লাভ গেমস্
লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu
পর্বঃ ২৩
শোয়েব: কি?কিছু বলবে?
সোমা: না মানে আমি আসলে...
শোয়েব: চল...
সোমা: কো..ক..কোথায়?
শোয়েব: সবাই খেতে বসেছে তাই আমাকেও যেতে হবে।এটাই বলতে এসেছিলে তাইতো?
সোমা: না মানে হ্যাঁ...
শোয়েব: লিসেন সোমা,আমি অতটাও খারাপ না যে বাইরের মানুষগুলোর সামনে সিনক্রিয়েট করব..
সোমা: হুম
শোয়েব: তাহলে চল...
সোমা: ওহ্ হ্যাঁ হ্যাঁ যাচ্ছি...
শোয়েব: যাচ্ছি বলে আবার দাঁড়িয়ে থাকলে কেন?বুঝেছি,আচ্ছা ওয়েট...
(সোমার হাত ধরে টানতে টানতে)
শোয়েব: কি হল চল...
(রাতে)
নিজের রুমে ঢুকতেই শোয়েব দেখল সোমা রুমে নেই,ওর সাথে সাথে ওর সব জিনিসও রুম থেকে গায়েব হয়ে গেছে।কিন্তু মেয়েটা গেল কোথায়?একটু খুঁজে দেখতেই পাশের রুমে পেয়ে গেল ওকে..
শোয়েব: সোমা...এখানে কি করছ?
সোমা: দেখতেইতো পারছ কি করছি,তাহলে জিজ্ঞেস করছ কেন?
শোয়েব: কথা বন্ধ কর আর নিজের সব জিনিস নিয়ে নিজের রুমে যাও...
সোমা: ওটাতো তোমার রুম আমিতো ওটা জোর করে দখল করেছিলাম
শোয়েব: শাট আপ সোমা,যেই রুমটা তুমি এত লড়াই করে দখল করেছিলে সেটা এত ইজিলি ছেড়ে দেবে!এত সহজ সরল মেয়েতো তুমি নও...
সোমা: তখন রুমটা পছন্দ হয়েছিল তাই দখল নিয়েছিলাম,এখন আর পছন্দ হচ্ছে না তাই ছেড়ে দিয়েছি।এখন যানতো আমার খুব ঘুম পাচ্ছে...
শোয়েব: হ্যাঁ হ্যাঁ তাতো হবেই,এখনতো আর আমার কিছুই তোমার পছন্দ হবে না।হবে কি করে তোমারতো এখন আরেকজন আছে,কি যেন নাম ছেলেটার?ও হ্যাঁ আরহাম রাইট?
সোমা: শোয়েব এইবার কিন্তু তুমি লিমিট ক্রস করছ...
শোয়েব: ওহো হো তুমি ঐ ছেলের সাথে নোংরামি করলে লিমিট ক্রস হয় না আর আমি বললেই লিমিট ক্রস হয়ে যায় তাইনা?
সোমা: লিসেন শোয়েব,আমি উনার সাথে কোন নোংরামি করিনি বুঝেছ?উনি আমার জীবন বাঁচিয়েছেন তাই ভদ্রতা আর কৃতজ্ঞতার খাতিরে উনার সাথে একটু হেসে কথা বলেছি।তারমানে এই নয় যে আমি উনার সাথে কোন রিলেশনশিপে জড়িয়ে পড়েছি বা উনার সাথে আমার কোন অনৈতিক সম্পর্ক আছে...
শোয়েব: বাহ্ ভালই তো অযুহাত পেয়েছে,মনে হচ্ছে উত্তরটা আগেই রেডি করে রেখেছিলে,তোমার মত লোয়ার মিডিলক্লাস মেয়েরা আসলে এমনই।আমার বাবার টাকার লোভে প্রথমে আমাকে ফাসালে এখন আমার থেকে বড়লোক একজনকে পেয়েছো তাই এখন আমাকে ছেড়ে তার পেছনে লেগেছো
সোমা: (রেগে গিয়ে)কি ভাব নিজেকে হ্যাঁ,ধোয়া তুলসি পাতা?এই ছেলে আমি তোমাকে ফাসিয়েছি নাকি তুমি আমাকে ফাসিয়েছো হুম?আমাকেতো তুমি বিয়ের অনেক আগে থেকেই চিনো কখনও দেখেছো বড়লোকের ছেলেদের পেছনে ঘুরতে?আসলে আমারই ভুল হয়েছে,তোমাকে লাই দিয়ে মাথায় তুলে ফেলেছি তাই আজ এসব শুনতে হচ্ছে...
