লাভ গেমস্ - পর্ব ১৯

লাভ গেমস্ - পর্ব ১৯

লাভ গেমস্

লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu

পর্বঃ ১৯

সোমার অবস্থা দেখে সিজা আর শোয়েবের সব বন্ধুরা আড়াল থেকে অট্টহাসি দিতে দিতে বেরিয়ে আসলো,শোয়েবও তাদের ব্যতিক্রম নয় কিন্তু একটু পরেই যখন ওকে পানির মধ্যে ওভাবে হাত-পা ছুড়তে দেখল তখন নিমেষেই সবাই চুপ হয়ে গেল।নির্বাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইল শুধু একজনের মুখের হাসি মলিন হল না,সবার অগোচরে মুখ টিপে হাসতে লাগল।সে হচ্ছে সিজা,মুচকি মুচকি হাসতে হাসতেই মনে মনে বিড় বিড় করতে লাগল...
সিজা: (মনে মনে)আমাকে বাজারে মেয়ে-ছেলে বলা!এখন বোঝ মজা,এমন ব্যবস্থা করেছি যে শুধু শোয়েবের জীবন থেকেই নয়,এই পৃথিবী ছেড়েই চলে যাবে আর যদি এই যাত্রায় বেঁচেও যাও তাহলে আর জীবনেও আমাদের দুজনের মাঝে আসার চেষ্টাও করবে না আর আমার সাথে লাগতে আসার আগে একশবার ভাববে... 
এদিকে হাত-পা ছুড়তে ছুড়তে একসময় হাল ছেড়ে দিল সোমা,সবার দিকে একবার তাকিয়ে কিছু একটা ভাবল বলে মনে হল তারপর একেবারে ক্লান্ত হয়ে হাত-পা ছেড়ে দিল,ওর শরীরটা তলিয়ে যেতে লাগল গভীর থেকে আরও গভীরে...
.
প্রোমা: (চিৎকার দিয়ে)আ..আপু...
(তুহিন সোফায় বসে পিসিতে কাজ করছিল,প্রোমার চিৎকার শুনে ওর দিকে এগিয়ে গেল)
তুহিন: কি হয়েছে প্রোমা?এমন করছ কেন?আর এভাবে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল কেন?
প্রোমা: (হাঁপাতে হাঁপাতে)আ...আমি...আ..আপ..পু...
তুহিন: আপু!কোন আপু,সোমা?
প্রোমা: হ্যাঁ...
তুহিন: কি হয়েছে আমাকে খুলে বলতো...বাজে কোন স্বপ্ন দেখেছো?
প্রোমা: (অবাক হয়ে)স...স্বপ..প্ন!!!না না স্বপ্ন না আমি দেখলাম....
তুহিন: ওকে লিসেন,ফার্স্ট টেক এ ডিপ ব্রেথ দেন টেল মি ওকে?
(প্রোমা তুহিনের দিকে তাকালো,তুহিন ওকে জোরে শ্বাস নিতে ইশারা করল।প্রোমা কয়েকবার বেশ জোরে শ্বাস নিল)
তুহিন: That's like a good girl.ঠিক আছে এবার বল কি হয়েছে...
প্রোমা: আ..আমি ঘুমাচ্ছিলাম আর তারপরই দেখলাম আপু পানিতে পড়ে গেছে।কিন্তু ও তো সাঁতার জানে না আর পানিকে খুব ভয় পায়!এখন কি হবে?ওতো ডুবে যাবে...
তুহিন: প্রোমা প্রেমা প্রোমা লিসেন টু মি...
প্রোমা: আপুর যদি খারাপ কিছু যায়!ও যদি আমাকে ছেড়ে চলে যায়!আমি তখন কি করব?আ...আমি...আপু...না এ হতে পারে না...
তুহিন: (প্রোমাকে শক্ত করে চেপে ধরে)প্রোমা...
প্রোমা: কি..ক..কি?
তুহিন: শোন সোমার কিচ্ছু হবে না,It's just a bad dream বুঝেছো?So please cool down...
প্রোমা: সত্যি বলছেন?
তুহিন: হুম সত্যি...
