লাভ গেমস্ - পর্ব ১৮

লাভ গেমস্ - পর্ব ১৮

লাভ গেমস্

লেখকঃ Sanjida Afrin Shetu

পর্বঃ ১৮

(রাত ২টা)
বিছানায় শুয়ে শুয়ে শুধু এপাশ-ওপাশ করছে শোয়েব,কিছুতেই ঘুম আসছে না।কি করে আসবে,পেটের মধ্যে যে ক্ষুধায় চোঁ চোঁ করছে।তখন সোমার উপর রাগ করে কিছুই মুখে দেয়া হয়নি আর তাছাড়া নিজের বিছানা ছাড়া কিছুতেই ঘুম আসে না ওর।তাই সারাদিন যতই বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর পার্টি করুক না কেন ঘুমানোর সময় হলে ঠিকই বাসায় চলে আসতো।আরো কিছু্ক্ষণ এপাশ-ওপাশ করে বিরক্ত হয়ে বিছানায় উঠে বসল শোয়েব মনে মনে বলল...
"ওই মিটমিটে শয়তানটা নিশ্চয় এতক্ষণে শান্তি করে ঘুমাচ্ছে।দেখেতো মনে হয় ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে পারে না কিন্তু এই মেয়ের পেটে পেটে যে এত শয়তানি কে বিশ্বাস করবে?ঠিক আছে আমার সাথে ফাইজলামিতো আমিও দেখে নেব ওকে..."
হঠাৎই রুমে কেউ নক করল,দরজা খুলেইতো শোয়েব অবাক
শোয়েব: তুমি!!!
সোমা: হ্যাঁ আমি,কেন অন্য কাউকে এক্সপেক্ট করছিলে নাকি?
শোয়েব: একরাতে এখানে কি মনে করে?আরো কোন টর্চার করা বাঁকি আছে নাকি?
সোমা: তখনতো রাগ করে কিছুই খেলে না,তোমার নিশ্চয় খুব ক্ষুধা লেগেছে তাই তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসলাম
শোয়েব: এই মেয়ে এত ঢং কি করে করতে পারো বলতো?গরু মমেরে জুতোদান করতে এসেছো!নিয়ে যাও এসব আমি কিচ্ছু মুখেও তুলব না...
সোমা: দেখ আই এ্যাম স্যরি,আর তখনকার খাবারগুলো আনিনি দেখ।তুমি যা যা পছন্দ কর সেসবই নিয়ে এসেছি প্লিজ খেয়ে নাও...
শোয়েব: বললামতো খাব না,এই তুমি যাও তো...
সোমা: তাই?খাবেনা তাইতো?ঠিক আছে কিভাবে খাওয়াতে হয় আমার জানা আছে
শোয়েব: এই মেয়ে,কি করবে তুমি হুম?
সোমা: ওয়েট...
(এই বলে সোমা শোয়েবের দুই হাত শক্ত করে বেঁধে ফেলল তারপর নিজ হাতে খাবার মেখে ওর মুখের সামনে ধরল)
সোমা: দেখি হা করতো
শোয়েব রাগে মুখে ফিরিয়ে নিল,সোমা একরকম জোর করেই ওকে খাইয়ে দিল।শোয়েব কিছু্ক্ষণ অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকল,কি হচ্ছে কিছুই ওর মাথায় ঢুকছে না।সোমা দ্বিতীয় বার ওর মুখে খাবার তুলে দিতে গেলেই ওর সম্বিৎ ফিরল,নিজেকে সামলে নিয়ে সোমার হাতে বেশ জোরেই একটা কামড় বসিয়ে দিল
সোমা: আউচ!এটা কি হল?
শোয়েব: একটা ডাইনিকে তার উচিত জবাব দিলাম
সোমা: কি!আমি ডাইনি!!!
শোয়েব: তোমাকে ডাইনি বললে ডাইনিও লজ্জা পাবে,তুমি তার থেকেও বেশি খারাপ বুঝেছো?
সোমা: (দাঁতে দাঁত চেপে)হোয়াট!আমি ডাইনি সরি ডাইনির চেয়েও খারাপ তাইনা?ঠিক আছে এখন বুঝবে এই ডাইনি কি করতে পারে...