শোয়েব: শোন সোমা বেশি বাড়াবাড়ি করলে কিন্তু বাড়ি থেকেই বের করে দিব
সোমা: কে কাকে বাড়ি থেকে বের করে আমিও দেখব।তুমি বোধহয় ভুলে যাচ্ছো বাবার অবর্তমানে সব সম্পত্তির মালিক এখন আমি তাই আমি চাইলেই এখন সবকিছু নিজের নামে করে নিতে পারি,তোমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বেরও করে দিতে পারি...
শোয়েব: ইউ...
সোমা: একদম চিৎকার করবে না বলে দিচ্ছি আর কান খুলে শুনে রাখো এ কয়দিন আমি অসুস্থ থাকায় যা ইচ্ছে করেছ কিন্তু কাল থেকে সবকিছুই আবার আমার ইচ্ছেমতই হবে আর কথা না শুনলে আমি কি করতে পারি তার সবইতো তোমার জানা আছে তাইনা?
শোয়েব: তোমাকেতো আমি...
সোমা: হ্যাঁ হ্যাঁ দেখে নিয়েন কিন্তু এখন আমাকে ঘুমাতে দিন প্লিজ...
(পরদিন)
পার্কের এক কোণার একটা বেঞ্চে বসে আছে আরহাম,একটু পরেই সোমা আসলো
সোমা: হ্যালো মি.আরহাম
আরহাম: হাই সিট...
সোমা: হুম তা বলুন আমাকে এখানে কেন ডেকে পাঠিয়েছেন?
আরহাম: আসলে আমার আপনাকে কিছু বলার ছিল...
সোমা: জ্বি বলুন
আরহাম: মিসেস সোমা,প্লিজ আমাকে ভুল বুঝবেন না বাট আই থিঙ্ক আই লাইক ইউ এন্ড আই এম ফলিং...
সোমা: ওয়েট...দেখুন আপনার কথা শোনার আগে আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই
আরহাম: হ্যাঁ বলুন
সোমা: দেখুন আরহাম,আপনি দুই দুইবার আমার জীবন বাঁচিয়েছেন সেজন্য আমি সত্যিই আপনার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ।তাই আমি চাইনা আপনি আমার ব্যাপারে কোন ভুল ধারণা পুষে রাখেন...
আরহাম: ভুল ধারণা?কিসের ভুল ধারণা?
সোমা: দেখুন আমাকে অন্য মেয়েগুলোর মত ভাববেন না প্লিজ..
আরহাম: আমি আপনাকে অন্যদের মত ভাবিও না
সোমা: দেখুন আমি আপনাকে যা বোঝাতে চাইছি তা মনে হয় আপনাকে বোঝাতে পারছি না।
আরহাম: তো বুঝিয়ে বলুন...
সোমা: দেখুন আমি ওসব মডার্ন মেয়েদের মত না,আমি খুব সাধারণ একটা মেয়ে।আর দশটা সাধারণ বাঙালী মেয়ের মত আমিও আমার স্বামী-সংসার নিয়েই সুখী থাকতে চাই।আমার লাইফে অন্য কারো জন্য কোন জায়গা নেই...
আরহাম: কোন স্বামী কোন সংসারের কথা বলছেন আপনি?যে স্বামী আপনাকে স্ত্রীর মর্যাদা পর্যন্ত দেয়নি,যে সংসারে আপনাকে সে একজন গেস্টের মত ট্রিট করে?
সোমা: দেখুন আপনি কিন্তু...
আরহাম: দেখুন সোমা,কোনকিছু লুকিয়ে লাভ নেই আপনার আর শোয়েবের মধ্যে ঠিক কি সম্পর্ক তা কিন্তু আমার অজানা নয়।আপনার লাইফে ঐ অমানুষটা থাকার চেয়ে না থাকায় ভাল
সোমা: শাট আপ,আমার স্বামীর ব্যাপারে এসব কথা বলার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে?খবরদার ওর ব্যাপারে আর একটাও বাজে কথা বলবেন না...
আরহাম: ইউ শাট আপ কি স্বামী স্বামী করছেন কখন থেকে?আচ্ছা আপনার কি সেল্ফ রেসপেক্ট বলে কিছুই নেই?ও বার বার আপনাকে ইনসাল্ট করছে,সবার সামনে ছোট করছে আর আপনি মুখ বুজে সব সহ্য করে যাচ্ছেন!লিসেন সোমা,I think I am in love with you.তাই বলছি শোয়েবকে ভুলে যান আর আমার সাথে চলুনন।আই প্রমিজ ডিভোর্সের ব্যাপারে সবকিছুর ব্যবস্হা আমিই করব,আপনাকে কোন চিন্তা করতে হবে না...
