লাভ গেমস্ - পর্ব ২০

লাভ গেমস্ - পর্ব ২০

লাভ গেমস্

লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu

পর্বঃ ২০

সোমা আর টাইম ওয়েস্ট না করে চেঞ্জ করে নিল তারপর শোয়েবের চোখ খুলে দিল।শোয়েব ওকে কোলে করেই আবার রুমে ঢুকল তারপর বালিশে হেলান দিয়ে শুইয়ে দিল...
শোয়েব: তুমি একটু ওয়েট কর আমি এক্ষুণি আসছি
(শোয়েব একটু পরেই ফিরে আসলো)
শোয়েব: এই যে ম্যাডাম একটু হা করেন তো...
সোমা: এটা কি?
শোয়েব: স্যুপ অনেক্ষণ পানিরর মধ্যে ছিলে তাই একটু খেয়ে নাও ভাল লাগবে
সোমা: এখানে রেখে যাও আমি খেয়ে নিব
শোয়েব: কথা না বলে চুপচাপ মুখটা খোল বলছি,নাহলে কিন্তু জোর করে খাইয়ে দিব
সোমা: তোমার দেরি হয়ে যাচ্ছে তুমি যাও,আমি ম্যানেজ করে নিব...
শোয়েব: দেরি হয়ে যাচ্ছে!কেন আমি আবার কোথায় যাব?
সোমা: কেন,তুমি না সিজাকে বললে আমাকে বাসায় রেখেই আবার পার্টিতে ফেরত যাবে?এমনিতেই অনেক টাইম ওয়েস্ট করে ফেলেছো তাই বলছি তাড়াতাড়ি যাও নাহলে আবার ম্যাডামের রাগ হয়ে যাবে...
শোয়েব: শাট আপ সোমা,আমি কি করব না করব সেটাও কি এখন তুমিই ঠিক করে দেবে?
সোমা: না তা না কিন্তু...
শোয়েব: তুমি কি স্বেচ্ছায় খাবে নাকি সত্যি সত্যি জোর করে খাওয়াতে হবে?
সোমা: আচ্ছা ঠিক আছে খাচ্ছি...
(ঘড়িতে তখন রাত ১টা)
সোমা গভীর ঘুমে মগ্ন,শোয়েব সোফায় বসে ওর দিকে অপলকে তাকিয়ে আছে।কেন জানি হঠাৎ করে মেয়েটাকে দেখে খুব মায়া হচ্ছে,ওকে যতই অপছন্দ করুক না কেন এই অবস্থায় দেখতে খুব খারাপ লাগছে।ভেতরে ভেতরে কেমন যেন একটা অপরাধবোধ কাজ করছে,কেন যে ওকে সিজাদের ওখানে নিয়ে গেল!ওখানে না গেলে হয়তো মেয়েটার আজকে এই অবস্থা হত না।কিন্তু একটা জিনিস কিছুতেই ওর মাথায় আসছে না,কিছুতেই বুঝতে পারছে না সোমা হঠাৎ করে পানিতে পড়ল কি করে...
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং
শোয়েব: হ্যালো...
সিজা: জান তুমি কই?
শোয়েব: কোথায় আবার বাসায়...
সিজা: (রেগে গিয়ে)তুমি এখনও বাসায় কি করছ!কখন আসবে এখানে?তোমার জন্য আর কতক্ষণ ওয়েট করব?
শোয়েব: সরি বেবি,আমি আর আজকে যেতে পারব না...
সিজা: হোয়াট....!!!
শোয়েব: আই এ্যাম রিয়েলি ভেরি সরি জান...
সিজা: Sorry my foot!কেন কেন আসবে না তুমি?
শোয়েব: আসলে সোমার ধুম জ্বর এসেছে,অনেক কষ্টে ওকে ঘুম পাড়িয়েছি।বাসায় তেমন কেউ নেই তাই ওকে এভাবে একা রেখে কিছুতেই যেতে পারব না...
সিজা: হোয়াট!!তুমি ঐ গাঁইয়া মেয়েটার জন্যে আমাকে রিজেক্ট করছো!!How dare you?
শোয়েব: সরি জান,প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা কর...
সিজা: খবরদার,খবরদার ঐ মুখে আমাকে একদম জান বলে ডাকবে না...
শোয়েব: সিজা প্লিজ...আজকের মত মাফ করে দাও,কাল সকালেই আমি তোমার সামনে গিয়ে হাজির হব...