(বলেই নিজের হাতে থাকা ভাত ডাল সব শোয়েবের মাথায় ঢেলে দিল সোমা)
শোয়েব: ওহ্ শিট!ইয়াক হোয়াট ইজ দিস সো...
(কথা শেষ করতে পারল না শোয়েব তার আগেই ওর হেঁচকি উঠতে লাগল)
সোমা: (শোয়েবের দিকে তাকিয়ে পানির গ্লাসটা তুলে নিল তারপর ঢকঢক করে পুরো গ্লাসের পানিটাই শেষ করে ফেলল)
শোয়েব: (অবাক হয়ে)এ..এটা কি হল!
সোমা: (শোয়েবের হাত খুলতে খুলতে)পানি খেতে চাইলে নিজেই এনে খাও,এই ডাইনির কাছ থেকে কোন হেল্পই পাবে না...
(সোমা রেগে মেগে বেরিয়ে গেল)
শোয়েব: লেডি হিটলার একটা হুহ
(রাতে ডিনারের সময়)
শোয়েব একটু আগেভাগেই চলে এসেছে,সোমা একটু আহেই অফিস থেকে ফিরেছে তাই রুমে ফ্রেশ হচ্ছে।খাবারের ঢাকনাগুলো সরিয়েই মেজজটা খারাপ হয়ে গেল শোয়েবের
শোয়েব: ঐ লেডি হিটলারটা আজকেও একি কাজ করেছে দেখছি,আমাকে ওসব ছাইপাশ খাইয়ে নিজে ভাল-মন্দ খাওয়া!দাঁড়াও খাওয়াচ্ছি...
(একটু পরেই নিচে নেমে আসল সোমা)
সোমা: কাল তোমার সাথে অনেক বাজে বিহেভ করেছি সেজন্য সরি
শোয়েব: কি!এই তোমার মাথার ঠিক আছে তো?
সোমা: তোমাকে কাল ঠিকমত খেতেও দেইনি তাই তোমাকে কালকে যেসব খেতে দিয়েছিলম সেগুলো আজকে আমি খাব
শোয়েব: (চমকে উঠে)হোয়াট!!!
সোমা: তুমি বরং এগুলো খাও
(শোয়েবের প্লেটে খাসির রেজালা তুলে দিতেই)
শোয়েব: এই না না তুমিই ওগুলো খাও আমি ভেবে দেখলাম তুমিতো আমার ভালোর জন্যেই এসব করছ তাই...
সোমা: আমি জানি আমি কি করছি তাই চুপচাপ খেয়ে নাও।আচ্ছা এই চিংড়ি মাছের মালইকারিটা দিয়েই বরং শুরু কর
শোয়েব: (মনে মনে)সর্বনাশ!ওটাতেইতো সবচেয়ে বেশি ঝাল মিশিয়েছি।এখন কি হবে?
সোমা: কি হল শুরু কর..
শোয়েব: এইতো করছি করছি..
সোমা: শুরু করছি বলে আবার চুপ করে বসে থাকলে কেন?এই সমস্যা কি তোমার?একা একা খেতে ভাল লাগছে না?নাকি কাল রাতের মত আমিই...
শোয়েব: এই না না,আমি একাই খেতে পারব
সোমা: (মনে মনে)খাও খাও খেলেই বুঝব আসল কাহিনী কি
শোয়েব: (একবান মুখে দিয়ে)আআআ উফ!পা...প..পানি পানি পানি
সোমা: (পানির জগটা হাতে নিয়ে)আগেই বুঝতে পেরেছিলাম কিছু একটা গড়বড় করবে,এখন বোঝ কেমন লাগে
শোয়েব: (হাঁপাতে হাঁপাতে)সোমা প্লিজ পানিটা দাও...