সোমা: চুপ করুন প্লিজ...আপনাকে আমি অন্যদের থেকে আলদা ভেবেছিলাম কিন্তু এখনতো দেখছি আপনিও আর সবার মত একই গোয়ালের গরু।আপনার সাথে দুদিন একটু ভালভাবে কথা বললাম,মিশলম আর আপনি কি না কি ভেবে বসে থাকলেন!
আরহাম: লিসেন সোমা আমি খারাপ কোন ইনটেনশন থেকে এসব বলিনি,আই রিয়েলি লাইক ইউ।আমিতো শুধু শোয়েবের হাত থেকে আপনাকে বাঁচাতে চাইছিলাম...
সোমা: (রেগে গিয়ে)এই যে মি.সেই কখন থেকে আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি আপনি বুঝতে পারছেন না?ভাল হোক খারাপ হোক শোয়েব আমার স্বামী আর আমি ওর সাথেই থাকতে চাই আর যদি ওর সাথেও থাকতে না পারি তাহলে আর কাউকেই আমার জীবনের সাথে জড়াতে দিব না...
আরহাম: Okey okey just cool down..ঠিক আছে আপনি আমাকে পছন্দ করেন নাতো,ঠিক আছে করতে হবে না।আগামী কালই আমি চলে যাচ্ছি এন্ড আই প্রমিস আমি আর কখনই আপনাকে জ্বালাতে আসব না,তবে হ্যাঁ যদি কখনও আপনার কোন দরকার হয় তাহলে নিঃসংকোচে আমাকে জানাতে পারেন।আমার কার্ডটা রাখুন প্লিজ...
সোমা:...
আরহাম: আরে বাবা রাখুননা,এজ এ ফ্রেণ্ড আমাকে আপনার যে কোন প্রয়োজনে পাশে পাবেন নট মোর দ্যান দ্যাট...
সোমাকে একরকম জোর করেই কার্ডটা ধরিয়ে দিয়েই আরহাম চলে গেল,সোমা কিছু্ক্ষণ সেদিকে তাকিয়ে থেকে উঠে দাঁড়ালো।আরহামের কার্ডটা আনমনেই পার্সে ঢুকিয়ে বাড়ির দিকে পা বাড়ালো...
.
রিকি: হ্যালো দোস্ত,কাল আসছিসতো?
শোয়েব: কোথায়?
রিকি: আরে বাবা,তুই ভুলে গেছিস কাল আমার বার্থডে না?
শোয়েব: না ভুলব কেন,আমিতো যাবই...
রিকি: শুধু তুই আসলেতো হবে না,আমাদের ভাবিকেও কিন্তু নিয়ে আসতে হবে...
শোয়েব: আরে না না,ও ওখানে গিয়ে কি করবে?আমি একাই যাব...
রিকি: কিন্তু...
সিজা: (ফিসফিস করে)কি রে কি বলল?আসবে না বলছে?
রিকি: হুম
রিশান: এই তুই সরতো আমি দেখছি।হ্যালো মি.লুজার...
শোয়েব: মুখ সামলে কথা বল বলছি রিশান
রিশান: কেন মুখ সামলাতে হবে কেন?লুজারকে লুজার বলব নাতো কি বলব?
শোয়েব: ইউ...
রিশান: কি রে শুনলাম কাল তোর বৌকে নাকি নিয়ে আসবি না?
শোয়েব: ঠিকই শুনেছিস,কেন তাতে তোর কোন সমস্যা?
রিশান: আমার আবার কি সমস্যা থাকবে সমস্যাতো তোর...
শোয়েব: মানে?
রিশান: সত্যি করে বলতো,তুই ওকে নিয়ে আসবি না নাকি ওই আসবে না?
শোয়েব: এটা আবার কি ধরণের প্রশ্ন?
রিশান: না মানে আজকালতো আবার তোর বউ তোর কোন কথাই শোনে না তাই ভাবছিলাম...
শোয়েব: শাট আপ রিশান
রিশান: আমাকে শাট আপ করালেই কি সত্যিটা মিথ্যে হয়ে যাবে?
শোয়েব: কোন সত্যি?
রিশান: আচ্ছা এখন ত্রর বৌ কোথায় আছে জানিস?
শোয়েব: কোথায় আবার অফিসে...
