লাভ গেমস্
লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu
পর্বঃ ১৪
শোয়েব গুঁটি গুঁটি পায়ে রান্নাঘরে গিয়ে ঢুকল
শোয়েব: (গলা খাঁকারী দিয়ে)আচ্ছা,এখানে কি কেউ কাঁদছে?মনে হচ্ছে কারো কান্নার আওয়াজ পাচ্ছি...😏
সোমা: (চোখ মুছতে মুছতে)ক..কই,আ..আমিতো কিছু শুনতে পাচ্ছি না...
শোয়েব: তাই নাকি?তা...মিসেস শোয়েব আপনার চোখদুটো অমন ভেজা ভাজে লাগছে কেন,চোখ কি কিছু পড়েছে নাকি?😝
সোমা: কিছু পড়বে কেন,আ..আসলে আমি এই পেঁয়াজ কাটছিলাম তাই...
শোয়েব: (মনে মনে)তুমি যাই বল না কেন আমি ঠিক ই বুঝছি তুমি কাঁদছিলে,একবার শুধু কারণটা খুঁজে বের করতে দাও তারপর আই স্যয়ার এই কান্নাকে যদি দ্বিগুণ করে তোমার চোখ থেকে ঝরাতে না পারি তাহলে আমার নামও শোয়েব না...
সোমা: কিছু বললে?
শোয়েব: (চমকে উঠে)কই নাতো...
সোমা: ওহ্ তা...এখানে এসেছো কেন?কিছু লাগবে?
শোয়েব: না মানে ওই আর কি বাটার...
সোমা: ওহ্ তুমি যাও আমি নিয়ে আসছি
(শোয়েব চলে গেল)
সোমা: (মনে মনে)যাও যাও খুব বাটার খাওয়ার শখ তাইনা?দাঁড়াও খাওয়াচ্ছি তোমাকে...
(কয়েকদিন পর)
এই কয়দিনেই সোমা ওর শ্বশুরের মনটা একেবারেই জয় করে নিয়েছে বলা যায়,তার এই কুলাঙ্গার ছেলেটার কপালে যে এত ভাল একটা মেয়ে ছিল তার যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না।পুনো সংসারের সব দায়-দ্বায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে,এতগুলো কাজের লোক থাকার পরও রান্না-বান্না থেকে শুরু করে সবকিছুই নিজের হাতেই করে মেয়েটা।এক কথায় সোমার নামে একেবারে পাগল হয়ে গেছেন ভদ্রলোক।
(এখন রাত ১০টা)
শোয়েব আর শোয়েবের বাবা ডিনার করতে বসেছে,সোমা ওদেরকে খেতে দিয়ে নিজেও বসে পড়ল।এ বাড়িতে এতদিন ছেলেদের খাওয়া হলে তারপর মেয়েরা খেত কিন্তু শোয়েবের বাবার জোরাজুরিতে সোমাকেও ওদের সাথেই বসতে হয়।মাত্র কিছু্ক্ষণ হল ওরা খেতে বসেছে,এরই মধ্যে ঘটল অঘটন...
কয়েকবার খাবার মুখে দিতেই শোয়েবের হাত থেকে কাটা চামচটা পড়ে গেল আর ও বুকে হাত দিয়ে ছটফট করতে লাগল।বাবা আর সোমা খাবার ফেলে ওর দিকে ছুটে গেল
বাবা: কি হয়েছে বাবা?তুই এমন করছিস কেন?বৌমা ও বৌমা ডক্টর এহসানকে ফোন কর তাড়াতাড়ি...
সোমা: আচ্ছা বাবা এক্ষুণি করছি...
(ঘণ্টা খানেক পর)
শোয়েবদের ফ্যামিলি ডক্টর আর শোয়েবের বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডা.এহসান বসে আছেন শোয়েবের রুমে,শোয়েবকে ঘুমের ইনজেকশন দেয়া হয়েছে তাই ঘুমাচ্ছে আর ডা.এহসান ওকে এক্সামাইন করছেন।বেশ কিছু্ক্ষণ পর তিনি গম্ভীর স্বরে সোমার দিকে তাকিয়ে বললেন...