সিজা: আমার কাছে আর আসতে হবে না,তুমি ঐ গাঁইয়াটার শাড়ির আঁচল ধরেই থাকো...
শোয়েব: সিজা...
সিজা: Just go to hell...
(সিজা রাগ করে ফোনটা কেটে দিল)
সিজা: (বিড় বিড় করে)ইউ স্কাউন্ড্রেল,তুমি আমাকে ছেড়ে ঐ গাঁইয়া ভূতটার কেয়ার করছ!ঠিক আছে আমিও তোমাকে দেখে নেব...
রিশান: ভুল মানুষের উপর ভরসা করলে তো এমনই হবে...
সিজা: তুমি!!
রিশান: হ্যাঁ আমি,কি শোয়েব আসবে না তাইতো?
সিজা: (অবাক হয়ে)তুমি কি করে জানলে?
রিশান: (হেসে)আমি ওকে হাড়ে হাড়ে চিনি,ওর মত লুজাররা আসলে এমনই হয়...
সিজা: কি যা-তা বলছ?
রিশান: ঠিকই তো বলছি,তুমি নিজেই বিচার কর না,তোমার মত হট এন্ড সেক্সি একটা মেয়েকে ছেড়ে ঐ বেহেনজির কাছে পড়ে আছে!Isn't it funny?
সিজা:....
রিশান: Actually তোমার মত মেয়েকে ওর মত একটা লুজার মোটেও ডিজার্ভ করে না আর তাই তোমারও উচিত না ওর মত একটা ছেলের জন্য নিজের বার্থডে টাকে স্পয়েল করা...
সিজা: I think you are right...
রিশান: ঠিক আছে,তাহলে চল কেকটা কেটে ফেলি।আর ওয়েট করে কি লাভ?
সিজা: আচ্ছা চল...
(সকালে)
ভোরের আলো এখনও ঠিকমত ফুটে ওঠেনি,হঠাৎ করেই সোমার ঘুমটা ভেঙ্গে গেল,জ্বরটা মনে হচ্ছে ছেড়ে গেছে কিন্তু শরীরটা খুবই দুর্বল লাগছে।গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে,পানি খাবে বলে উঠে দাঁড়াতেই মাথা ঘুরে মেঝেতে পড়ে গেল।
এদিকে শোয়েব এখনও সোফায় বসে আছে,সারারাত জেগে থেকে একটু আগেই ঘুমিয়েছে।হঠাৎ একটা শব্দ শুনে এক রকম লাফ দিয়েই উঠে পড়ল,তারপর সোমাকে ওভাবে পড়ে থাকতে দেখে ছুটে গেল ওর দিকে...
শোয়েব: সোমা...কি হয়েছে তোমার?এই সোমা কথা বল...
কিন্তু সোমার কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে ওকে কোলে করেই আবার বিছানায় শুইয়ে দিল তারপর ফোন করল ডক্টর আঙ্কেলের কাছে।
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং...
শোয়েবের ফোনটা বাজছে,এই নিয়ে পাঁচবার ফোন দিল সিজা কিন্তু শোয়েব প্রতিবারই কেটে দিয়েছে।এহসান আঙ্কেল সোমার চেক আপ করছেন আর শোয়েব তার পাশে দাঁড়িয়ে দেখছে তাই সিজার সাথে কথা বলতে পারছে না।আবারও কল দিচ্ছে সিজা,এবার কলটা কেটে দিয়েই ফোনটা অফ করে দিল শোয়েব...
সিজা: 😡ওর এত সাহস আমার কল কেটে দেয়!
জেসি: ফর গডস সেক তুই একটু মাথাটা ঠাণ্ডা কর প্লিজ...
সিজা: (দাঁতে দাঁত চেপে)কেন আমি কেন মাথা ঠাণ্ডা করব?ওর কত বড় সাহস দেখেছিস!আমার...এই আমার কল কেটে দিচ্ছে!এখন আবার ফোনটাও অফ করে দিয়েছে...
নিশা: কি আশ্চর্য!তুই আমাদের উপর চেঁচাচ্ছিস কেন?পারলে শোয়েবকে গিয়েই বল না যা বলতে চাস...
সিজা: হ্যাঁ হ্যাঁ ওকেই বলব আর যার জন্য ও আমার সাথে এমন করছে ওকেও ছাড়ব না বুঝেছিস...
