লাভ গেমস্ - পর্ব ২২

লাভ গেমস্

লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu

পর্বঃ ২২

আরহাম: May I come in mam?
সোমা: (চমকে উঠে)ও আপনি?
আরহাম: সরি,মনে হয় ভয় পাইয়ে দিলাম...
সোমা: আরে না না,আসলে আপনি হঠাৎ করে চলে আসলেনতো তাই একটু...
আরহাম: Sorry again...
সোমা: It's okey...তারপর আপনি হঠাৎ রান্নাঘরে আসতে গেলেন কেন?কিছু লাগলে আপনি আমাকে বলতে পারতেন...
আরহাম: আরে না না,আমার কিছু লাগবে না।আমিতো এমনিই..একা একা বোর লাগছিল তাই...
সোমা: একা একা মানে?আমি না জাফুকে বললাম আপনাকে পুরো বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখাতে,তা ঐ ফাজিলটা কই?
আরহাম: আসলে ওর এটা ফোন এসেছিল,কথা বলে আসছি বলে সেই যে গেছে আর আসার নামই নেই!তাইতো একা একা বসে না থেকে এখানে চলেই অাসলাম...
সোমা: ফোন!তারমানে ফারিয়া ফোন দিয়েছে...
আরহাম: এই ফারিয়াটা আবার কে?
সোমা: ও..আপনিতো ফারিয়াকে চিনেন না,কেন জাফু আপনাকে ওর ব্যাপারে কিছু বলেনি?
আরহাম: কই নাতো...
সোমা: ও...ফারিয়া হচ্ছে আমার খুব ভাল একজন বান্ধবী,অবশ্য ওর আরেকটা পরিচয়ও আছে...
আরহাম: কি পরিচয়?
সোমা: ও হচ্ছে আমাদের জাফিরের গার্লফ্রেণ্ড আর আপনার ভাইয়ের হবু বউ...
আরহাম: হোয়াট!আর ঐ শয়তানটা আমাকে কিছুই বলল না!
সোমা: হয়ত আপনাকে ভয় পায় বা লজ্জা পেয়েছে...
আরহাম: ভয় পায়নি তবে লজ্জা পাওয়াটাই স্বাভাবিক...
সোমা: কেন বলুনতো
আরহাম: কেননা বড় ভাই এখনও কাউকে খূঁজেই পেল না আর ছোট ভাই একা একাই নিজের বিয়ের ব্যবস্থা করে ফেলেছে...
সোমা: এমা আপনি এখনও বিয়ে করেননি!
আরহাম: বিয়ে তো দূরের কথা,এখনও একটা গার্লফ্রেণ্ডই ম্যানেজ করতে পারলাম না...
সোমা: I can't believe this...
আরহাম: কেন অবিশ্বাস করার মত কি কিছু বলেছি?
সোমা: না তা বলেননি...কিন্তু আপনার মত এত হ্যাণ্ডসাম,ওয়েল এডুকেটেড,স্ট্যাবলিশড ছেলের এখনও জি এফ জোটেনি কথাটা কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না...
আরহাম: বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি ম্যাডাম...
সোমা: আচ্ছা ঠিক আছে,আপনার জন্য মেয়ে আমি খুঁজব
আরহাম: Really!
সোমা: হুম এখন টাইম ওয়েস্ট না করে বলুনতো আপনার ঠিক কেমন মেয়ে পছন্দ?
আরহাম: You are serious!oh god I thought you are joking but...
সোমা: দেখুন আমি ফাইজলামি একদম পছন্দ করি না,সো জলদি বলেন...
আরহাম: (একটু ভেবে)অনেক ভেবে দেখলাম আমার ঠিক আপনাকে..আই মিন আপনার মত একজনকে চাই...
সোমা: (চমকে উঠে)জ্বি!!!
আরহাম: আমি বলতে চাইছি আপনার মত সিম্পল,সেনসিটিভ,কেয়ারিং একজনকে চাই যে কিনা আমাকে নিজের চাইতেও বেশি ভালোবাসবে ঠিক আপনার মত
সোমা: (অবাক হয়ে)আমার মত মানে?
আরহাম: মানে আপনি আপনার হাজবেণ্ডকে যেমন ভালোবাসেন ঠিক তেমন...
সোমা: আপনাকে কে বলল আমি শোয়েবকে ভালোবাসি?