ডক্টর: আমার কথাগুলো সবাই একটু মনযোগ দিয়ে শোন...
সোমা: জ্বি ডক্টর আঙ্কেল আপনি বলুন,আমরা শুনছি
ডক্টর: আসলে শোয়েবের প্রেশার খুব হাই আর মনে হচ্ছে হার্টের আর্টারী গুলোও মেদ জমে অলমোস্ট ব্লক হয়ে গেছে...
বাবা: কি!!!
ডক্টর: দেখ এটা আমার সন্দেহমাত্র,কাল সকালে শোয়েবের একটা টেস্ট করব তারপর এক্স্যাক্ট কন্ডিশনটা বোঝা যাবে তবে আমার কিন্তু মনে হচ্ছে অবস্থা বেশ জটিল।
বাবা: তাহলে আমরা এখন কি করব?
ডক্টর: তুই কোন চিন্তা করিস না,আমিতো আছি নাকি?কাল সকালে টেস্টগুলো করি তারপর একটা ব্যবস্থা করা যাবে
বাবা: তুই বলছিস তেমন কোন ভয় নেই?
ডক্টর: হ্যাঁ বলছি।আর এই যে বৌমা,ছেলেটার দিকে একটু খেয়াল রেখো কেমন?
সোমা: জ্বি আঙ্কেল...
(পরদিন সকালে)
ডক্টর এহসান গম্ভীর মুখে সোমা আর ওর শ্বশুরের দিকে তাকিয়ে আছে,তার হাতে সদ্য পাওয়া শোয়েবের কিছু টেস্টের রিপোর্ট...
বাবা: কি রে,তুই এমন গম্ভীর হয়ে গেলি কেন?কোন কি খারাপ খবর আছে?
ডক্টর: হুম খবরটা আসলেই বেশ খারাপ,আমি কালকে যেই সন্দেহ করেছিলাম সবই সত্যি মনে হচ্ছে তার উপর গ্লুকোজ লেভেলটাও দেখছি অনেক হাই...
বাবা: বলিস কি!এখন তাহলে কি হবে?
ডক্টর: কি আর হবে ট্রিটমেন্ট করতে হবে আর তারসাথে নিয়ম-কানুনগুলো খুব স্ট্রিক্টলি ফলো করতে হবে...
বাবা: তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে বলছিস?
ডক্টর: হ্যাঁ আর বৌমা...
সোমা: জ্বি আঙ্কেল
ডক্টর: ওর জন্য একটা ডায়েট চার্ট আমি তোমাকে দিয়ে দিচ্ছি,তুমি কিন্তু সবকিছু ম্যানেজ করে নেবে
সোমা: জ্বি আঙ্কেল
ডক্টর: আর শোন শোয়েবকে বলে দেবে,নো স্মোকিং নো ড্রিংকিং ওর জন্য এসব এখন খুবই রিস্কি
সোমা: আপনি কোন চিন্তা করবেন না আঙ্কেল,আমি সব বেশ ভালোভাবেই ম্যানেজ করে নেব...
(পরদিন)
সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেতে বসেছে,টেবিলে হরেক রকমের খাবার রান্না করা থাকলেও শোয়েবের জন্য আলাদাভাবে কিছু খাবার রান্না করা হয়েছে।শোয়েব নাক-মুখ কুঁচকে সেদিকে তাকিয়ে আছে
শোয়েব: এসবের মানে কি বাবা?টেবিলে এত এত খাবার আর তোমরা আমাবে এই কলা আর পেঁপের ভর্তা,কঁচুশাক ঘাঁটি,মসুর ডাল বরবটি ভাজি এসব ছাই পাশ কেন খেতে দিচ্ছো?