সোমা: (পানির জগটা ফেলে দিয়ে)পানি খাবে তাইনা?নাও এবার খাও😁😁
শোয়ব কিছু্ক্ষণ অবাক হয়ে কিছু্ক্ষণ তাকিয়ে থাকল তারপর আচমকাই সোমাকে চেপে ধরে ওর ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিল।সোমা প্রথমে হাত-পা ছুড়ে শোয়েবকে সরানোর চেষ্টা করলেও একটু পরেই একেবার চুপ হয়ে গেল।শোয়েব ওর ঠোঁটটা একেবারে নিজের দখলে নিয়ে নিল যেন ওটা দিয়েই নিজের যত ঝাল লাগছিল সব দূর করে ফেলবে।
শোয়েবের হাতের বাঁধন একটু হালকা হতেই সোমা এক ঝটকায় ওকে দূরে সরিয়ে দিল তারপর এক দৌঁড়ে নিজের রুমে চলে গেল।ফ্লোরে বসে হাঁফাতে হাঁফাতে পুরো ঘটনাটা মনে করতে লাগল...
সোমা: এ...এটা কি ছিল!শো...শোয়েব আমার সাথে...ছি!ও কি করে পারল..😭😭
এদিকে শোয়েব রুমে এসেও একথাই ভাবছিল
শোয়েব: হঠাৎ করে আমার কি হয়েছিল!আ...আমি এটা কি করলাম!সোমাকে...ছি!কিন্তু...কেন জানি ওকে কিস করার সময় অন্যরকম একটা ফিলিংস হচ্ছিল,কই অন্যকারো সাথে এমন করার সময়তো এমনটা মনে হয়নি!এমনকি সিজার সাথেও...
(ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং শোয়েবের ফোন বাজছে)
শোয়েব: হ্যালো
সিজা: হাই জান,কি কর এখন?
শোয়েব: এইতো জান তোমাকেই মিস করছিলাম
সিজা: লায়ার...লায়ার...লায়ার
শোয়েব: বিলিভ মি জান,আমি এক্ষুণি তোমার নাম্বারে ডায়াল করছিলাম...
সিজা: আচ্ছা ঠিক আছে,এখন বল কাল আসছো তো?
শোয়েব: কাল!কোথায় আর কেন?
সিজা: কেন মানে!বাবু...তুমি আমাকে একদম ভুলে গেছো..😪😪
শোয়েব: আরে বাবা কি হল কাঁদছো কেন?আমি আবার কি করলাম?
সিজা: কি করেছো মানে!কালকে আমার জন্য কত ইম্পর্টেন্ট একটা ডে আর তুমি...
শোয়েব: (মনে মনে)ইম্পর্টেন্ট ডে!কোন ইম্পর্টেন্ট ডে ভুলে গেছি যে ও এভাবে রিয়্যাক্ট করছে!শোয়েব শোয়েব শোয়েব কাম অন ইয়ার,মনে করার চেষ্টা কর প্লিজ...
সোমা: তুমি আমাকে আর একটুও ভালোবাসো না,আগে এই ডে তে সবকিছুতো তুমিই এ্যারেঞ্জ করতে আর এখন...ড়
শোয়েব: (ওহ্ শিট মনে পড়েছে)আরে বেবি তুমি এভাবে কান্না করছ কেন!আচ্ছা তোমার কোন ইম্পর্টেন্ট ডে কি আমি কখনও ভুলেছি?
সিজা: তাহলে...
শোয়েব: আরে বাবা আমি ফান করছিলাম।তোমার বার্থডে আর আমি যাব না এটাও কি সম্ভব!আচ্ছা বল কোথায় যেতে হবে?
সিজা: (খুশি হয়ে)আমাদের পান্থপথের বাংলো বাড়িটায়
শোয়েব: আচ্ছা ঠিক আছে,আমি ঠিক টাইমমত চলে যাব
সিজা: আর শোন
শোয়েব: কি?
সিজা: ঐ গাঁইয়া ভূতটাকেও নিয়ে আসবা কিন্তু...
শোয়েব: কে সোমা?
সিজা: হ্যাঁ সোমা,ওকেতো অবশ্যই নিয়ে আসবা।ওকেওতো ওর অকাত দেখাতে হবে তাইনা?ও কার সাথে টক্কর দিতে চাইছে ওকেতো বুঝাতে হবে...
শোয়েব: আচ্ছা ঠিক আছে তাই হবে,ও আমার সাথে যা করেছে তারজন্যে ওকেতো একটা শিক্ষা দিতেই হবে...
