লাভ গেমস্
লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu
পর্বঃ ২৯
শোয়েব: কই তোমার হল...একটু তাড়াতাড়ি কর নাহলে ফ্লাইট মিস হয়ে যাবে তো...
সোমা: এইতো প্রায় হয়েই গেছে,আর একটু...
শোয়েব: কখন থেকেই তো আর একটু আর একটু করছো,তা সেই আরেকটু আর কতটুকু জানতে পারি?
(তখনই সোমা দরজা খুলে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো)
সোমা: উফ!তোমার জ্বালায় একটু ভালোমত শাড়িটাও পরতে পারলাম না,সবসময় শুধু তাড়াহুড়ো।এত তাড়াহুড়ো করে কি হবে শুনি...
এদিকে সোমাকে দেখেতো শোয়েব হা হয়ে গেছে,সোমা একটা আকাশী কালারের শাড়ি তার সাথে ম্যাচিং কানের দুল আর চুড়ি পরেছে।মুখে প্রশাধনীর কোন ছাপই নেই,শুধু ঠোঁটে হালকা গোলাপি রঙের লিপস্টিক,চোখে গাঢ় কাজল আর কপালে দুই ভ্রুর ঠিক মাঝে ছোট্ট একটা আকাশী রঙের টিপ।ঠিক যেন স্বর্গের কোন অপ্সরী এসে দাঁড়িয়েছে শোয়েবের সামনে,ওর মাথাটা কেমন যেন ঝিম ঝিম করছর,সোমার সৌন্দর্য ওকে চুম্বের মত আকর্ষণ করছে কিন্তু এই মুহুর্তে আর নতুন করে কোন কিছু করা যাবে না তাহলে সব প্ল্যান ভেস্তে যাবে...
সোমা: কি হল ওমন ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছো কেন?
সোমার কথায় শোয়েবের সম্বিৎ ফিরল তাই জোর করে হলেও চোখটা সরিয়ে নিল।
শোয়েব: না কিছু না,তুমি রেডি?
সোমা: হুম রেডি
শোয়েব: তোমরা মেয়েরা না...একবার সুযোগ পেলেই হল সাজতে বসলে আর সময় জ্ঞান থাকে না...
সোমা: একদম বাজে কথা বলবে না বলে দিচ্ছি
শোয়েব: কি বাজে কথা বললাম আমি?
সোমা: বাজে কথাইতো,আমি কক্ষণও অত সাজুগুজু করিনা...
শোয়েব: হুম তাতো নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি...
সোমা: ঠিক আছে আমি এক্ষুণি সব তুলে ফেলছি...
(এই বলে সোমা কপালের টিপটা খুলে ফেলতে গেল কিন্তু শেয়েব ওর হাত ধরে ফেলল)
সোমা: (বিরক্তি নিয়ে)আবার কি?
শোয়েব: খুলতে হবে না,আমিতো এমনিতেই মজা করছিলাম...
সোমা: সব সময় শুধু ফাইজলামি তাইনা?
শোয়েব: (কান ধরে)সরি জান আর এমন করব না,আমি জানিতো আমার বউ সাজুগুজু করে না।She is a natural beauty and I know that really well...
সোমা: হয়েছে হয়েছে,আর পাম দিতে হবে না।এবারতো চলো...
শোয়েব: ওহ্ হ্যাঁ চলো...
(তখনই)
আরহাম: আপনারা কি এখনই বের হচ্ছেন?
শোয়েব: হ্যাঁ নাহলেতো ফ্লাইট মিস হয়ে যাবে
আরহাম: আচ্ছা ঠিক আছে,আপনারা জাস্ট পাঁচ মিনিট ওয়েট করেন আমি এক্ষুণি আসছি...
শোয়েব: আপনাকে আর কষ্ট করতে হবেনা মি.আরহাম,আমরা একাই চলে যাব
আরহাম: কিন্তু স্যার...
শোয়েব: কোন কিন্তু নয়,আপনার অফিসের চাইম হয়ে যাচ্ছেতো...মনে আছেতো এই অফিসের সব দায়-দ্বায়িত্ব কিন্তু এখন থেকে আপনার ঘাড়ে...
শোয়েব: ঠিক আছে স্যার,তবে আমার ড্রাইভার আপনাদের নামিয়ে আসবে।এই ব্যাপারে অন্তত না করবেন না প্লিজ...
শোয়েব: ওকে তাই হবে...
সোমা: বাই আরহাম...