(কিছু্ক্ষণ পর)
তুহিন: কে যেন বলেছিল আর কখনও সোমার নাম মুখেও আনবে না,ওর কথা ভাববে না,ওর মুখদর্শন করবে না....
তা বোনের উপর রাগ কি ভেঙ্গে গেল?
প্রোমা: (মাথা নিচু করে ফেলল)না একদমই না
তুহিন: (একটু হেসে)এতই যখন বোনকে ভালোবাসো তাহলে শুধু শুধু রাগ করে আছো কেন বলত?
প্রোমা: রাগতো করবই,ও যা করেছে তারজন্য ওকে আমি কক্ষণও ক্ষমা করব না...
তুহিন: আচ্ছা একটা কথা বলতো তুমি ঠিক কি কারণে সোমার উপর রেগে আছো?
প্রোমা: (মনে মনে)আসলেইতো আমি আপুর উপর রেগে আছি কেন?
তুহিন: ওর জন্য এভাবে হুট করে তোমার আর আমার বিয়ে হয়ে গেল এই জন্য তাইতো?
প্রোমা: (একটু ভেবে)হুম
তুহিন: তবে কি পাত্র হিসেবে আমি এতটায় খারাপ?
প্রোমা: (চমকে উঠে)এমা তা কেন হবে?আপনিতো অনেক ভাল...
তুহিন: আমার সাথে বিয়ে হওয়াতে কি তোমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে?
প্রোমা: না তা কেন হবে...আপনিতো...
তুহিন: তাহলে শুধু শুধু সোমার উপর রাগ পুষে রাখছো কেন?
প্রোমা:...
তুহিন: দেখ প্রোমা,আমি জানি সোমা একটা বেশ বড় ভুল করে ফেলেছে কিন্তু হয়তোবা এর পেছনেও কোন কারণ আছে।
প্রোমা: কিন্তু...
তুহিন: দেখ প্রোমা,সোমা যা করেছে কাতে আমারও উচিত ওর উপর রেগে থাকা কিন্তু দেখ আমি কিন্তু ওকে ক্ষমা করে দিয়েছি তাই বলছি তুমিও ওকে...
প্রোমা: ক্ষমা করে দিব বলছেন?
তুহিন: হুম
প্রোমা: (খুশি হয়ে)আমাকে কালকে একবার আপুর কাছে নিয়ে যাবেন প্লিজ...
তুহিন: (একটু হেসে)আচ্ছা ঠিক আছে,নিয়ে যাব
প্রোমা: সত্যি...
(প্রোমা খুশি হয়ে তুহিনের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল আর তুহিনও হেসে ওকে দুহাতে জড়িয়ে নিল)
(কিছু্ক্ষণ পর)
তুহিন: আচ্ছা একটা কাজ করলে কেমন হয়?
প্রোমা: কি?
তুহিন: ভাবছিলাম আমাদের বিয়েটা যখন হয়েই গেছে তখন জীবনটাকে নতুন করে শুরু করলে কেমন হয়?
প্রোমা: (অবাক হয়ে)মাম...মানে?
তুহিন: (হাত বাড়িয়ে দিয়ে)প্রোমা,আমার জীবনটা আমি তোমাকে ঘিরে নতুন করে সাজাতে চাই,এই নতুন জীবনে ভালোবেসে আমার হাতটা ধরবে প্লিজ?তোমাকে অনেক ভালোবাসা দিতে চাই আমাকে সেই সুযোগ কি দেয়া যাবে?
প্রোমা: (তুহিনের হাত ধরে)হুম যাবে তবে শর্ত হল একবার ধরলে আর কক্ষণও ছাড়তে পারবেন না কিন্তু...
তুহিন: ছাড়ার জন্যতো আর ধরছি না তাই...
প্রোমার দুচোখ বেয়ে দুফোঁটা অানন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ল,তুহিন দুহাতে ওর চোখের জল মুছে দিয়ে ওকে বুকে জড়িয়ে নিল আর প্রোমাও নিশ্চিন্তে ওর বুকে মুখ লুকালো...
.