আরহাম: বলতে হয় না,আপনাকে দেখেই বোঝা যায়,যে কেউ একবার আপনাদের দেখলেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবে...
সোমা: (মনে মনে)সবাই বুঝে কি লাভ!যার বোঝার দরকার সেইতো বোঝে না...
আরহাম: By the way...মি.হট টেম্পারকে তো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না...
সোমা: জ্বি?
আরহাম: মি.হট টেম্পার...কোথায় তিনি?
সোমা: এটা আবার কে?
আরহাম: কে আবার,আপনার হাজবেন্ড মি.শোয়েব...
সোমা: (হো হো করে হেসে)তা ওর এই রকম নাম দেয়ার কারণ?
আরহাম: তা কি করব?আমাকে দেখলেইতো উনি রাগে লাল হয়ে যান মনে হয় যেন উনার মুখের উপর রাখলে লোহাও গরম হয়ে যাবে... 
(সোমা আবারও হাসতে লাগল)
সোমা: আচ্ছা শুনুন...
আরহাম: জ্বি বলুন...
সোমা: আপনি বরং জাফুর সাথে গল্প করুন,আমার আর খুব বেশিক্ষণ লাগবে না...
আরহাম: না না আমারতো এখানেই ভাল লাগছে,ইনফ্যাক্ট আমিতো ভাবছিলাম আপনাকে রান্নায় হেল্প করব...
সোমা: (অবাক হয়ে)আপনি রান্না করতে জানেন!!!
আরহাম: জানব না কেন?আপনার কি মনে হয় শুধু মেয়েরাই রান্না করতে জানে?
সোমা: না না তা কেন ভাবব?কিন্তু...
আরহাম: আসলে বিদেশেতো হাউজমেইড এতটা ইজিলি পাওয়া যায় না তাই নিজেকেই সব করতে হয়।এত বছর ধরে করতে করতে বলতে পারেন এক রকম এক্সপার্টই হয়ে গেছি।
সোমা: ও...তাই বলেন...
আরহাম: আসলে ব্যাপারটা কিন্তু ভাল,আমার মতে ছেলেদেরও সংসারের কিছু কিছু কাজ জানা উচিত,শুধু মেয়েরাই কেন কষ্ট করবে?আমাদেরও মাঝে মাঝে এসব কাজ করা উচিত তাহলেই আস্তে আস্তে ছেলেরা বুঝবে একটা মেয়ে প্রতিদিন কত কষ্ট করে...
সোমা: আপনার উপলব্ধিটা অনেক ভাল কিন্তু একটা জিনিস জানেনতো পুরুষশাসিত সমাজে বেশিরভাগ পুরুষই শুধু ডোমিনেট করতে চায়,মেয়েদের কষ্টগুলো কেউ বুঝতেই চায়না।তাদের কষ্টগুলো তাই কান্না হয়ে ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই আবদ্ধ থেকে যায়...
আরহাম: আমি কিন্তু মোটেও অমন করব না...
সোমা: তাহলেতো বলতেই হবে আপনার ওয়াইফ যে হবে সে অনেক লাকি
আরহাম: সেই লাকি মানুষটার মুখ-দর্শন কি আমি আদৌ করতে পারব নাকি বিয়ের আগেই পটল তুলব কে বলতে পারে!
সোমা: প্লিজ...
আরহাম: আরে আপনি দেখি সিরিয়াস হয়ে গেলেন,just chill yaar I was just joking...
সোমা: তো আপনি কি ভেবেছেন,আমিও ফান করছিলাম...
আরহাম: No no no,now you are lying...
সোমা: কে বলেছে,কোন প্রমাণ আছে?
আরহাম: প্রমাণতো আপনার কাছেও নেই...
সোমা: বাব্বাহ আপনার সাথে কথায় পারা কার সাধ্য!
আরহাম: তাহলে হার স্বীকার করছেন?
সোমা: ওকে ওকে আই লস্ট আই লস্ট
আরহাম: জানেনতো মিসেস সোমা,আপনার আমার জুড়ি মিললে কিন্তু বেস্ট হত
সোমা: মানে?
আরহাম: মানে এই যে আপনি খুব বেশি তর্কে জড়ান না,একটু তর্ক করেই হার মেনে নেন তাই বলছিলাম আপনার আমার জুটি হলে বেস্ট কাপলের এ্যাওয়ার্ড পেতাম...
সোমা: দেখুন...