আরহাম: বাই মিসেস সোমা।অনেক অনেক ভালো থাকবেন আর স্যার আমার বন্ধুটির দিকে খেয়াল রাখবেন প্লিজ...
শোয়েব: অবশ্যই...
.
শোয়েব আর সোমা পাতায়া ইন্টারন্যাশনার এয়ারপোর্টে ল্যাণ্ড করেছে বেশ কিছু্ক্ষণ হয়ে গেল।ওরা এখন একটা প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছে,ঠিক কোথায় যাচ্ছে সোমা কিছুই জানেনা।ওরা এয়ারপোর্ট থেকে বের হতেই একজন এসে ওদেরকে পিক করে নিয়েছে তারমানে শোয়েব এসব আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে কিন্তু ও তো সারাক্ষণ ওর সাথেই ছিল তাহলে এতসব কখন করল?গাড়িটা একটা বিলাসবহুল হোটেলের সামনে গিয়ে থামল,হোটেলটা একদম পাতায়া সি-বীচের সামনে।শোয়েব সোজা রিসিপশনে চলে গেল...
রিসিপশনিস্ট: মে আই হেল্প ইউ স্যার
শোয়েব: মি. এন্ড মিসেস শোয়েব আহমেদ...
রিসিপশনিস্ট: ওয়েট এ মিনিট প্লিজ..
রুম নং ৫০২(চাবি ধরিয়ে দিতে দিতে)
হোটেলের একজন স্টাফ ওদের লাগেজ নিয়ে এগিয়ে গেল,শোয়েব আর সোমা তার পিছু পিছু যেতে লাগল তখনই...
রিসিপশনিস্ট: এনজয় ইয়োর হানিমুন স্যার এন্ড ম্যাম(মুচকি হেসে)
(মেয়েটার কথা শুনে সোমা অবাক হয়ে শোয়েবের দিকে তাকাল,শোয়েবকে দুষ্টুমির হাসি হাসতে দেখে সোমা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল)
.
(রুম নং ৫০২)
লেখাটা দেখেই ওরা থমকে দাঁড়ালো,ডোরলক খুলে ভেতরে ঢুকল।ভেতরে ঢুকতেই সোমার চোখ ধাঁধিয়ে গেল,এটাতো রুম নয় যেন একটা রাজপ্রাসাদ।এত্ত বড় রুম সোমা কখনই দেখেনি,লাক্সারিয়াস সব কিছুই আছে এই রুমে,এমন কিছু জিনিস আছে যা সোমা এর আগে কখনই দেখেনি।শোয়েব এসবে অভ্যস্ত,বিজনেস পারপাসে ওকে প্রায়ই এই ধরণের রুমে নাইট স্পেণ্ড করতে হয়,সোমার অবাক ভাব দেখে শোয়েব ওর দিকে এগিয়ে গেল...
শোয়েব: এগুলোকে স্যুইট বলে
সোমা: (চমকে উঠে)কিক..কিছু বললে?
শোয়েব: না কিছু না...
হোটেলের স্টাফকে বিদায় করে দিয়ে দরজা ভেতর থেকে লক করে দিয়ে সোমার দিকে এগিয়ে গেল,সোমা তখন রুমের সাথের লাগোয়া বারান্দা দিয়ে অবাক হয়ে সি-বীচের দিকে তাকিয়ে আছে।এখান থেকে সি-বীচটার একদম ক্লিয়ার ভিউ পাওয়া যায়,সোমা সমুদ্রের সৌন্দর্যে এতটাআ ডুবে গিয়েছিল যে শোয়েব যে ওর পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে বুঝতেই পারেনি।শোয়েব পেছন থেকে দুহাতে ওর কোমড় পেঁচিয়ে ধরল আর আলতো করে সোমার কাঁধে মুখ রেখে নাক দিয়ে ওর ঘাড়ে আর গলায় সুড়সুড়ি দিতে লাগল।সোমা চমকে উঠে পেছন ফিরে তাকালো,তারপর শোয়েবকে দেখে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল...
সোমা: ওহ তুমি...আমিতো ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম...
শোয়েব: কেন ভয় কেন পাবে?আমি ছাড়া আর কে হবে?আর কারো কি তোমাকে এভাবে ছোঁয়ার কোন অধিকার আছে?
সোমা: না তা নেই কিন্তু...
শোয়েব: কোন কিন্তু নয়,কেউ তোমাকে হাত লাগিয়েতো দেখুক আমি তার হাত একেবারে গুড়ো গুড়ো করে ফেলব না!!!