রিশান: (মুচকি হেসে)দাঁড়া তোকে একটা ছবি পাঠাচ্ছি,টাইমটা ভালোমত খেয়াল করিস কিন্তু...
শোয়েব: এই কিসের ছবি?
রিশান: নিজেই দেখে নে...
(শোয়েবের ফোনে একটা মেসেজ আসলো,ওপেন করতেই দেখল সোমা আর আরহাম পার্কের একটা বেঞ্চে বসে আছে আর ছবিটা কিছু্ক্ষণ আগেই তোলা হয়েছে।রিশানের নাম্বারে কল ব্যাক করল শোয়েব)
রিশান: কি রে কেমন হয়েছে ছবিটা?
শোয়েব: এ এটাতো...
রিশান: মাত্র পনেরো মিনিট আগের তোলা ছবি...
শোয়েব: হাু ডেয়ার ইউ টু ফলো মাই ওয়াইফ?
রিশান: এখন তুই যদি নিজের বৌয়ের খেয়াল না রাখতে পারিস তাহলেতো বাইরের মানুষই তার খেয়াল রাখবে তাইনা?
শোয়েব: রিশান...
রিশান: একদম চিৎকার করবি না,এখন বুঝতে পারছি তুই কেন ওকে নিয়ে আসবি না বলছিলি।আসলে ও নিজেই আসবে না তোর সাথে,তুই সামনের দরজা দিয়ে বের হতেই ও পেছন দরজা দিয়ে নিজের নতুন প্রেমিককে ঘরে ঢুকাবে তাই....
শোয়েব: (দাঁতে দাঁত চেপে)একদম বাজে কথা বলবি না
রিশান: ঠিক আছে বলব না,তাহলে ওকে কালকের পার্টিতে নিয়ে আয়...
শোয়েব: ঠিক আছে তাই হবে...
সোমা রুমে ঢুকতেই দেখল শোয়েব রকিং চেয়ারে বসে আছে
শোয়েব: কোথায় গিয়েছিলে?
সোমা: কোথায় আবার,অফিসে...
শোয়েব: সেটাতো আমিও জানি,আমি জানতে চাইছি অফিস ছাড়া কি অন্য কোথাও গিয়েছিলে?
সোমা: (মনে মনে)ওকে আরহামের কথা বলা যাবে না তাহলে আরও রেগে যাবে
শোয়েব: কি হল কথা বলছ না কেন?
সোমা: আমি এখন অনেক টায়ার্ড,এই ব্যাপারে পরে কথা বলব...
শোয়েব: (সোমাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে)এমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি,সেটার উত্তর না দিয়ে কোথাও যেতে পারবা না তুমি...
সোমা: আ...আমি একটু ফা..ফারিয়া আর জেরিনের সাথে...
(শোয়েব সোমাকে ছেড়ে দিল,সোমা ছুটে বেরিয়ে গেল)
শোয়েব: (মনে মনে)এত অনায়াসে মিথ্যে বলাও শিখে গেছো!How could you do this?
সোমা: (মনে মনে)আমি কোন মিথ্যে বলিনি,আমার সত্যিই ফারু আর জেরুর সাথে দেখা হয়েছিল কিন্তু আমি আরহামের কথা তোমাকে বলতে পারব না কারণ তাহলে তুমি আরো রেগে যাবে।এই কয়দিনে তোমার মাঝে অনেক পরিবর্তন দেখেছি আমি,মনে হচ্ছে তোমার ভেতরের অমানুষটা আস্তে আস্তে মরে যাচ্ছে তাই আরহামের কথা বলে তোমার ভেতরের ঐ অমানুষটাকে আর জাগিয়ে তুলতে চাই না...
(পরদিন সন্ধ্যায়)
শোয়েব: সোমা...সোমা...
সোমা: কি?
শোয়েব: এই প্যাকেটটা ধর...
সোমা: কি আছে ওটাতে?
শোয়েব: খুললেই দেখতে পাবে,আর কথা না বাড়িয়ে ঝটপট রেডি হয়ে আসোতো...
সোমা: রেডি হব!কিন্তু কেন?
শোয়েব: একটা জায়গায় যেতে হবে...
সোমা: আমাকে আগে বলবে না?
শোয়েব: কেন আগে বললে কি হত?এখতো বলছি তাই কথা না বাড়িয়ে রেডি হয়ে এসো...
সোমা আর কি করবে প্যাকেটটা হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে ঢুকল,একটু পরেই আবার বেরিয়ে আসলো...
শোয়েব: আবার কি হল?