পানির ঠিক কতটা গভীরে তলিয়ে গেছে ঠিক বুঝতে পারছে না সোমা।পুরো শরীর অবশ হয়ে গেছে,চোখ দুটোও বন্ধ হয়ে আসছে,জ্ঞান হারানোর ঠিক আগ মুহুর্তে মনে হল কেউ যেন ওর হাতটা ধরে ওকে উপরের দিককে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।এটা সত্যি নাকি সবই ওর অবচেতন মনের কল্পনা বুঝে উঠার আগেই চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গেল সোমার...
নাহ্ এটা কোন স্বপ্ন ছিল না,সত্যিই কেউ একজন ওকে ঐ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছে।ছেলেটা সোমার অসাড় দেহটাকে কোলে তুলে নিয়েই পানি থেকে উপরে উঠে আসলো তারপর ওকে একটা জায়গায় শুইয়ে দিয়ে ওর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করতে লাগল।
পেটে কয়েকবার চাপ দিতেই কাশতে কাশতে উঠে বসল সোমা,তারপর অবাক হয়ে আশে পাশে কিছু একটা দেখতে লাগল।
-Are you okey now?
সোমা: (চমকে উঠে)আ..আমি কোথায়?আমার কি হয়েছিল?
-আপনি পানিতে পড়ে গিয়েছিলেন,আরেকটু হলেই ডুবে যাচ্ছিলেন
সোমা: কি!!!
-বাট চিন্তা করবেন না you are completely alright now...
সোমা: আপনি?
-ওহ্ সরি,(হাত বাড়িয়ে)Hi,I'm Arham নাম তো সুনাহি হোগা হা...
সোমা: ওহ্ হ্যালো আমি...
আরহাম: মিসেস সোমা আহমেদ আই নো...
সোমা: জানবেনই তো একটু আগে যা হল তাতে না জানারতো কোন কারণই নেই...
আরহাম: তা অবশ্য ঠিক।তবে যাই বলুন আপনি কিন্তু জবাবটা ভালই দিয়েছেন,যে যাই বলুক but I am impressed...
সোমা: আচ্ছা আপনিই কি আমাকে...
আরহাম: জ্বি হ্যাঁ,ঠিকই ধরেছেন আমিই আপনাকে পানি থেকে তুলে এনেছি বাট প্লিজ আপনি আবার এখন টিপিকাল বাঙালিদের মত চির কৃতজ্ঞ থাকব টাকব বলতে যাবেন না...
সোমা: কেন?বাঙালিরা কি খারাপ?
আরহাম: আরে না না খারাপ কেন হতে যাবে বাট ওদের এই অতিরিক্ত গায়ে পড়ে হেল্প করতে আসাটা আমার একদম বিরক্ত লাগে...
সোমা: কিন্তু এটাই তো বাঙালির সবচেয়ে বড় গুণ,অতিথি পরায়ণতা...
আরহাম: আই নো বাট...
সোমা: আচ্ছা ঠিক আছে,আপনাকে আর ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না
আরহাম: থ্যাংক গড...
সোমা: তবে এমনি এমনি কিন্তু আপনাকে ছাড়ছি না,একদিন আসবেন আমার বাসায়।চুটিয়ে আড্ডা দিব আর নিজ হাতে স্পেশাল কিছু রান্না করে খাওয়াব...
আরহাম: Now you are acting like a typical bengali...
সোমা: যদি তাই মনে হয় তাহলে তাই...
আরহাম: ঠিক আছে সেটা পরে দেখা যাবে এখন চলুন আপনাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি
সোমা: না না আমি আরেকটু পরে যাব
আরহাম: দেখুন ছেলেমানুষি না করে আমার কথাটা শুনুন প্লিজ...
সোমা: আমি বুঝতে পারছি আপনি আমার জন্য অনেক বিপদে পড়ে গেছেন।দেখুন আপনার কাজ থাকলে আপনি চলে যান,আমি আমার মত ঠিক চলে যাব...
আরহাম: লিসেন,আপনি খুবই উইক।ইউ নিড সাম রেস্ট সো চলুন আপনাকে আপনার বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি
সোমা: আরে না না,আমি একাই চলে যেতে পারব আপনাকে এত কষ্ট করতে হবে না
আরহাম: রিয়েলি!নিজের পায়ে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারছেন না আর বলছেন একাই যেতে পারবেন!Now you are acting like a typical bengladeshi...