আরহাম: আরে ইয়ার,আপনি সব কথায় এত সিরিয়াস কেন হয়ে যান বলেনতো...I was just kidding yaar...
সোমা: I was also kidding...
আরহান: Again....
(সোমা আর আরহান দুজনেই একসাথে হেসে উঠল)
.
বাড়িতে ঢুকতেই শোয়েবের মনে হল কিচেনের দিক থেকে কারো হাসাহাসির শব্দ আসছে,একটু এগিয়ে যেতেই বুঝতে পারল সোমা হাসছে কিন্তু সাথের পুরুষ কণ্ঠটা কার বুঝতে পারল না।উৎসুকতা কাটানোর জন্য কিচেনে উকি দিতেই চোখ ছানা-বড়া হয়ে গেল শোয়েবের,সেদিনের ঐ ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে আর শুধু দাঁড়িয়ে আছে বললেও ভুল হবে,ওরা রীতিমত আড্ডা দিচ্ছে।চলে আসতে গিয়েও আবার কি মনে করে সোমাকে ডাকল শোয়েব
শোয়েব: সোমা একটু এদিকে আসবে?
(হঠাৎ শোয়েবের কণ্ঠ শুনে চমকে উঠে দরজার দিকে তাকালো সোমা আর তারপরই দরজার কাছে শোয়েবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভূত দেখার মত চমকে উঠল। ওতো কখনও এমুখো হয় না তাহলে আজ কেন...শোয়েবকে ফিরে যেতে দেখে কোন মতে নিজেকে সামলে নিয়ে আসছি বলেই যাওয়ার জন্য পা বাড়াল আর তখনই ঘটল অঘটন।দরজার সামনে রাখা পাপোশো পা পিছলে গেল সোমার,ভয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলল।কিছু্ক্ষণ পর চোখ খুলতেই নিজেকে আরহামের বাহুবন্ধনে আবিষ্কার করল।কোন রকমে উঠে দাঁড়ালেও লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল।পরিস্থিতি সামাল দিতে আরহামই মুখ খুলল...
আরহাম: আপনারা মেয়েরা না নিজেই নিজের শত্রু
সোমা: (অবাক হয়ে)হঠাৎ একথা বলছেন কেন?
আরহাম: এই যে আপনার ঐ মি.হট টেম্পার আপনাকে একবার ডাকতেই এমন ভাবে ছুটলেন যেন এক্ষুণি না গেলে বিশাল বড় কোন ক্ষতি হয়ে যাবে।একটাবার খেয়ালও করলেন না যে সামনে এমন কিছু নেইতো যাতে আপনার কোন ক্ষতি হতে পারে...
সোমা: আপনি মেয়ে হলে আপনিও এমনই করতেন...
আরহাম: ভাগ্যিস মেয়ে হয়ে জন্মায়নি...
সোমা: By the way thanks again..
আরহাম: My pleasure mam...
(সোমা মুচকি একটা হাসি দিয়েই চলে গেল)
.
রুমের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত পায়চারি করছে শোয়েব,সকাল থেকে একটার পর একটা ঘটনা ঘটে যাচ্ছে যাতে চাইলেও মাথাটা ঠাণ্ডা রাখা যাচ্ছে না।সকালের ঘটনার জন্যে সিজা আর রিশানের উপর এমনিতেই রেগে আছে তার উপর আবার এখন ঐ উটকো ছেলেটা এসে জুটেছে।আর শুধু যে জুটেছে তা নয়,সোমার সাথে রীতিমত ক্লোজলি দেখা যাচ্ছে ওকে।তখন কিচেনের সামনে থেকে চলে আসলেও কি মনে করে যেন ফিরে গিয়েছিল ও আর তখনই দেখেছে সোমাকে বেশ অন্তরঙগভাবে জড়িয়ে ধরে রেখেছে ছেলেটা আর ঐ নির্লজ্জ বেহায়া মেয়েটাও চুপচাপ মজা দেখছে।ইচ্ছে করছিল তখনই কষে দুটো থাপ্পড় দিতে,অনেক কষ্টে নিজেকে সামাল দিয়েছে ও...
শোয়েব: (মনে মনে)আমি গায়ে হাত দিতে গেলেইতো এমন রিয়েক্ট করে যেন আমি ছুঁয়ে দিলেই গায়ে ফোস্কা পড়ে যাবে অথচ এই ছেলের বেলায়...
আসুক একবার আজ এর একটা ব্যবস্থা করবই করব...