(পরদিন সন্ধ্যায়)
শোয়েবের সাথে সোমা একটা বাংলোতে এসেছে,ঠিক কেন এসেছো ও তেমন কিছুই জানেনা।শুরুতেতো আসতেই চাইছিল না,পরে শোয়েবের অনেক জোরাজুরিতে আসতে একরকম বাধ্যই হয়েছে।আর তাছাড়া শোয়েব হঠাৎ করে এমন এ্যাবনরমাল বিহেভ কেন করছে ওর কিছুতেই মাথায় আসছে না তাই ওর সাথে থেকে একটু বুঝতে চাইছে জিনিসটা।
বাংলোটার ভেতরে ঢুকতেই চমকে গেল সোমা,মনে হচ্ছে কারো বার্থডে।খানিকদূর এগোতেই দেখল সিজা আর শোয়েবের বন্ধুরা দাঁড়িয়ে আছে।ওদেরকে দেখেই শোয়েব সোমাকে একা রেখেই ওদের দিকে ছুটে চলে গেল,সোমা একা একা জায়গাটা ঘুরে দেখতে লাগল।হঠাৎ...
সিজা: Ladies and gentleman,may I have your attention please?
(সবাই সিজার দিকে ফিরে তাকালো)
সিজা: আজ আমাদের মাঝে খুব স্পেশাল একজন গেস্ট উপস্থিত আছেন।Do you want to know who she is?
(সবাই একসাথে চিৎকার করে উঠল)
সিজা: ওকে ওকে...তাহলে তাবে ডেকেই নেই কি বলেন সবাই?
(সবাই আবার চিৎকার করে উঠল)
সিজা: মিসেস সোমা আহমেদ,মে উই হেভ ইউ অন দ্য স্টেজ প্লিজ?
(নিজের নামের এ্যানাউন্সমেন্ট শুনে সোমা বেশ অবাক হয়ে গেল,ভাবল হয়ত ভুল শুনেছে কিন্তু আবারও)
সিজা: মিসেস সোমা শোয়েব আহমেদ
(পুরো রুমটায় যেন একটা টর্নেডো বয়ে গেল সোমার সাথে শোয়েবের নাম শুনে।সবার গুঞ্জনকে পাশ কাটিয়ে সোমা সিজার কাছে এগিয়ে গেল)
সিজা: লেডিস এন্ড জেন্টলম্যান,উনি হচ্ছেন আমাদের হ্যাণ্ডসাম হাংক শোয়েব আহমেদ মির্জার ওয়াইফ ওহ্ সরি সো কল্ড ওয়াইফ...
(পুরো রুমটা একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেল,সোমা চমকে উঠে সিজার দিকে তাকালো)
সিজা: হ্যাঁ সবাই ঠিকই শুনেছেন,শি ইজ শোয়েবস সো কল্ড ওয়াইফ কারণ সে একরকম জোর করেই শোয়েবের লাইফে অাছে,শোয়েব ওকে ছাড়তে করতে চাইছে বাট এই মেয়েটা কিছুতেই তা করতে দিচ্ছে না
সোমা: শাট আপ সিজা
সিজা: কেন শুনতে খারাপ লাগছে?খারাপ লাগলেও শুনতে হবে তুমি এখানে পুরোপুরি আনওয়ান্টেড,তুমি আমার আর শোয়েবের মধ্যে থার্ডপার্সন হয়ে একটা কাঁটার মত বেঁধে আছো।কেন আছো সেটাও জানি শোয়েবের বাবার কোটি কোটি টাকার লোভে বেহায়ার মত পড়ে আছো।কিন্তু খুব বেশিদিন থাকতে পারবে না,তোমাকে ঘাড় ধরে শোয়েব ওর জীবন থেকে ছুড়ে ফেলে দেবে,ইউ নো হোয়াট তোমার মত থার্ডক্লাশ বাজারু মেয়ে...
(সিজা আর কথাটা শেষ করতে পারল না তার আগেই গালে কারে কারো হাতের ছোঁয়া পেল,ঠাস করে একটা শব্দ হল আর সিজার হাত আপনা-আপনিই নিজের গালে চলে গেল)
সিজা: হাউ ডেয়ার ইউ...