জেসি: ঠিক আছে যা ইচ্ছা হয় করিস,এখনতো একটু মাথাটা ঠাণ্ডা কর...
সিজা: তোরা চিন্তা করেছিস,কাল রাতে একবার আমাকে রেখে ঐ গাঁইয়া টাকে নিয়ে চলে গেল।আজ সকালে আসার কথা,এখন ১০ টা বাজে তবুও তার দেখা নেই!!
নিশা: এই জেসি চল তো,ওর কাছে থাকলে ও আমাদের মাথাটাও খারাপ করে দেবে...
সিজা: হ্যাঁ হ্যাঁ তোরাও যা,এখনতো আমাকে আর কারোরই ভাল লাগে না...
রিশান: কে বলেছে?আমারতো ভালই লাগে...
সিজা: তুত...তুমি?
রিশান: হ্যাঁ আমি,কেন আসতে পারিনা?
সিজা: না ঠিক তা না...
রিশান: এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম তাই ভাবলাম তোমার চাঁদমুখটা দেখে যাই...
সিজা: ফ্লার্টিং তো ভালই করতে পারো দেখছি...
রিশান: ছি ছি!এভাবে বল না প্লিজ..আমিতো শুধু একজন সুন্দরীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করছি...
সিজা: মেয়েদের কিভাবে পটাতে হয় তা ভালই জানা আছে দেখছি...But really I am impressed...
রিশান: Really!!!
সিজা: Yeah and thanks
রিশান: থ্যাঙ্কস কেন?
সিজা: সকাল থেকেই আমার মনটা অনেক খারাপ ছিল,ভাল করে দেয়ার জন্য থ্যাঙ্কস...
রিশান: My pleasure...
(সেদিন দুপুরে)
তুহিন প্রোমাকে নিয়ে সোমাদের বাসায় এসেছে,সোমা তখনও বেশ অসুস্থ তাই চোখ বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে ছিল।প্রোমা এসেই ওকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিল
প্রোমা: আপু আই এ্যাম সো সরি আপু...
সোমা: (ফুঁপিয়ে)তুই কেন সরি বলছিস!আমি সরি রে....
প্রোমা: না আমি শুধু শুধু তোর উপর রাগ করে ছিলাম,তোর সাথে কত খারাপ ব্যবহার করেছি!তোকে একটা ককথা বলার সুযোগ পর্যন্ত দেইনি!প্লিজ আপু আমাকে মাফ করে দে...
সোমা: না ভুল আমি করেছি ততাই মাফ আমি চাইব,আমার জন্যে শুধুমাত্র আমার জন্য তোর জীবনটা এভাবে নষ্ট হয়ে গেল....
প্রোমা: তোকে কে বলল যে তুহিনের সাথে বিয়ে হওয়াতে আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে?
সোমা: তার মানে...তার মানে তুহিন তোকে... 
প্রোমা: হ্যাঁ আপু,উনি অনেক ভাল একজন মানুষ।আমার অনেক খেয়াল রাখে,আমি সত্যিই উনার সাথে অনেক হ্যাপি...
সোমা: একটা সত্যি কথা বলবি?
প্রোমা: তোকে কখনও মিথ্যা বলেছি?
সোমা: না
প্রোমা: তাহলে এমন করে বললি কেন?
সোমা: আচ্ছা বাবা সরি
প্রোমা: হুম এবার ঠিক আছে,আচ্ছা বল কি জানতে চাস?
সোমা: তুই তুহিনকে ভালোবাসিস?
প্রোমা: (লজ্জা পেয়ে)হুম,জানিস আপু ও এতটা ভাল যে না চাইতেও কখন যে ওর প্রেমে পড়ে গেছি বুঝতেও পারিনি...
সোমা: আর তুহিন?
প্রোমা: (লজ্জা পেয়ে)শুরুতে না বাসলেও উনি আস্তে আস্তে আমার প্রেমে পড়ে গেছেন
সোমা: (খুশি হয়ে)তুই সত্যি বলছিস?
প্রোমা: আচ্ছা আপু,তোর কি আমাকে ফেলনা মনে হয়?
সোমা: (অবাক হয়ে)হঠাৎ একথা কেন বলছিস?
প্রোমা: তুই আমাকে চিনিস না?সেই স্কুল লাইফ থেকে কত ছেলে আমার প্রেমে পড়েছে তুই জানিস না?ওদেরতো আমি পাত্তা দিতাম না তাও ওরা ঘুরত আর এখানে যখন আমিই তুহিনের পেছনে ঘুরছি তখন ওর কি সাধ্য আছে আমাকে এ্যাভয়েড করবে?যতই ডাইনে বায়ে ঘুরুক প্রেমেতো ওকে পড়তেই হবে...