বাবা: ডক্টর তোকে হেভিফুড খেতে নিষেধ করেছে তাই
শোয়েব: কেন,কি হয়েছে আমার?বাবা বিশ্বাস কর আমার কিছুই হয়নি,সব এই মেয়েটার সাজানো নাটক...
বাবা: শাট আপ শোয়েব,ওকে মেয়ে মেয়ে করছ কেন?ও তোমার স্ত্রী,ওকে সম্মান দিয়ে কথা বলবে বুঝেছো...
শোয়েব: কিন্তু বাবা...
বাবা: কোন কথা না,চুপচাপ খেয়ে নাও।আমি আর কোন নাটক দেখতে চাই না...
(শোয়েব নাক-মুখ কুঁচকে একবার খাবার মুখে দিতেই মুখ বিকৃত করে ফেলল)
শোয়েব: ছি!এসব কেউ খায়?এই মেয়ে এসব কি রান্না!কোন জন্মের শোধ তুলছ তুমি আমার সাথে?
সোমা: কিন্তু আমিতো সবকিছু ঠিকঠাকই রান্না করেছি
শোয়েব: ঠিকঠাক মাই ফুট,এই খাবার মানুষ খায়?তোমার শখ হলে তুমি খাও আমি পারব না
বাবা: ও কেন খাবে?এসব তোমাকেই খেতে হবে,ডক্টর তোমাকে তেল মসলা ছাড়া খাবার খেতে বলোছে তাই বৌমা অল্পে তেল মসলা দিয়ে রান্না করেছে
(শোয়েব রেগে মেগে রুমে চলে গেল,কিন্তু কিছু্ক্ষণ পরেই আবার সোমার নাম ধরে চিৎকার করতে লাগল।সোমা ছুটতে ছুটতে রুমে গিয়ে ঢুকল)
সোমা: কি হয়েছে?এমন ষাড়ের মত চেঁচাচ্ছো কেন?
শোয়েব: আমার হুইস্কি আর বিয়ারের বোতলগুলো কে সরিয়েছে?😡
সোমা: আমি সরিয়েছি
শোয়েব: কে বলেছে তোমাকে এসব করতে?এই মেয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছো কেন যাও আবার সবকিছু আগের জায়গায় নিয়ে আসো...
বাবা: দাঁড়াও বৌমা,তুমি কোত্থাও যাবে না
শোয়েব: বাবা তুমি...
বাবা: ওগুলো আমি সরাতে বলেছি,ডক্টর তোকে ওসব ছুঁয়ে দেখতেও নিষেধ করেছে...
শোয়েব: কিন্তু বাবা,আমিতো বলছি আমার কিছু হয়নি।সব এই যে,এই মেয়েটার সাজানো নাটক
বাবা: স্টপ ইট শোয়েব,কোমার এহসান আঙ্কেল নিজ হাতে তোমার সব টেস্ট করেছেন। সো স্টপ টকিং ননসেন্স
(শোয়েব রেগে মেগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল,ফিরল ঘণ্টাখানেক পর।এসেই সোজা বারান্দায় চলে গেল,পকেট থেকে একটা বেনসন সিগারেট বের করে মুখে দিল।লাইটার জ্বেলে ধরাতে যাবে তখনই কেউ ওর মুখ থেকে সিগারেটটা কেড়ে নিল।সোমা রেগে মেগে সেদিকে তাকাতেই চমকে উঠল,সোমা সিগারেটটা হাতে ধরে ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে।ওকে হাসতে দেখেইতো শোয়েবের মাথাটা গরম হয়ে গেল)
শোয়েব: হেই ইউ,হোয়াট আর ইউ ডুইং?
সোমা: ডক্টর তোমাকে স্মোক করতে নিষেধ করেছে
শোয়েব: স্টপ দিস সিলি ড্রামা সোমা,এখন বাবা নেই সো তোমার আর নাটক করতে হবে না...