(সোমা অবাক হয়ে শোয়েবের দিকে তাকালো)
শোয়েব: এই এখন চুপ করতো,আমাকে রোমান্স করতে দাও...
এই বলে শোয়েব সোমার চুলের রাজ্যে নাক ডুবালো তারপর আস্তে আস্তে সোমার মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে ওর ঠোঁটের দখল নিতে চাইলে সোমা ওকে বাঁধা দিল...
সোমা: কি করছ কি!এখানে এভাবে এসবকিছু...
শোয়েব: (রেগে গিয়ে)কেন এখানে সমস্যা কি?
সোমা: না মানে সবাই দেখতে পাচ্ছেতো...
(সোমার কথা শুনে শোয়েব রাগ ভুলে হা হা করে হাসতে লাগল আর তা দেখে সোমা ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকালো)
সোমা: এই অমন পাগলের মত হাসছো কেন?
শোয়েব: পাগল আমি না তুমি হয়ে গেছো
সোমা: মানে?
শোয়েব: আচ্ছা তোমার কি ওদেরকে দেখে মনে হচ্ছে যে ওরা কেউ আমাদের ম্যাটারে ইন্টারেস্টেড?মাই ডিয়ার লাভলি ওয়াইফ,দিস ইজ থাইল্যান্ড নট বাংলাদেশ বুঝেছেন?এখানকার মানুষ কারো ব্যাপারে নাক গলায় না আর মোস্ট ইম্পর্টেন্টলি এরা ওপেন সেক্স এ বিশ্বাসী সো...
সোমা: ছি!তোমার মুখে দেখি কিছুই আটকায় না...
শোয়েব: কেন?আটকাবে কেন?আমি অন্যকারো সাথে এসব কথা বলছি নাকি আমি আমার নিজের বউ এর সাথে আলাপ করছি আর আমাদের মধ্যে সেক্সুয়ালি এ্যাটাচড হওয়াটা এখন বৈধ সো এসব বলতেই পারি...আর তাছাড়া আমরা হানিমুনে এসেছি সো এটাই আমাদের জন্য নরমাল ব্যাপার তাইনা?
সোমা: (চমকে উঠে)হা..হানি..মুন!!মা..মানে?
শোয়েব: মানে...মধুচন্দ্রিমা...(দুষ্টুমির হাসি দিতে দিতে)
সোমা: এ..এটাই কি তো..মার সারপ্রাইজ?
শোয়েব: ইয়েস ম্যাম তবে এটা ফার্স্ট সারপ্রাইজ।আপনার জন্য আরো অনেকগুলো সারপ্রাইজ ওয়েট করছে।এখন চুপ করতো আমি এখন রোমান্টিক মুডে আছি সো...
শোয়েব আস্তে আস্তে সোমার দিকে এগোতে লাগল কিন্তু সোমা এবার লজ্জা পেয়ে রুমের দিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো কিন্তু তার আগেই শোয়েব ওকে ধরে ফেলল...
শোয়েব: কি আশ্চর্য!তুমি আমার কাছে এভাবে লজ্জা পাচ্ছো কেন?আমিতো তোমার বর নাকি?
সোমা: প্লিজ ছেড়ে দাও,আমি এখন ফ্রেশ হব...
শোয়েব: ঠিকই বলেছো,জার্নি করে এসেছা তাই ফ্রেশতো হতেই হবে।চলো দুজনে একসাথেই ফ্রেশ হব,শুধু ফ্রেশ কেন হব একেবারে শাওয়ারই নিয়ে ফেলি কি বল...?
সোমা: (ভয় পেয়ে)এই না না,আমি এখন ফ্রেশ হব না।তোমার ইচ্ছে হলে হও আমি অনেক টায়ার্ড,একটু ঘুমাবো শাওয়ার পরে নিলেও চলবে...
শোয়েব: (মুচকি হেসে)তা বললেতো হবে না,আমি যখন বলেছি তখন একসাথেই শাওয়ার নিব
সোমা: আমি বললামতো এখন ঘুমাবো...
শোয়েব: যাবে নাতো?
সোমা: নাহ্
শোয়েব: আচ্ছা ঠিক আছে...