সোমা: হুম বুঝলাম
প্রোমা: প্রোমা যে কি চিজ সেটাও তো বুঝতে হবে...
সোমা: দেখতে হবে না বোনটি কার...
(দুজনেই শব্দ করে হেসে উঠল)
তুহিন: কি ব্যাপার আমাকে নিয়ে কি এত কথা হচ্ছিল?আমাকেও বল আমিও একটু হাসি...
(তুহিনকে দেখে সোমা একটু যেন চুপসে গেল)
তুহিন: কি ব্যাপার আপু,আমাকে দেখে এমন চুপসে গেলেন যে?
সোমা: প্লিজ আপনি আমাকে আপু বলে আর লজ্জা দিয়েন না
তুহিন: তাহলে কিন্তু আপনাকেও আমাকে তুমি করেই বলতে হবে
প্রোমা: এই তোমরা থামতো,আচ্ছা এখন থেকে কেউ কাউকে আপনি করে বলবা না,আরে ইয়ার বি ইজি এন্ড এক্ট লাইক ফ্রেণ্ডস ঠিক আছে?
(সবাই একসাথে হেসে উঠল)
সোমা: তুহিন আই এ্যাম সরি...
তুহিন: কেন?
সোমা: না মানে আমি তোমার সাথে যা করেছি...
তুহিন: ইট'স ওকে,আমি জানি তুমি যা কিছুই করেছো তার পেছনে নিশ্চয় বড় কোন কারণ আছে...
সোমা: (মনে মনে)কারণতো আছেই কিন্তু সেটা আমি এখন তোমাদের বলতে পারব না...
তুহিন: সো মিসেস সোমা,জাস্ট টেক ইট ইজি,আর ইনফ্যাক্ট আমি তোমার কাছে একদিক দিয়ে ঋণী বলতে পারো
সোমা: (অবাক হয়ে)সেটা কিভাবে?
তুহিন: দেখ সোমা,তোমার সাথে বিয়ে হলে আমি তোমাকে ভালোবাসতাম এটা ঠিক কিন্তু তুমি হয়ত কখনই আমাকে ভালোবাসতে পারতে না।কিন্তু প্রোমাকে আমি এ কয়দিনে যা বুঝেছি মেয়েটা আমাকে অসম্ভব ভালোবেসে ফেলেছে।আর একটা কথা কি জানো,নিজে যাকে ভালোবাসো তার সাথে থাকার চেয়ে যে তোমাকে ভালোবাসে তার যাথে থাকাটা অনেক অনেক বেশি ভাগ্যবানের কাজ আর আমি সেই ভাগ্যবান ব্যক্তিদের একজন আর এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র তোমার জন্য...
(তুহিনের কথা শুনে সোমা আর প্রোমা দুজনেই চুপ হয়ে গেল,ঠিক তখনই শোয়েব ঐ রুমে এসে ঢুকল।শোয়েব একটা কাজে বাইরে গিয়েছিল তাই প্রোমা আর তুহিনের সাথে ওর দেখা হয়নি...)
শোয়েব: এই নাও ধর,যা যা আনতে বলেছিল সব ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নাও...(হঠাৎ)আপ...নাদেরকে তো ঠিক...
সোমা: ওরা হচ্ছে আমার ছোট বোন প্রোমা আর ওর বর তুহিন..
তুহিন: (হাত বাড়িয়ে)হ্যালো ভাইয়া,কেমন আছেন আপনি?সরি আপনার সাথে আগে দেখা হয়নি তাই চিনতে পারিনি
শোয়েব: (হ্যাণ্ডশেক করতে করতে)ইট'স ওকে ব্রো,আচ্ছা চল আমি তোমাকে আমাদের বাড়িটা একটু ঘুরিয়ে দেখাই।ওরা দুই বোন গল্প করুক...এই যে শ্যালিকা,তোমার বরকে কিন্তু নিয়ে গেলাম...
প্রোমা: যান যান যেখানে পারেন নিয়ে যান...
(ওরা বেরিয়ে গেল)
প্রোমা: আপু...এটাই তাহলে আমার জিজু...!