সোমা: জ্বি না মিস্টার শোয়েব,ডক্টর আঙ্কেল যখন নিষেধ করেছে তখন আমি কিছুতেই তোমাকে স্মোক করতে দিব না।আফটার অল ইউ আর মাই ওয়ান এন্ড ওনলি হাজবেন্ড...
শোয়েব: শাট আপ সোমা,আমি জানি আমার সুস্থ থাকা বা না থাকায় তোমার কোন যায় আসে না বরং আমি অসুস্থ হলে তুমি বেশি খুশি হবে...
সোমা: এসব তুমি কি বলছ?স্ত্রী হিসেবে আমার একটা দ্বায়িত্ব আছে না,আমিতো সেটাই পালন করছি...
শোয়েব: ডোন্ট ট্রাই টু বি সো স্মার্ট সোমা,এক মিনিট এক মিনিট ডক্টর যদি সত্যিই আমাকে এসব খেতে নিষেধ করত তাহলে তুমি কখনই আমাকে নিষেধ করতে না বরং আমাকে আরও বেশি করে খেতে বলতে।তারমানে ডক্টর আঙ্কেল এমন কিছুই করতে বলেননি,তুমি এসব আমাকে টর্চার করার জন্য করছ এ্যাম আই রাইট?
সোমা: এ্যাকচ্যুলি ইউ আর রাইট,আমি এসব তোমাকে টর্চার করার জন্যই করছি আর ভবিষ্যতেও করব।তুমি কিছুতেই আমাকে আটকাতে পারবে না...
শোয়েব: তারমানে আমার অসুস্থতাটাও...
সোমা: ঠিকই ধরেছো,তোমার খাবারের সাথে আমি খুব পাওয়ারফুল একটা ঔষধ মিশিয়ে দিয়েছিলাম যার ফলে মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য তোমার হার্টটা ডিসফাংশনাল এ্যাকটিভিটি শো করছিল।ব্যাস ওতেই আমার কাজ হয়ে গেছে...
শোয়েব: ইউ...😡
সোমা: ডোন্ট ট্রাই টু হিট মি শোয়েব,এগ্রিমেন্টের কথা মনে আছেতো?
(শোয়েব রাগ কনট্রোল করতে দেয়ালের সাথেই একটা ঘুষি দিল)
সোমা: কনট্রোল মাই ডিয়ার হাজবেন্ড,নিজেকে এভাবে আঘাত করে এনার্জি লস কর না।ওটা আমার সাথে লড়াই করার জন্য জমিয়ে রাখো😉
(সোমা হেসে চলে গেল)
শোয়েব: (মনে মনে)যত ইচ্ছে উড়ে নাও মাই ডিয়ার ওয়াইফ,যখন এক এক করে তোমার সবগুলো ডানা কেটে দিব তখন দেখব কত উড়তে পারো...
(কয়েকদিন পর)
এই কয়দিনে সোমার অত্যাচারে শোয়েব অতিষ্ট হয়ে গেছে,মনে মনে অনেক ভেবে ডিসিশন নিয়েছে ওর একটা ব্যবস্থা করতেই হবে,নাহলে এই মেয়েকে আটকানো যাবে না।অনেক ভেবে চিন্তে একটা উপায় পেয়েও গেল,গুঁটি গুঁটি পায়ে কিচেনের দিকে এগোল তারপর প্ল্যানমত সবকিছু করে চুপচাপ কেটে পড়ল।মনে মনে বলল,"একবার শুধু আমার প্ল্যানটা এক্সিকিউট হতে দাও মাই ডিয়ার ওয়াইফ,তারপর এই কয়দিনে আমার সাথে যা যা করেছো তা সব সুদে আসলে উসুল করে নেব আই স্যয়ার..."
সকাল সকাল উঠে রান্নাঘরের দিকে যেতেই পা টা হঠাৎ করেই পিছলে গেল সোমার,বেশ জোরে একটা আছাড় খেতো যদি না সময়মত জাফির এসে ওকে ধরে না ফেলত।
সোমা: থ্যাঙ্ক গড তুই এসে পড়েছিলি নাহলে যে কি হত...
