোমার ওখানে গেলে মেয়েটা খুব কষ্ট পাবে,এমনিতেই ওর জন্য প্রোমার জীবনটা তছনছ হয়ে গেছে।অনেক কষ্টে ওরা সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছে এখন আবার সবকিছু এলোমেলো করে দেয়ার কোন মানেই হয় না।বাবার কাছে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না,কোন মুখে যাবে?যেভাবেই হোক না কেন ও তো বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসে সবার সামনে বাবার মাথাটা নিচু করে দিয়েছে!আর জাফির?ওকে কিছু বলা মানেই সবকিছু গোলমাল করে ফেলবে,এমনিতেই শোয়েবের উপর যে পরিমাণে রেগে আছে তারপর এসব শুনলে...আর তাছাড়া জাফিরের বড় ভাই জিসান শোয়েবের খুব ভাল বন্ধু তাই ও জানলে শোয়েবও জেনে যাবে... 
এমন আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতেই ওয়েটার বিলটা নিয়ে আসলো।পার্স খুলে বিলটা দিকে যাবে তখনই একটা জিনিসের উপর চোখ আটকে গেল সোমার।একটা কার্ড...মুহুর্তেই মুখে হাসি ফুটে উঠল ওর,মনে একটা আশার আলো জেগে উঠল।ঝটপট ফোনটা বের করে কার্ডের উপরে থাকা নাম্বারটাতে ডায়াল করে বসল।কয়েকবার রিং হতেই ওপাশ থেকে শুনতে পেল একটা রেকর্ডেড ভয়েজ...
"Hi!this is Arham ashraf Chowdhury,I am not available right now.please leave your message I will contact you whenever I will be availabe..."
একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসলো সোমার মুখ দিয়ে তারপর বলল..
"হাই আরহাম!আমি সোমা,Do you remember me?Please contact with me as soon as possible it's urgent..."
ফোনটা নামিয়ে রেখে আরেক কাপ কফির অর্ডার দিল সোমা,মনে মনে বার বার শুধু সৃষ্টিকর্তার নাম নিচ্ছে যাতে আরহাম তাড়াতাড়ি কলটা ব্যাক করে...
অফিস থেকে মাত্রই রুমে ফিরল আরহাম,বরাবরের মতই রুমে ঢুকেই ল্যাণ্ডফোনের অটো আনসারিং মেসিনটা অন করে নিজের কাজ করতে লাগল।কয়েকটা ইটালিক আর ইংলিশ মেসেজের পরই একটা বাংলা স্বর ভেসে আসলো।থমকে দাঁড়ালো আরহাম সোমা নামটা শুনে,ছুটে চলে গেল মেসিনটার কাছে।পুরো মেসেজটা খুব মনযোগ দিয়ে শুনে ঝটপট ডায়াল করল সোমার নাম্বারে,একবার রিং হতেই ওপাশ থেকে শুনতে পেল
সোমা: হ্যালো মি.আরহাম?
আরহাম: হ্যালো মিসেস সোমা,এই বন্ধুটাকে শেষ মেষ মনে পড়ল তাহলে?
সোমা: দেখুন মি.আরহাম,I am in a big trouble
আরহাম: হোয়াট!কি হয়েছে বলুনতো?
সোমা: দেখুন আপনি আমার অনেক উপকার করেছেন,শেষ বারের মত আরেকটা উপকার করবেন প্লিজ...?
আরহাম: প্রবলেম টা কি বলবেন তো...
সোমা: বলব সব বলব কিন্তু এখন না,দিস টাইম আই নিড ইয়োর হেল্প প্লিজ...
আরহাম: ওকে ওকে...কুল ডাউন,নাউ টেল মি আপনি এখন কোথায় আছেন...
(সোমা ওর লোকেশনটা জানিয়ে দিল)
আরহাম: শোনেন আপনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন,আমি একজনকে পাঠাচ্ছি...
সোমা: আরেকটা কথা
আরহাম: জ্বি বলুন...
সোমা: জাফিরকে প্লিজ এই বিষয়ে কিছু জানাবেন না...
আরহাম: (মুচকি হেসে)আচ্ছা ঠিক আছে,তাই হবে...

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