সোমা: হুম
প্রোমা: এখন বুঝতে পারছি তুই কেন তুহিনকে ছেড়ে উনাকে বিয়ে করেছিস...
সোমা: মানে?
প্রোমা: জিজু কিন্তু সেই হ্যাণ্ডসাম,আমারতো এখন তোকে হিংসে হচ্ছে...
সোমা: এতই যখন পছন্দ তাহলে তুই ই নিয়ে যা...
প্রোমা: দেখিস পরে আবার দোষ দিস না,এমনিতেই শালি মানেই আধি ঘারওয়ালি,তুই পারমিশন দিলে পুরিও হয়ে যেতে পারি...
সোমা: তবে রে....
(সোমা প্রোমাকে ধরার আগেই ও পালিয়ে গেল)
(কিছু্ক্ষণ পরে)
প্রোমা: ভাইয়া আমরা এখন চলে যাচ্ছি,আপনি প্লিজ আমার আপুটাকে একটু দেখে রাখবেন।এমনিতেই আপনাদের বিয়ের কথা শুনেই বাবা আপুকে ত্যাজ্য করেছে,তাই এখন আপনি ছাড়া ওর আর কেউই নেই...
শোয়েব: আচ্ছা ঠিক আছে ডিয়ার শ্যালিকা,আমি তোমার আপুর খেয়াল রাখব...
প্রোমা: আপনি কিন্তু আমাকে কথা দিলেন ভাইয়া,আশা করি এই ছোট বোনটাকে দেয়া কথাটার কোন খেলাপ করবেন না...
প্রোমারা চলে গেল,শোয়েবের কানে এখনও ওর বলা শেষ কথাটা বাজছে...
"আপনি ছাড়া ওর আর কেউই নেই,এখন আপনিই ওর সব,ওর দিকে একটু খেয়াল রাখবেন প্লিজ..."
বার বার চেষ্টা করেও প্রোমার এই কথাগুলো কিছুতেই ভুলতে পারছে না শোয়েব কিন্তু কেন???
(দুদিন পর)
শোয়েব সিজার সাথে দেখা করতে এসেছে,সিজা প্রচণ্ড রেগে আছে তাই ওর রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছে
শোয়েব: সরি জান,তুমি আমার সিচুয়েশনটা একটু বুঝতে চেষ্টা কর প্লিজ...
সিজা: কি বুঝব আমি?সেদিন আমার বার্থডে পার্টি ছেড়ে চলে গেলে,তারপর সকালে আসবে বলেও আসলে না,তারপর এই দুদিন কোন খোঁজ-খবরই ছিল না তোমার।না নিজে ফোন দিয়েছো আর না আমার কল রিসিভ করেছো আর এখন ঢং করছ!
শোয়েব: বললামতো সরি,আমি কি এসব ইচ্ছে করে করেছি নাকি?
সিজা: তোমার ইচ্ছেমত নয়তো কি আমার ইচ্ছেমত করেছো?
শোয়েব: কি আশ্চর্য তুমি এমন রেগে যাচ্ছো কেন?
সিজা: রাগব নাতো কি করব,ধেই ধেই করে নাচব?
শোয়েব: সিজা এবার কিন্তু আমার রাগ হয়ে যাচ্ছে...
সিজা: তোমার রাগের আমি খেতা পুড়ি হুহ
শোয়েব: সিজা...
সিজা: বাহ বাহ এখন আমার উপর রাগ দেখাচ্ছো কেন?একেতো নিজে দোষ করেছো তারপর আবার আমাকেই ঝাড়ি দিচ্ছো!How dare you! 
শোয়েব: (একটু মমাথা ঠাণ্ডা করে)কি করব বল সেদিন থেকে সোমা এতটাই অসুস্থ যে ওকে ছেড়ে কিছুতেই...
সিজা: (রেগে গিয়ে)সোমা সোমা সোমা,সারাক্ষণ শুধু ঐ গাঁইয়াটার নাম জপ কেন?কি নেই আমার মাঝে যে তুমি আমাকে ছেড়ে ওর কাছে চলে যেতে চাও!টেল মি শোয়েব জাস্ট স্পিক আপ...
শোয়েব: শাট আপ সিজা...
সিজা: কেন,কেন চুপ করব আমি?কত কষ্টে ঐ মেয়েকে পার্মানেন্টলি তোমার লাইফ থেকে সরানোর বাযবস্থা করলাম আর তুমি...
শোয়েব: হোয়াট!কি বলতে চাও তুমি!!!

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