শোয়েব এগিয়ে গিয়ে সোমাকে কোলে তুলে নিল,সোমা হাত-পা ছুড়ছে ছাড়া পাওয়ার জন্য কিন্তু শোয়েব ওসবের কোন তোয়াক্কা না করে সোজা ওকে নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে ঢুকল।সোমা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওকে নিয়ে বাথট্যাবে নেমে পড়ল।
সোমার পরনে ছিল একটা সিল্কের পাতলা শাড়ি,পানিতে ভিজে যাওয়ায় সেটা আর শরীর থেকে আলাদা করা যাচ্ছে না।শাড়ি ভেদ করে ওর পুরো শরীরটাই স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে,সোমা নিজের দুহাত তুলে নিজেকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করতে লাগল ওর এতটাই লজ্জা লাগছে যে মুখ তুলে তাকাতে পারছে না,চুপচাপ মাথা নিচু করে যতটা সম্ভব পানিতে ডুবে থাকার চেষ্টা করতে লাগল।এদিকে শোয়েবতো এসবের কিছুই খেয়াল করেনি,ও একটা হ্যাঁচকা টানে সোমাকে নিজের বুকের উপর টেনে নিল।সোমা নিজেকে ছাড়ানোর জন্য শোয়েবের হাত ছাড়িয়ে উঠতে যাবে তখনই ওর নজর পড়ল সোমার উন্মুক্ত পেট আর পাতলা শাড়ির আড়ালে লুকিয়ে থাকা ওর উন্মুক্ত বক্ষবন্ধনী।শোয়েব যেন পাগল হয়ে গেল,সোমাকে আবারও টান দিয়ে নিজের কাছে নামিয়ে নিল তারপর আচমকাই ওর পেটে স্লাইচ করে ওর নাভিতে নিজের ঠোঁটের পরশ বুলিয়ে দিল....
সোমা একবার কেঁপে উঠে শোয়েবের চুল টেনে ধরল তারপরই নিজেকে সামলে নিয়ে উঠে বসতে গেল কিন্তু শোয়েব ওকে উঠতে দিল না।ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিজের আরো কাছে নিয়ে আসলো,ওর ভেজা চুলের গন্ধ নিতে নিতে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল...
শোয়েব: তুমি কি আমাকে পাগল করে দেবে?
সোমা: শোয়েব প্লিজ পাগলামি কর না,প্লিজ ছেড়ে দাও আমাকে...
শোয়েব: কেন সোনা,আমার ছোঁয়া কি তোমার কাছে খারাপ লাগছে?
সোমা:....
শোয়েব: কি হল বল...খারাপ লাগলে বল আমি ছেড়ে দিব...
সোমা: না ঠিক তা না কিন্তু...
শোয়েব: কিন্তু কি?
সোমা: আসলে I am still not ready...
শোয়েব: হোয়াট!কিন্তু কেন?
সোমা: আমি ঠিক জানিনা But i need some time please try to understand me...
শোয়েব: বাট আই এ্যাম রেডি এন্ড আই ওয়ান্ট ইউ রাইট নাউ...
শোয়েব আর সোমার কোন কথা না শুনে নিজের কাজ করতে লাগল।ওর নরম ঠোঁটের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলল,সোমা প্রথমে বাঁধা দিলেও আস্তে আস্তে হাল ছেড়ে দিল।
শোয়েব বাথট্যাব থেকে নেমে সোমাকে কোলে করেই সোজা বিছানায় নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিল।নিজের ভেজা শার্ট খুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে সোমার দিকে এগিয়ে গেল,ওর শাড়িটা আস্তে আস্তে খুলে ফেলে একপাশে ছুড়ে ফেলে দিল তারপর ওর পেটে আর নাভিতে কিস করতে করতে উপরের দিকে উঠতে লাগলো।হঠাৎ সোমার মুখের দিকে চোখ পড়তেই শোয়েব থমকে দাঁড়ালো,মেয়েটা চোখ-মুখ শক্ত করে একপাশে ঘুরে আছে।ওকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে শোয়েবের আবদারের কাছে কমপ্রোমাইজ করতে চাইছে।শোয়েব হুট করেই ওকে ছেড়ে দিয়ে উঠে বসল তারপর বিছানা থেকে নেমে লাগেজ খুলে সোমার জন্য একটা ড্রেস বের করে ওর দিকে এগিয়ে গেল।
শোয়েব: এটা ধর,ভেজা কাপড়ে বেশিক্ষণ থাকতে হবে না।তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করে নাও নাহলে ঠাণ্ডা লেগে যাবে...
এই বলে সোমার হাতে ড্রেসটা ধরিয়ে দিয়ে নিজের একটা টি-শার্ট আর প্যান্ট হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো...
হঠাৎ শোয়েবের এমন ব্যবহারে সোমা এতটাই অবাক হয়েছে যে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।ড্রেসটা হাতে নিয়ে ওভাবেই বসে রইল,শোয়েব চেঞ্জ করে বেরিয়ে ওকে ওভাবে দেখে বলে উঠল...