সোমা: আমি সত্যি বলছি আমি পারব..
আরহাম: চুপচাপ আমার হাতটা ধরে উঠে পড়ুন বলছি,নাহলে পানি থেকে যেভাবে তুলে এনেছিলাম ঠিক সেভাবেই তুলে নিয়ে যাব কিন্তু...
সোমা: (আর কথা না বাড়িয়ে আরহামের হাত ধরে উঠে দাঁড়ালো)আপনার সাথে দেখছি কথাতে পেরে উঠা যাবে না...
আরহাম: (মুচকি হেসে)Actually you are right...
এদিকে সোমাকে সুস্থ স্বাভাবিক দেখে যে যার মত চলে গেলেও শোয়েব কিন্তু যায়নি,আড়ালে দাঁড়িয়ে সোমা আর আরহামের সব কথাই শুনছিল।শুরুতে সোমার অবস্থা দেখে সবার মত ও নিজেও হাসছিল কিন্তু পরে যখন সোমাকে ওভাবে কষ্ট পেতে দেখল তখন কেমন যেন খারাপ লগছিল।আর আরহাম যখন ওকে কোলে নিয়ে পানি থেকে উঠে আসল তখন একটু খুশিও লাগছিল আবার সোমাকে অন্য একজনের কোলে দেখে খারাপও লাগছিল।সোমাকে উঠে দাঁড়াতে দেখে এবার আর দাঁড়িয়ে না থেকে ওদের দিকে এগিয়ে গেল শোয়েব..
আরহাম: আরে আপনারতো দেখছি হাঁটতে খুবই কষ্ট হচ্ছে,এক কাজ করি আমি আপনাকে কোলে করে নিয়ে যাই..
সোমা: না না,আমি একাই যেতে পারব..
আরহাম: দেখুন আমি শুধু আপনাকে হেল্প করতে চাইছে,আই হেভ নো আদার ইনটেনশন বিলিভ মি...
সোমা: আরে আপনি দেখছি মাইন্ড করছেন!আচ্ছা ঠিক আছে চলুন...
আরহাম: (খুশি হয়ে)রিয়েলি?
সোমা: হুম
(আরহাম সোমাকে কোলে নিতে যাবে তখনই)
শোয়েব: Excuse me,wait a minute...
আরহাম: ইয়েস?
শোয়েব: হাই,আই এ্যাম শোয়েব,সোমার হাজবেন্ড।আপনি?
আরহাম: ওহ্ হ্যালো,আমি আরহাম নািস টু মিট ইউ মি.শোয়েব
শোয়েব: দেখুন মি.আরহাম এখন আমি চলে এসেছি সো আপনার আর সোমাকে হেল্প করতে হবে না,আমার স্ত্রীর হেল্প আমিই করতে পারব
আরহাম: রিয়েলি?তা আপনার ওয়াইফের সাথে যখন এতকিছু হচ্ছিল তখন আপনি কোথায় ছিলেন?তখন তো তার হেল্প করতে আসেননি...
শোয়েব: দেখুন আ..আমি তখন এ..এখানে ছিলাম না তাই...
কিন্তু এখন আমি চলে এসেছি সো ইউ ক্যান গো নাউ... 
সোমা: শোয়েব প্লিজ স্টপ ইট
শোয়েব: তুমি চুপ থাকো,এসবের মধ্যে একদম আসার চেষ্টা করবে না
আরহাম: (একটু হেসে)ওকে ওকে কুল ডাউন ব্রো আই এ্যাম গোয়িং নাউ সো জাস্ট রিল্যাক্স...
(আরহাম চলে যাচ্ছিল,একটু দূরে গিয়েই আবার ফিরে আসল)
শোয়েব: আবার কি হল?
আরহাম: মিসেস সোমা,গুড বাই।ভাল থাকবেন এন্ড কালকেই একটা মেডিকেল চেক আপ করিয়ে নিয়েন,কোন ইনটার্নাল ইনজুরি হয়েছে কিনা দেখে নেবেন ওকে?দ্যাট উইল বি বেটার ফর ইউ...