(তখনই সোমা দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকল)
সোমা: আমাকে ডাকছিলে?
শোয়েব: দেখলেইতো ডাকছিলাম তাহলে আবার জানতে চাইছো কেন?
সোমা: কি আশ্চর্য!তুমি হঠাৎ এভাবে কথা বলছ কেন?
শোয়েব: তোমার মত থার্ডক্লাশ মেয়ের সাথে এর থেকে ভাল আর কেমন বিহেভ আশা কর..?
সোমা: শোয়েব একটু আস্তে বল প্লিজ...বাসায় দুজন বাইরের মানুষ আছে...
শোয়েব: তো আমি কি করব?কেন এসেছে ঐ ছেলেটা?
সোমা: এটা কি ধরণের প্রশ্ন শোয়েব?সেদিন তোমার সামনেইতো আমি উনাকে দাওয়াত করলাম তাই এসেছে আর জাফিরও এসেছে উনার সাথে
শোয়েব: আবার জাফির কেন এসেছে?
সোমা: (একটু রেগে গিয়ে)কি আশ্চর্য!আমার বেস্ট ফ্রেণ্ড আমার বাসায় আসতে পারবে না!তোমার ফ্রেণ্ডরা যখন আসে আমি কি তখন কিছু বলতে যাই?আর তাছাড়া জাফির আরহানের কাজিন তাই উনার সাথে এসেছে...
শোয়েব: বাহ্ বাহ্ বাহ্ আমিতো ভেবেছিলাম তোমাদের দেখা হওয়াটা জাস্ট একটা কো ইন্সিডেন্স ছিল বাট এখনতো মনে হচ্ছে সবই প্রি প্ল্যান্ড...অনেক পুরোনো বন্ধু তোমার...
সোমা: (দাঁতে দাঁত চেপে)শোয়েব তুমি কিন্তু লিমিট ক্রস করছো...
শোয়েব: লিমিট ক্রসের দেখেছো টা কি?তোমার চাল-চলন ঠিক কর নাহলে কিন্তু এর থেকেও খারাপ কিছু শুনতে হবে...
সোমা: শোয়েব....
শোয়েব: শুনতে খুব খারাপ লাগছে তাইনা?তুমি নষ্টামি করকে পারবে আর আমি বললেই দোষ তাইনা?
সোমা: শাট আপ শোয়েব!অনেক্ষণ ধরে তোমার এসব ফালতু কথা সহ্য করছি কিন্তু আর না,এই কি নষ্টামি করেছি আমি বল?আমার একটু মেলা-মেশা,হাসি মুখে কথা বলা যদি নষ্টামি হয়ে থাকে তাহলে সিজার সাথে তুমি যেটা করে যাচ্ছো সেটাকে কি বলে এক্সপ্লেইন করবে?
শোয়েব: (চিৎকার করে)সোমা....
(শোয়েব সোমার গায়ে হাত তুলতে গেলে সোমা ওর হাত চেপে ধরল)
সোমা: হাউ ডেয়ার ইউ!কি মনে কর নিজেকে?তুমি সাধু আর বাঁকি সবাই খারাপ!নিজের ব্যাপারে একটা বাজে কথা শুনতেই মাথা খারাপ হয়ে গেল!আর তুমি যে সেই কখন থেকে আমাকে একটার পর একটা কথা শুনিয়ে যাচ্ছো তার বেলায়?শোন শোয়েব,নিজের ব্যাপারে খারাপ কথা শুনতে না সবারই খারাপ লাগে তাই ফারদার আমার ব্যাপারে কোন নোংরা কথা বলার আগে হাজার বার ভেবে দেখবে নাহলে কিন্তু আমিও চুপ করে বসে থাকব না...
(সোমা চলে গেল,শোয়েব সেদিকে তাকিয়ে থাকল কিছু্ক্ষণ তারপর নিজের মনেই বিড় বিড় করে বলল)
শোয়েব: আমি কি আসলেই একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেললাম?আচ্ছা ওর উপর এভাবে রেগে গেলাম কেন?আচ্ছা বুঝেছি,সিজার উপরের রাগ ওর উপর এ্যাপ্লাই করেছি।আচ্ছা সিজাও তো আমাকে ভুল বুঝে বসে আছে,ও আমার সম্পর্কে যা ভেবেছে সবইতো ভুল তাহলে কি আমিও সোমার ব্যাপারে যা ভাবছি সব ভুল?সে যাই হোক সোমাকেতো পরেও দেখা যাবে আগে সিজার রাগটা ভাঙ্গাতে হবে...