শোয়েব: কি হল এখনও বসে আছো যে?বললাম না চেঞ্জ করে নিতে...
(শোয়েবের কথা শুনে সোমা ড্রেসটা হাতে নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে এগোতে লাগলো)
শোয়েব: আমি একটু সি-বীচের দিকে যাচ্ছি,তোমার যদি যেতে ইচ্ছে করে তাহলে আমাকে ফোন দেবে।একা একা বের হওয়ার দরকার নেই বুঝেছো?
শোয়েব বেরিয়ে গেল,সোমা চেঞ্জ করে এসে বারান্দায় রাখা রকিং চেয়ারটায় গিয়ে বসল।এখন আর সি-বীচে যেতে ইচ্ছে করছে না,মনের মধ্যে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে ওর।মনে মনে অনেকগুলো হিসেব মেলানোর চেষ্টা করছে...
"আচ্ছা আমিতো শোয়েবকে আগে থেকেই অনেক ভালোবাসতাম,এখনও বাসি তাহলে ও আমাকে একান্ত ভাবে কাছে পেতে চাইল কিন্তু আমি পারলাম না কেন?কেন ওকে ওভাবে বাঁধা দিলাম?তবে কি ওর প্রতি এখনও আমি পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারিনি?কিন্তু তা কেন হবে?ও এখন সত্যিই অনেক বদলে গেছে,আমাকে সত্যিই অনেক ভালোবাসে তা নাহলে এমন সুযোগ পেয়েও আমাকে ছেড়ে...
আচ্ছা এমন করায় ও কি আমার উপর রাগ করেছে?হয়ত করেছে,কিন্তু আমি কি করব আমি যে মন থেকে এখনও সবকিছুর জন্য প্রিপেয়ার্ড না..."
এদিকে শোয়েব অনেক্ষণ ধরেই সি-বীচে বসে আছে।ও ভেবেছিল সোমা একটু পরেই এখানে আসতে চাইবে কিন্তু এতটা সময় হয়ে গেল তবুও আসছে না কেন?আচ্ছা ও আমার সাথে ইন্টিমেট হতে পারছে না কেন?তবে কি ও এখন আর আমাকে ভালোবাসে না?কি যা-তা ভাবছি আমি তো জানি ও আমাকে অনেক ভালোবাসে,হয়তো আমার পূর্বের খারাপ কাজগুলোর জন্য এখনও আমাকে ক্ষমা করতে পারেনি তাই এমন করছে।ঠিক আছে ও যতটা চায় সময় নিক,ও যেদিন মন থেকে আমার কাছে আসতে চাইবে সেদিনই আমি ওকে একান্ত আপন করে নিব।আমি ওকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি,আমার কাছে ওর ভালেবাসাটাই এখন জরুরী ওর শরীরটা না...আচ্ছা এখন এক কাজ করি রুমে ফিরে যাই,মেয়েটা একা একা আছে,সন্ধ্যা হয়ে এসেছে আর ওকে একা রাখা ঠিক হবে না..."
শোয়েব রুমে ঢুকতেই চমকে উঠল,ওদের বিছানায় ফুটফুটে একটা মেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে,মেয়েটা আর কেউ নয় সোমা।বাইরের আকাশে চাঁদটা সবে উদয় হয়েছে,জানাল দিয়ে আসা চাঁদের হালকা আলোয় সোমার সৌন্দর্য্য যেন আরো কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।শোয়েব গুটি গুটি পায়ে ওর দিকে এগিয়ে গেল,আলতো করে নিজের ঠোঁট সোমার কপালে ছুঁইয়ে দিয়েই বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো।আকাশে হাস্যজ্জ্বল ঐ চাঁদটার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল...
শোয়েব: আকাশের বুকে যেমন তুমি একমাত্র চাঁদ তেমনি আমার বুকের একমাত্র চাঁদ হল আমার স্ত্রী সোমা।তোমার ঐ সুন্দর গায়েও কিন্তু কলঙ্ক আছে কিন্তু আমার এই চাঁদের গায়ে কোন কলঙ্ক লাগতে আমি দিব না,আমার গায়ে একবিন্দু রক্ত থাকতে ওর কোন ক্ষতি আমি হতে দিব না।এই তারাভরা রাতে আকাশের ঐ চন্দ্র-তারাকে সাক্ষী রেখে আমি এই আজ এই মুহুর্তে এই প্রতিজ্ঞা করছি....
0 মন্তব্যসমূহ