সোমা: ওকে
শোয়েব: লিসেন মি....
আরহাম: আরহাম
শোয়েব: হোয়াট এভার..শুনুন আমার ওয়াইফের জন্য কোনটা ভাল কোনটা মন্দ সেটা আমি বুঝব,আপনাকে সেসব নিয়ে ভাবতে হবে না...
আরহাম: ওকে ওকে আই এ্যাম লিভিং নাও,বাই মিসেস সোমা...
সোমা: বাই...
আরহাম চলে যেতেই শোয়েব সোমাকে কোলে তুলে নিল,তারপর সবার চোখের সামনে দিয়ে ওকে নিয়ে পার্কিং এর দিকে এগিয়ে গেল,সোমা অবাক হয়ে একবার ওর দিকে তাকালো তারপরই অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিল।দূর থেকে এসব দেখে সিজা ছুটে আসলো...
সিজা: হোয়াট আর ইউ ডুইং শোয়েব?
শোয়েব: দেখছোই তো কি করছি তাহলে আবার জানতে চাইছো কেন?
সিজা: ওকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছ?
শোয়েব: ওকে বাসায় রাখতে যাচ্ছি...
সিজা: কিন্তু বাবু,আমার পার্টিতো এখনও শেষ হয়নি।ইনফ্যাক্ট আমিতো এখনও কেকই কাটিনি...
শোয়েব: লিসেন সিজা,সোমা অনেক অসুস্থ।ওকে বাসায় রেখেই আমি চলে আসব...
সিজা: কিন্তু শো...
কিন্তু কে শোনে কার কথা,শোয়েব ততক্ষণে গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিয়ে দিয়েছে।গাড়িটা বেরিয়ে গেল,সিজা অবাক হয়ে কিছু্ক্ষণ সেদিকে তেকিয়ে থাকল তারপর রাগে গজ গজ করতে করতে ভেতরে চলে গেল...
বাসায় পৌঁছেই সোজা সোমাকে রুমে নিয়ে গেল শোয়েব।ওকে চেয়ারে বসিয়ে ওয়্যারড্রোব থেকে ঝটপট কয়েকটা ড্রেস বের করে সোমাকে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকল।ওকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সোমা ইতস্তত করছে দেখে বলল...
শোয়েব: কি হল চেঞ্জ কর...
সোমা: না মানে তুত..তুমি কি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে?
শোয়েব: হ্যাঁ কোন সমস্যা?
সোমা: আমি তো..মার সামনে কি..ক কিভাবে...!
শোয়েব: সামনে তো করতে বলিনি,পেছনে করতে বলেছি।এই যে আমি ঢুরে দাঁড়াচ্ছি,তোমার হয়ে গেলে সিগনাল দিও
সোমা: এমন কেন করছ শোয়েব?আমি একাই পারব প্লিজ যাও এখান থেকে
শোয়েব: কারণ তুমি ঠিকমত দাঁড়িয়েই থাকতে পারছো না,আমি বেরিয়ে গেলে যদি এ্যাক্সিডেন্টলি পড়ে টরে যাও তখন...
সোমা: আমার কিছুই হবে না বিলিভ মি
শোয়েব: এন্ড ইউ ডোন্ট বিলিভ মি রাইট?
সোমা: (মাথা নিচু করে)না তেমন কিছু না আসলে...
শোয়েব: রিল্যাক্স...ইউ নিড নট গিভ মি এনি এক্সপ্লেনেশন...
সোমা:...
শোয়েব: ওকে রিল্যাক্স এক কাজ করি..
সোমা: কি?
শোয়েব: ওয়েট...
(সোমার ওড়না দিয়ে চোখ বাঁধতে বাঁধতে)
শোয়েব: আই থিঙ্ক ইট উইল বি ওকে ফর ইউ নাউ।ইজ ইট ওকে নাউ?
সোমা: (অবাক হয়ে)হুম
শোয়েব: Then hurry up quick...
নাহলে আবার ঠাণ্ডা লোগে যাবে তো...

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