জাফির: ওই ছুড়ি দেখেশুনে চলতে পারিস না?আমি সময়মত না আসলে এতক্ষণে যে কি হতে ভাবলেই আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে...
সোমা: কিন্তু এমন শুকনো জায়গায় এভাবে পা টা পিছলে গেল কিভাবে সেটাইতো বুঝতে পারছি না।
জাফির: ওয়েট ওয়েট মেঝেতে এগুলো কি?
সোমা: এগুলোতো মনে হচ্ছে সাবান আর ওয়াশিং পাউডার গোলা পানি...
জাফির: কিন্তু এগুলো এখানে কি করে আসল?
সোমা: তুই না বুঝতে পারলেও আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছি এসব কার কারসাজি...😒
জাফির: তুই বলতে চাইছিস শোয়েব ভাইয়া...
সোমা: তাছাড়া আবার কে হবে?
জাফির: কি সাংঘাতিক!সোমা শোন,তুই প্লিজ এক্ষুণি এ বাড়ি থেকে চল,এখানে থাকা তোর জন্য খুবই রিস্কি...
সোমা: কোথায় যাব আমি?বাবা-মা তো আগেই আমাকে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছে,আমার তো আর ঐ বাড়িতে কোন জায়গায় নেই😪
জাফির: এই পাগলি,কে বলেছে তোর যাওয়ার মত কোন জায়গা নেই?আমি আছি,ফারিয়া আছে,জেরিন আছে আমরা সবাই আছি
সোমা: তা আর হয় না দোস্ত
জাফির: কিন্তু কেন?দেখ সোমা,তুই এখানে থাকলে শোয়েব ভাইয়া তোর ক্ষতি করার চেষ্টা করবে,উনি এভাবে হাতে হাত রেখে বসে থাকার বান্দা না...
সোমা: তুই কোন টেনশন নিস না দোস্ত,ও যদি বুনো ওল হয় আমিও তাহলে বাঘা তেঁতুল।ও আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমিও ছেড়ে দেব ভেবেছিস?আমিও এর শেষ দেখে ছাড়ব...
জাফির: ঠিক আছে তোর যা ইচ্ছে কর,আমার কোন কথাতো শুনবি না জানি...
সোমা: জানিসই যখন তাহলে খামোখা বার বার নিষেধ করতে যাস কেন?
জাফির: কি করব বল,বেস্ট ফ্রেণ্ডরা এমনই হয়...
এদিকে ড্রয়িংরুমে বসে সোমার চিৎকার শোনার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে ছিল শোয়েব কিন্তু বেশ কিছু্ক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও যখন কোন আওয়াজ শুনল না তখন কৌতুহল মেটাতে গুঁটি গুঁটি পায়ে কিচেনের দিকে এগিয়ে গেল।সোমাকে সুস্থ সবলভাবে দাঁড়িয়ে জাফিরের সাথে কথা বলতে দেখে মাথায় রক্ত উঠে গেল ওর।দাঁতে দাঁত চেপে মনে মনে বলল...
"ভাগ্যের জোরে আর কতবার বাঁচবে মিসেস সোমা?আজ নাহয় বেঁচে গেছো কিন্তু তাি বলে রোজ রোজ তো আর তোমাকে বাঁচানোর জন্য কেউ আসবে না তাইনা?আমার একটা প্ল্যান নাহয় মিস হয়ে গেছে তারমানে এই না যে আমি হাতে হাত গুঁটিয়ে বসে থাকব।এবার পড়লেতো শুধু হাত পা ভাঙত,এরপর তোমার এমন অবস্থা করব যে আমার সাথে ফাইট করাতো দূরে থাক সোজা হয়ে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারবে না।জাস্ট ওয়েট এন্ড সি মাই ডিয়ার ওয়াইফ,তোমার এমন অবস্থা করব না,যে নিজের নামটাও ভুলে যাবে..."
0 মন্তব্যসমূহ