সোমা: এটাতো একটা ওয়েস্টার্ন ড্রেস,তুমিতো জানো আমি এসব পরি না...
শোয়েব: পরনা বলেই তো নিয়ে আসলাম,যাও ঝটপট রেডি হয়ে নাও...
সোমা: কিন্তু...
শোয়েব: কোন কিন্তু না,যা বলছি তাই কর...আর শোন...
সোমা: কি?
শোয়েব: ড্রেসটা কিন্তু অতটাও ছোট না সো ডোন্ট ওয়ারি...
সোমা: হুম...
সোমা চেঞ্জ করে নিল,আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একবার নিজেকে দেখলো।ভালই লাগছে,শোয়েব ঠিকই বলেছে ড্রেসটা আসলেই অতটাও ছোট না।একটা পার্পল কালারের গাউন,তারসাথে ম্যাচিং স্কার্ফ আর স্যু।শুরুতে একটু অড লাগলেও এখন খুব একটা খারাপ লাগছে না।ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে হালকা একটু সাজগোজ করতে লাগল সোমা তখনই ওর ফোনটা বেজে উঠল...
সিজা: হ্যালো কে বলছেন?
(ওপাশ থেকে বেশ ভরাট একটা পুরুষ কণ্ঠ ভেসে আসলো)
-আমার পরিচয় আপনার না জানলেও চলবে আগে আমি যা বলছি মন দিয়ে শুনুন...
সোমা: দেখুন আগে আপনি নিজের পরিচয় দিন তারপর আপনার কথা শুনব...
-(একটু হেসে)এখন কি করছেন?পার্টির জন্যে রেডি হচ্ছেন তো?
সোমা: (চমকে উঠে)আ..আপনি কি করে...
-আমি সব জানি,এখন আমার কথাটা মন দিয়ে শুনুন নাহলে কিন্তু বিপদে পড়বেন...
সোমা: কি বিপদ?আর আপনি এতকিছু কিভাবে জানেন?
-বললাম না আমি সব জানি...এখন শুনুন যদি নিজের ভাল চান তাহলে আপনার হাজবেন্ডের থেকে সব সময় দূরে দূরে থাকবেন
সোমা: কেন?আমার হাজবেণ্ডের সাথে থাকলে আপনার কি প্রবলেম?
-আমার কোন প্রবলেম নেই,প্রবলেমটা আপনারই।এতে আপনার উপর আবারও এ্যাটাক হতে পারে...
সোমা: আবারো এ্যাটাক মানে?এর আগেও কি আমার উপর কোন এ্যাটাক হয়েছিল?কই আমিতো কিছু জানিনা...
-কেন ম্যাডাম সেদিন সিজার বার্থডে পার্টিতে যে আপনার উপর এ্যাটাক হল এর মধ্যেই ভুলে গেলেন!
সোমা: ওটাতো জাস্ট একটা এ্যাক্সিডেন্ট ছিল এর বেশি কিছু না...
-আপনি শিওর ওটা এ্যাক্সিডেন্ট ছিল?
সোমা: হ্যাঁ,আচ্ছা আপনি এত কথা বলছেন কেন বলুনতো আর আপনি কে?
-আপনার একজন শুভাকাঙ্খী
সোমা: দেখুন ফালতু বকার মত আমার হাতে সময় নেই,আপনি রাখুনতো...
-দেখুন ম্যাডাম সেদিন যে আপনি পানিতে পড়ে গেলেন সেটা কোন এ্যাক্সিডেন্ট ছিল না,ওটা ছিল একটা প্রি-প্ল্যান্ড মার্ডার এটেম্পট
সোমা: হোয়াট!কি যা-তা বলছেন আপনি!
-আমি যা-তা বলছি না,আর আপনাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলার প্ল্যানটা কার ছিল জানেন?আপনার স্বামীর...
সোমা: জাস্ট শাট আপ আর একটাও বাজে কথা বলবেন না...
-আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে নাতো?আচ্ছা ঠিক আছে আজকেও আপনি একটা পার্টিতে যাচ্ছেন না?ঠিক আছে যান,আজকেও ওখানে আপনার উপর একটা এ্যাটাক হবে।যদি এমন কিছু হয় তাহলে আপনি এই নাম্বারে ফোন দিবেন ওকে?
সোমা: লিসেন মিস্টার,এমন কিছুই হবে না আর হলেও আমি কখনই আপনাকে ফোন দিব না...
-ওকে লেটস সি...এন্ড অল দ্য বেস্ট...
0 মন্তব্যসমূহ