সোমা: শাট আপ,আর একটা কথা বললে না তোমার আরেক গালেও আমার পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ ফেলে দিব😡
সিজা: (আঙ্গুল তুলে)ইউ...
সোমা: (সিজার আঙ্গুলটা মুচড়ে ধরে)সহজ কথাটা মাথায় ঢোকে না তাইনা?
সিজা: সোমা লাগছেতো,ছাড় বলছি।বাবু...দেখনা ও আমার সাথে কি করছে...
শোয়েব: সোমা...
সোমা: তুমি চুপ কর,একটা কথাও বলবে না।এখন আমি বলব আর সবাই শুনবে...
(পুরো রুমটা একেবারে নিশ্চুপ হয়ে গেল)
সোমা: এই মেয়ে তুমি কি যেন বলছিলে,তোমাদের মাঝে আমি কাঁটা হয়ে আছি তাইতো?কাঁটা আমি না তুমি হয়ে আছো।আমাদের বিয়েটা যেভাবেই হোক না কেন,আমি এখন লিগালি শোয়েবের ওয়াইফ,তোমার মত অন্যের হাজবেণ্ডের উপর অধিকার ফলাচ্ছি না।আর কি যেন বলছিলে বাজারু মেয়ে তাইনা?বাজারু কাকে বলে তুমি জানো?আমি শোয়েবের সাথে আছি সেটা আমার অধিকার আর তুমি যে অনঅধিকার চর্চা করছো পরপুরুষের সাথে সেটা একটা বাজারু মেয়ের কাজ।তোমার মত থার্ডক্লাস মেয়ে মানুষের হাত থেকে নিজের হাজবেন্ডকে কিভাবে বাঁচাতে হয় আমার জানা আছে।সো প্লিজ স্টে এওয়ে ফ্রম আস নাহলে তোমার এমন অবস্থা করব না যে শোয়েবের দিকে তাকানো তো দূরে থাক ওর নাম নিতেও ভুলে যাবে।মাইন্ড ইট...
সোমা আর এক মুহূর্তও দেরি না করে ওখান থেকে চলে গেল।বাংলোটার একপাশে ছোট্ট একটা সান বাঁধানো পুকুর,অনেকটা সুইমিংপুল স্টাইলে বানানো।সোমা ওখানে গিয়ে এক কোণে দাঁড়িয়ে নিরবে চোখের জল ফেলতে লাগল।নিজের উপর প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে সেই সাথে শোয়েবের উপর ঘৃণা হচ্ছে।
সোমা: (মনে মনে)এতটা ঘৃণা কর আমাকে!কিন্তু আমি তোমার কি এমন ক্ষতি করেছি যে আমার সাথে এমন করলে,সব জেনে শুনে কেন এখানে নিয়ে আসলে আমাকে?আমি জানি তোমাকে অনেক জ্বালতন করছি কিন্তু যাই করেছি সবই তো সবার আড়ালে তোমার ভালর জন্যেই করেছি।তোমার অসম্মান হোক এমন কিছুতো আমি করিনি তাহলে তুমি কেন...
আমি জানি তুমি আমাকে অপছন্দ কর কিন্তু তাই বলে একটা মেয়ের এতটা অসম্মান হতে দেখেও...😪😪
হঠাৎই কেউ সোমাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিল আর ও সোজা পুকুরে গিয়ে পড়ল।এখানকার কেউই জানেনা যে ও সাঁতার জানেনা,হাইড্রোফোবিয়ার কারণে পানি দেখলেই প্রচণ্ড ভয় পায় ও।জোরে জোরে কয়েকবার হেল্প হেল্প করে চিৎকার করল সোমা কিন্তু আশেপাশে কাউকেই দেখা যাচ্ছে না যে ওকে কেউ হেল্প করবে।সোমা আপ্রাণ চেষ্টা করছে ভেসে থাকার কিন্তু যতই চেষ্টা করছে আরো যেন তলিয়ে যাচ্ছে।তবে কি এখানেই ওর জীবনের ইতি ঘটবে?বাবা-মা আর প্রোমার সাথে কি আর কখনই দেখা হবে না...

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