(এই বলেই ফোনটা হাতে নিল শোয়েব,ডায়াল করল সিজার নাম্বারে...)
.
বাইরে আসতেই সোমা দেখল আরহান আর জাফির টেবিলে খাবার সাজাচ্ছে,নিমেষেই শোয়েবের জন্য ওর যেটুকু মন খারাপ হয়েছিল তা দূর হয়ে সেই জায়গায় অন্যরকম একটা প্রশান্তি ভর করল।মুখে হাসি ফুটিয়ে সোমা এগিয়ে গেল ওদের দিকে...
সোমা: আরে আরে এসব কি হচ্ছে?
আরহাম: আপনারা ব্যস্ত ছিলেন তাই আমরা ভাবলাম আপনার কাজটা আমরা একটু এগিয়ে রাখি...
সোমা: এগিয়ে কি বলছেন!আপনিতো দেখছি সব রান্নাই কমপ্লিট করে ফেলেছেন,এখন আবার টেবিলটাও গুছিয়ে ফেললেন!
আরহাম: সব আর করলাম কই?ডেজার্ট আর মেইনকোর্সতো সবই আপনিই প্রায় কমপ্লিট করে রেখে গিয়েছিলেন,আমি শুধু আপনার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করেছি মাত্র...
সোমা: সেটাই বা কম কিসের?
জাফির: এই তোরা কি শুধু বক বকই করবি নাকি খেতেও দিবি?আমার পেটে অলরেডি ইঁদুর দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করেছে...
সোমা: (জাফিরের কান ধরে)ওই বান্দর কই ছিলি এতক্ষণ?
জাফির: আহ্ সোমা,লাগছেতো...ছাড়না দোস্ত...
সোমা: লাগুক,লাগার জন্যেইতো ধরেছি।ওই কুত্তা তোকে না বলেছিলাম উনাকে পুরো জায়গাটা ঘুরে দেখাতে...কি দেখিয়েছিস?
জাফির: আমি কি করব তোর বান্ধবীর জন্যেইতো সব হল...
সোমা: ওহ্ এখন সব আমার বান্ধবীর দোষ তাইনা?দাঁড়া সব বলে দিব ওকে তারপর বুঝবি মজা...
জাফির: এই না একদম একাজ করিস না প্লিজ দোস্ত,নাহলে ঐ ডাইনীটা আমাকে খেয়েই ফেলবে...
সোমা: কিহ্ ডাইনী!!!
জাফির: সরি সরি আর বলব না প্রমিজ...
আরহাম: (হাসতে হাসতে)অনেক হয়েছে,আর বেচারিকে ভয় দেখায়েন না নাহলে হয়ত ভয়ে স্ট্রোক করে বসবে...
জাফির: এইতো আমার ভাইয়ার মত কথা,Love you bro...
আরহাম: Love you too bro...
সোমা: আপনাদের লাভ সাভ শেষ হলে এবার কি আমরা খেতে বসতে পারি?
আরহাম: ওহ্ হ্যাঁ।এক কাজ করুন শোয়েব সাহেবকে ডাকুন...
সোমা: (মনে মনে)ওকে ডাকলেইতো ঝামেলা হয়ে যাবে,সবার সামনে কি যে বলে বসবে কে জানে...
জাফির: কিরে ওমন মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থাকলি যে,ভাইয়াকে ডাকবি না?
সোমা: না মানে ও এখন খাবে না
আরহাম: কেন?দুপুরতো হয়েই গেছে তাহলে খাবে না কেন?
সোমা: না মানে আমি...আমি ঠিক জানিনা
আরহাম: আমি এই প্রথম আসলাম আপনাদের বাসায় আর কবে আসব ঠিক নেই তাই এভাবে উনাকে রেখে খাওয়া...আপনি একবার উনাকে বলেতো দেখুন।নাহলে আমিই যাচ্ছি উনার কাছে..
সোমা: (ব্যস্ত হয়ে)না না আপনাকে যেতে হবে না,আমি দেখছি ব্যাপারটা...
আরহাম: দ্যাটস বেটার...
সোমা: (মনে মনে)যাচ্ছিতো...না জানি আবার কি বলে!সবার সামনে আবার কোন সিনক্রিয়েট করবে কিনা কে জানে...

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